লামার পার্শ্ববর্তী বমু বিলছড়িতে জমিজমা নিয়ে বিরোধের জেরে সংঘর্ষে মহিলা -সহ ছয়জন আহত হয়েছেন। বরিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টায় চকরিয়া উপজেলার বমু বিলছড়ি ইউনিয়নের বমু পানিস্যাবিল (৫ নং ওয়ার্ড) মসজিদের পাশে ঘটনাটি ঘটে।
সেক্ষেত্রে আহতরা হলেন -১.সেনুয়ারা বেগম (৫৫), স্বামী আব্দুল কুদ্দুস ,২.ইয়াছমিন আক্তার (৪০), স্বামী ছালামত উল্লাহ, ৩.ইমতিয়াজ ২৩. পিতা- ছালামত উল্লাহ ৪.রিয়াজ উদ্দীন (২২), পিতা ঐ,৫.খালেদ হোসেন@, পিতা,আব্দুল কুদ্দুস,৬. নাছির উদ্দীন (৩৫) পিতা -সাহাব উদ্দীনসহ আরও।
সেখানে ইয়াছমিন আক্তার এর মাথায় গুরুতর জখম হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক কক্সবাজার / চট্টগ্রাম মেডিকেল হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
সরেজমিন ও স্থানীয়রা জানান, স্থানীয় জামাল উদ্দীন ও জাফর আলম মধ্যে দীর্ঘ দিন ধরে জমি নিয়ে বিরোধ চলছে। সেই বিরোধের জেরে সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।
সেক্ষেত্রে মোঃ জাফর আলম ও আব্দুল কুদ্দুস জানান, ওই দিন সকালে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে জামাল উদ্দীন ও রাশেদ এর নেতৃত্বে আমার বোনদের তারা হামলা করে রক্তাক্ত করে। তারা হামলাসহ সীমানা পিলার, টিনেরভেড়া, ভাঙচুর করে। গুরুতর আহত আমার বড়বোনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এসময় তারা আরও জানান, সাহাব উদ্দীনের ছেলে মোঃ রাশেদ (২৮),শাহেদ নাছির উদ্দীন (৩৫), মোজাম্মেল হক (৪০),মেয়ের জামাই ফোরকান (৩৮) এবং মৃত মোজাহের আহমদের ছেলে জামাল উদ্দীন (৪৫), কামাল উদ্দীন (৪০),আব্দুল হামিদ (৩৫) ,আবুল হোসেন ও মেয়ে জোসনা, শাহানুসহ অজ্ঞাত আরও ৩০/৪০ জন লোক হামলায় চালায়।
এদিকে সাহাব উদ্দীন ও তার ছেলেরা জানান, তারা আমাদের হামলা উপর হামলা করে। এতে আমাদের লোকজনও আহত হয়।
লামা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ মোঃ সোলাইমান বলেন, হামলায় আহত ৩ জন আমাদের এখানে ভর্তি হয়। সেক্ষেত্রে আহত এক মহিলার মাথায় দুইটি সেলাই করা হয়। সেক্ষেত্রে একটির সেলাই এর রক্ত পড়া বন্ধ না হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল প্রেরণ করা হয়।
স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্য মোঃ রমিজ উদ্দীন বলেন, জমিজামা নিয়ে এদের দু,পক্ষের বিরোধ ছিল। এ বিষয়কে কেন্দ্র করে দু,পক্ষের সংঘর্ষে লিপ্ত হয়।
চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো.মনজুরুল আলম ভূইঁয়া জানান, এ ঘটনায় কোনো অভিযোগ দেন নি কেউ। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।