মোঃ সাগর হোসেন বেনাপোল প্রতিনিধিঃ
যশোর জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক বেনাপোল পৌর মেয়র আশরাফুল আলম লিটন বলেছেন,যুবকরা হচ্ছে রাষ্ট্রের উন্নয়নের কারিগর। যুবকরা হচ্ছে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের যুবক,এ যুবক শেখ মনিকে ফলো করে, এ যুবক সমাজ এবং রাষ্ট্র নির্মান করতে চাই,এ যুবক হচ্ছে জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতিয়ার। শার্শার একজন শীর্ষ নেতাকে ইঙ্গিত করে বলেন,আজ বিশ^ মহামারি বৈশি^ক কোভিড -১৯ করোনা মহামারির মত দুর্যোগের সময় আপনি শার্শা থেকে ৫ টি মাস হারিয়ে গেছেন। আপনি শার্শার মানুষ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে আওয়ামী নেতা কর্মীদের ভয়ভীত দেখাচ্ছেন । রাজনীতি করতে গেলে নেতা হতে হলে মানুষের ভালবাসা, শ্রদ্ধা, আস্থা অর্জন করতে হয়। আপনি তা করতে পারেন নাই। শার্শা থেকে অপরাজনীতি আমি প্রতিহত করব। এসময় তিনি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে বলেন অপরাজনীতি শার্শা থেকে অপসারিত করে আমি ছুটি নিব। কথাগুলো বললেন মহান বাংলাদেশের স্থাপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ৪৫ তম শাহদত বার্ষিকী ও শেখ কামালের জন্মদিন উপলক্ষে প্রধান অতিথি হিসেবে বেনাপোল বঙ্গবন্ধু পাঠশালায় মেয়র লিটন।
বুধবার বেলা সাড়ে ৫ ঘটিকার সময় শার্শা উপজেলা আওয়ামী যুবলীগ আয়োজিত বেনাপোল বঙ্গবন্ধু পাঠশালায় উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক সাইদুজ্জামান বিটনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি বেনাপোল পৌর মেয়র আশরাফুল আলম লিটন উপস্থিত যুবলীগ নেতাকর্মীদের বলেন, কোন রক্ত চক্ষুকে ভয় পাবেন না, কেউ যদি মনে করে ঠেলা দিলে পড়ে যাব তবে সে বোকার স্বর্গে বাস করছে। আজ ১০ টি বছর আমার পিছনে নানা ষড়যন্ত্র করে আসছে কিন্তু আমি আমার আদর্শ বঙ্গবন্ধুর আদর্শ শেখ হাসিনার আদর্শ নিয়ে রাজনীতি করে যাচ্ছি। তিনি বলেন আমি ছাত্রলীগ থেকে আজ কাজ করে এপর্যন্ত এসেছি। তাই অর্থের রাজনীতি ফুরিয়ে যাবে। মানুষকে ভালবাসেন আপনারা নেতা হন। মানুষকে ভাল না বাসলে এক সময় রাজনীতি থেকে হারিয়ে যাবেন। আমি এটি ধারা তৈরী করতে চাই। সেই ধারা হলো আওয়ামীলীগ কখনো কাউকে অপমান করতে পারে না।
আওয়ামীলীগ এর সন্তান কাউকে অপমান করতে পারে না। সেই ধারা আমি প্রতিষ্ঠিত করতে চাই। আপনি আজ শার্শায় এক দানবের রাজনীতি প্রতিষ্ঠিত করেছেন। এক ভয়ংকর বেইজ্জতি, অসম্মান দখল রাহাজারী নিয়ন্ত্রনর দখলে ভরে গেছে। যে রাজনীতিতে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের নৈনিক কারো অপদস্ত ও নিয়ন্ত্রন মানে না। তাই আগামি দিনের শার্শা হবে উন্নয়নের ¯^স্তির ও শান্তির।
