কালো রঙের সুঠাম দেহের ষাড় গরুটির নাম ‘কালো মানিক’ রেখেছে মালিক। ‘কালো মানিক’ এবারে ঢাকার কোরবানির হাট কাঁপাবে বলে আশা করছেন মালিক গোলাম মোস্তফা।
নাটোরের সিংড়া পৌরসভার দমদমা এলাকার খামারী গোলাম মোস্তফা দেশীয় পদ্ধতিতে খড়, খৈল, ভূষিসহ প্রাকৃতিক খাবারে নিজের বাড়িতে কালো মানিকসহ ৭টি ষাড় গরু পালন করেছেন। এর মধ্যে কালো মানিকের দাম হাঁকাচ্ছেন ১১ লাখ টাকা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ষাঁড়টি বাড়ি থেকে বের করতে ২ থেকে ৩ জন লোকের প্রয়োজন হয়। অতি যতেœ করানো হয় গোসল। গরুর মালিক নিজের সন্তানের মত লালনপালন করেন গরুগুলোকে।
কালো মানিকের মালিক গোলাম মোস্তফা বলেন, প্রায় ৮ মাস আগে এই গরুটি চুয়াডাঙ্গা থেকে ৫ লক্ষ টাকায় কিনেছিলাম। গাঁয়ের রঙ কালো জন্য আদর করে কালো মানিক বলে ডাকি। তিনি আরও বলেন, দেশীয় পদ্ধতিতে প্রাকৃতিক খাবার খাইয়ে লালনপালন শুরু করি। খাবারের মধ্যে উল্লেখযোগ্য খড়, ঘাস, ছোলা, মসুরের ডাল ও ভূষি, ভূট্টার আটা, খুদের ভাত, খৈল, ধানের গুড়া ও চিটা গুড়। গত ৮ মাসে কালো মানিকের পেছনে খরচ হয়েছে আড়াই লক্ষ টাকা।
সিংড়া উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) ডা. মো. মোস্তফা জামান বলেন, এ উপজেলায় খামারিরা ৯২ হাজার ৫৬৬টি পশু কোরবানির জন্য তৈরি করেছেন। অনেকের বাড়ি থেকেই গরু বিক্রি হয়ে যাচ্ছে। এবার গরুর যে বাজার রয়েছে এতে খামারিরা বেশ লাভবান হবেন। প্রাণিসম্পদ বিভাগ থেকে খামারিদের প্রশিক্ষণসহ বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করা হয়। ফলে প্রাকৃতিক উপায়ে খামারিরা গরু মোটাতাজাকরণ করে বেশ লাভবান হচ্ছেন।