রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:৩১ অপরাহ্ন

ই-পেপার

কবে হবে ব্রিজ ? পূরণ হবে এলাকাবাসীর স্বপ্ন!

প্রতিনিধির নাম:
আপডেট সময়: শনিবার, ৮ আগস্ট, ২০২০, ১০:৫৮ পূর্বাহ্ণ

ব্রিজ-সেতু আমরা স্বপ্ন দেখি, বাস্তবে নয়। জানি না এ স্বপ্ন বাস্তবে কোনদিন রূপ নিবে কী-না। কারণ এখানে বছরের ১১ মাস পানি থাকে এবং বাকী ১ মাস পানি না থাকলেও বাঁশের সাঁকোতেই পারাপার  হতে হয় সারা বছর। অর্থাৎ বছরে দু’একবার নতুন করে তৈরি করা হয় এই বাঁশের সাকোটি। তাও আবার বর্ষা আসলেই নদীর পানির স্রোতে ভেসে যায়। বছরের পর বছর ধরে এরকম দূর্ভোগ ও ভোগান্তি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে হাজারো মানুষকে।

এ জায়গাটি পারাপারের একমাত্র ভরসা এখন একটি বাঁশের সাঁকো। বছরের বর্ষা মৌসুমে নৌকা দিয়ে এই জায়গাটি  পারাপার হতে হয় কয়েকটি গ্রামের হাজারো মানুষকে। এতে চরম ভোগান্তি আর দূর্ভোগ পোহাতে হয় এই অঞ্চলের লোকজনদের।

বলছি চৌহালী উপজেলা’র খাষকাউলিয়া ও নাগরপুর উপজেলার ভূমুরিয়া একালাকার বাসিন্দাদের প্রাণের দাবি একটি ব্রিজ’এর প্রয়োজনের কথা। এছাড়াও  আশপাশের বেশ কয়েকটি গ্রামের হাজারো মানুষের চলাচলের জন্য এ জায়গাটি ব্যবহার করা হয়। যে জায়গাটির উপর নেই কোন ব্রিজ।

তবে এলাকার পক্ষ থেকে বাঁশ দিয়ে সাঁকো তৈরী করে দেয়া হয়। কিন্তু কয়েক মাস পরেই এ সাঁকো আর থাকে না,ভেঙ্গে যায়। তখন এ জায়গা পারাপারের একমাত্র ভরসা হয় নৌকা।

এলাকার বিভিন্ন বয়সের লোকজনের সাথে কথা বলে ও বাস্তব অবিজ্ঞতায় জানাচ্ছি যে, উক্ত জায়গাটিতে চরম দূর্ভোগ ও ভোগান্তির শিকার হাজার হাজার মানুষ। যাদের পারাপারের জন্য একমাত্র ভরসা বাঁশের সাকো। আবার এ সাকো নির্মাণের পর তা নদীর পানির স্রোতে ভেঙ্গেও যায়, এবছরও গেছে।এখন জায়গাটি পারাপরের একমাত্র ভরসা নৌকা। নৌকাযোগে পারপার হতে গিয়ে অনেকেই নদীর পানিতে পড়ে গিয়ে আহত হতে হয়। স্কুল-মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা তাদের বই পুস্তক নিয়ে পারাপার হতে গিয়ে অনেকেই পানিতে পড়ে যায়। ফলে তাদের বই খাতা ভিজে যাওয়ায় স্কুল ও মাদ্রাসাতে যেতে পারে না।

এদিকে, অনেকের মনের ক্ষোভ, স্থানীয়  জনপ্রতিনিধিরা প্রতি বছর-ই প্রতিশ্রুতি দেয় এ জায়গাটির উপর দিয়ে চলাচলরত মানুষের দূর্ভোগ লাঘব করার জন্য একটি ব্রিজ নির্মাণের । কিন্তু তারপর আর খবর রাখে না। একটি ব্রিজ’ ব্যবস্থা করে দেয় না।

জায়গাটির উত্তরপার অর্থাৎ চরজাজুরিয়া, ভূমুরিয়া এলাকায় রয়েছে কয়েকটি সরকারি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কয়েকটি মাদ্রাসা ও এতিমখানা। এসব স্কুল ও এতিমখানায় রয়েছে কয়েক হাজার শিক্ষার্থী। ছাত্র- ছাত্রীদের সকলের একটিই দাবি কবে হবে ব্রিজ মুক্তি পাবো এলাকাবাসী?

তারা আরও জানায়, উক্ত জায়গার উপর বাঁশের এ সাকো দিয়ে তাদের প্রত্যেকদিন স্কুলে আসতে হয় এবং বাড়ি যেতে হয়। বাঁশের সাকো আবার বর্ষার দিন আসলেই ভেঙ্গে যায়। ফলে সে সময় এ নদী পারাপারের একমাত্র বাহন থাকে নৌকা। অনেক সময় বর্ষার দিনে নৌকা দিয়ে এ নদী পারাপারের সময় নৌকা ডুবে গিয়ে দূর্ঘটনার শিকার হতে হয়। অনেক সময় বই খাতা ভিজে যায়। স্কুলে আসতে পারিনা।
এ জায়গার উপর একটি ব্রিজের খুবই দরকার। ব্রিজ হলে সকলের মনের আশাপূরণ হবে। সকলেই নিরাপদে এবং স্বাচ্ছন্দে এ জায়গাটি পার হতে পারবে। তা-না হলে ব্রিজ-সেতু স্বপ্নের মতই রয়ে যাবে।
তবে আমাদের দাবি ব্রিজ আমরা আর স্বপ্ন দেখতে চাইনা। আমরা বাস্তবে এ জায়গার উপর ব্রিজ দেখতে চাই।

উক্ত বাশের সাঁকো’র  উত্তর পাশেই প্রাইমারী – হাই স্কুল ও বাজার রয়েছে। বাজারটি এ জায়গাটির পাশেই অবস্থিত। প্রতিদিন সকালে বসে বাজার। বাজারে যাওয়া মানুষজন মালামাল নিয়ে চরম ঝুঁকিসহকারে বাঁশের সাঁকো পারাপার হয়ে থাকে। সে সময় মানুষের ভোগান্তি আরো কয়েকগুণ বেড়ে যায়। জরুরি প্রয়োজনে কোন মানুষ অসুস্থ্য বা মারা গেলে দ্রুত কোন প্রকার যোগাযোগ করা সম্ভব হয় না।

সুতরাং এ জায়গাটির উপর একটি ব্রিজ তৈরী জরুরি হয়ে পরেছে। এ জায়গাটির উপর একটি ব্রিজ হলে হাজারো মানুষের দূর্ভোগ লাঘব হবে। বছরের পর বছর এ জায়গাটির উপর একটি ব্রিজের স্বপ্ন দেখে আসছে এ অঞ্চলের মানু্ষজন। চোখে স্বপ্ন নিয়ে চরম দুর্ভোগ আর ভোগান্তির মধ্যে পারাপার হয় দুই  পারের হাজার হাজার মানুষ।

তাই একালাবাসীর দাবি “অনতিবিলম্বে এ জায়গায় একটি ব্রিজ নির্মাণ” করা হোক।এটা এলাকাবাসী ও সকলের স্বপ্ন, আর তা স্বপ্নে নয়, বাস্তবেই দেখতে চাই।”

মোঃ হুসাইন আহমদ
শিক্ষার্থী, কওমি মাদরাসা টাংগাইল।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর পড়ুন
এক ক্লিকে বিভাগের খবর