তিনি আরো বলেন কেউ যদি সভ্য আচরনকে দুর্বল মনে করে,তাহলে সে ভুল ভাবছে। হুমকি-ধামকি দিয়ে আামাকে শার্শার রাজনীতি থেকে ফেলে দেওয়া যাবে না। ভালবাসা দিয়ে অনেক কিছু জয় করা যায়। আজ সময়ের বিবর্তনে অনেক অবহেলিত নেতা কর্মীরা বুজেছে আজ সত্যিকারের আওয়ামীলীগ জনগনের কাছে ফিরে নিয়ে যেতে হলে সোচ্চার হতে হবে। তাই আজ শার্শার যুবলীগ, ছাত্রলীগ সহ সকল নেতা কর্মীরা জেগে উঠেছে। আওয়ামী যুবলীগ কেন প্রতিষ্ঠা করলেন জাতির জনক সে সম্পর্কে তিনি বলেন, ১৯৭২ সালে জাতির জনক দেখলেন যুদ্ধ বিধ্বস্ত রাষ্ট্রে সকল রাস্তা ঘাট কালভার্ট ভেঙ্গে দিয়েছে ওই পাকিস্থানী হানাদার বাহিনীরা। আমাদের মা বোনের ইজ্জত এবং ৩০ লাখ শহিদের রক্তের বিনিময়ে এদেশ স্বাধীন হয়েছে সেই স্বাধীন দেশকে উন্নয়ন করতে হলে যুব সমাজের প্রয়োজন । তাই তিনি সেদিন শেখ মনিকে দিয়ে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন যুবলীগ।
তিনি বলেন, আমাদের পুর্বপুরুষরা যে রাজনৈতিক শিষ্টাচার শিখিয়েছেন আজ সেই শিষ্টাচার আমাদের মধ্যে নেই। আমার মৃত্যু হলেও আমাদের পূর্ব পুরুষদের সেই শিষ্টাচার আমি শার্শার রাজনীতিতে ফিরিয়ে আানতে চাই। তাতে যদি আমার মৃত্যু হয় তবে হবে। জাতির জনকের পুত্র শেখ কামাল ছিলেন একজন দক্ষ ক্রীড়া সংগঠন। সেই কামালকে ব্যাংক ডাকাতি অপবাদ দিয়ে হত্যা করা হয়েছিল । কিন্তু সেই কামালের মৃত্যু’র পর কোন ব্যাংকে শেখ কামালের নামে কোন অর্থ পায়নি। বঙ্গবন্ধু তার পরিবার এর চেয়ে এদেশের মানুষকে বেশী ভাল বাসত। পৃথিবীর ইতিহাসে এত রক্ত আর কোন রাষ্ট্র নায়ক দিয়ে যায়নি। শুধু মানুষকে ভালবেসে।
কেউ যদি শিষ্টারচারকে নিয়ে দুর্বল মনে করেন তবে তা হবে ভুল। পৃৃথিবীর রোম সাম্রাজ্য ও বৃটিশ সাম্রাজ্যও ভেঙ্গে টুকরো টুকরো হয়ে গেছে। তাই সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে আওয়ামীলীগের নেতা কর্মীদের দমন পীড়ন করা যাবে না।
এসময় উপস্থিত ছিলেন বেনাপোল পৌর প্যানেল মেয়র সাহাবুদ্দিন মন্টু,সাবেক শার্শা উপজেলার ছাত্রলীগের সভাপতি রুহুল কুদ্দুস ভুঁইয়া, শার্শা উপজেলা যুবলীগের সিনিয়র সদস্য সাহেব আলী, বেনাপোল পৌর আওয়ামীলী যুবলীগের আহবায়ক সুকুমার দেবনাথ, যশোর জেলা আওয়ামী সাংস্কৃতিক ফোরাম (আসাফো) এর কার্যনির্বাহী সদস্য জাকির হোসেন আালম প্রমুখ তেজাগাও কলেজের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক তুহিন ফারাজি প্রমুখ।অনুষ্ঠানটি পরিচালানা করেন শার্শা উপজেলা ছাত্রলীগের প্রচার সম্পাদক এনামুল হক মুকুল।