শুটিং-এ শিডিউল ফাঁসানোর অভিযোগে চিত্রনায়ক শাকিব খানের বিরুদ্ধে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন ঘিরে তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যাচারের অভিযোগ উঠেছে। একটি বেসরকারি টেলিভিশনের সংবাদটির প্রতিবাদলিপিতে মিথ্যাচার করেছেন বলে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদকের।
জানা গেছে, গেল ঈদের দিন বিকেলে বেসরকারি টেলিভিশন একাত্তর টিভিতে শাকিব খানের সিডিউল ফাঁসানো নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রচার হয়। প্রতিবেদনটি করেন প্রতিষ্ঠানটির স্টাফ রিপোর্টার রাশেদ আনিস। পরে ৫ আগস্ট শাকিব খান টেলিভিশনটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক বরাবর একটি প্রতিবাদলিপি পাঠান। কিন্তু ওই প্রতিবাদলিপিতে শাকিব খান মিথ্যাচার করেছেন বলে অভিযোগ করেছেন রাশেদ আনিস।
রাশেদ আনিস জানান, শাকিব খানের পাঠানো নোটিশে তিনি পয়েন্ট আকারে (তৃতীয় পৃষ্ঠার ২ নম্বর পয়েন্ট) উল্লেখ করেন যে প্রতিবেদকের কোনো ফোনকল তার ফোনে ঢোকেনি অথচ প্রতিবেদক যে প্রতিবেদনটি করেছেন সেখানেই দেখা যাচ্ছে শাকিব খানের ফোনে কল দেয়া হচ্ছে, আর এই পুরো ভিডিওটি একাত্তর টেলিভিশনের আর্কাইভে ধারণ করা আছে।
শাকিবের মিথ্যাচার উল্লেখ করে তিনি বলেন, সেখানে লাউড স্পিকারে শাকিব খানের বাংলালিংক ও রবি নম্বরে কল দেয়া এবং ফোনের রিং হবার পর শাকিব খানের ফোন না ধরার ভিডিওচিত্র সময় তারিখসহ (২৭ জুলাই) ধারণ করা আছে। অথচ শাকিব বলছেন তার ফোনে কোনো কল ঢোকেনি, আবার তিনিই বলছেন তার নম্বরে কল দেয়ার ভিডিও দেখা যাওয়ায় তিনি বিব্রত বোধ করেছেন। এখানেই শাকিব খানের প্রতিবাদলিপির মিথ্যাচারের প্রমাণ মেলে।
এদিকে একাত্তর টিভিতে প্রতিবেদন প্রকাশ হওয়ার পর শাকিবের প্রদিবাদলিপি পাঠানোর পর শাপলা মাল্টিমিডিয়ার কর্ণধার সেলিম খান, নির্মাতা মুশফিকুর রহমান গুলজার, খোরশেদ আলম খসরুসহ প্রত্যেকেই শাকিবের অনিয়মের কথা স্বীকার করেছেন।
শাকিব খানের সিডিউল ফাঁসানোর বিষয়ে মুশফিকুর রহমান গুলজার সময় সংবাদকে বলেন, শাকিব খানের বিষয়ে অনেক অভিযোগ এসেছে, এমনকি সেলিম খানও আমার কাছে তার শিডিউল ফাঁসানো নিয়ে অভিযোগ করেছেন। আমার ছবিরও সে শিডিউল ফাঁসিয়েছে। শাকিব খানের জন্য অনেকে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। এই শাকিব খানের কারণে ৭ বছর আগে করা সিনেমা ‘আই লাভ ইউ’ ছবিটি আমি রিলিজ দিতে পারিনি, তার অভিনয়ে আমরা সবাই মুগ্ধ কিন্তু তার এ সমস্ত বিষয়গুলো সংশোধন করতে হবে।
খোরশেদ আলম খসরু সময় সংবাদকে বলেন, ‘অনেক আগে থেকেই তার সম্পর্কে অভিযোগ এসেছে। আমরা কোনো কোনো সময় সেটা সমাধান করতে পেরেছি, কখনো আমরা পারিনি। পরবর্তীতে তারা নিজেরা আইনি ব্যবস্থা নিয়ে সেটার সমাধান করার চেষ্টা করেছেন, আবার অনেকে মুখ বুজে সহ্য করেছেন।’
বিষয়টি জানতে শাকিব খানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।