নীরব ঘাতক তামাক সেবন ও ধূমপানের কারণে মানুষ হৃদরোগ, স্ট্রোক, ক্যানসার, ফুসফুসের রোগে আক্রান্ত হয়। গনমাধ্যমে প্রকাশিত পরিসংখ্যান অনুযায়ী বাংলাদেশে বছরে এক লাখ ৬১ হাজারের অধিক মানুষ তামাকজনিত বিভিন্ন রোগে মারা যায়। পঙ্গুত্ব বরণ করে আরও কয়েক লাখ মানুষ। ধর্মীয়ভাবেও নিষিদ্ধ এই মরণঘাতী তামাক। বিবেকের তাড়নায় ২বছরের বেশি সময় ধরে, নিজ দোকানে তামাক ও তামাকজাত দ্রব্যে বিক্রি পুরোপুরি বন্ধ রেখেছেন টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলার চর চতিলা বাজারের খোরশেদ এন্টারপ্রাইজের মালিক ব্যবসায়ী মো. খোরশেদ আলম খোদাবস্ক (৬০)। দীর্ঘ ৪৩বছর ধরে চর চতিলা বাজার প্রতিষ্ঠার শুরু থেকেই মনোহারি দোকান পরিচালনা করে আসছেন তিনি।
ব্যবসায়ী মো. খোরশেদ আলম জানান, শারীরিক ক্ষতি ও ধর্মীয় মূল্যবোধের কারনে, ২০২১ সাল থেকে বিড়ি, সিগারেট, জর্দাসহ তামাক জাতীয় পন্য বিক্রি বন্ধ করায়। তার দোকানে বিক্রির সামান্যতম ক্ষতি হচ্ছে না। বরং ক্রেতা, বন্ধু বান্ধব এমনকি আত্মীয় স্বজনের কাছে প্রশংসিত হচ্ছেন। অন্য ব্যবসায়ীদেরকেও তামাক বিক্রিতে নিরুৎসাহিত করেন। তার মহাজন গোপালপুরে পাইকারী ব্যবসায়ী মদিনা ষ্টোরের মালিক তার পরামর্শেই তামাক বিক্রি বন্ধ রেখেছেন দাবি করেন তিনি।
স্থানীয় ব্যবসায়ী মো. আশরাফুল ইসলাম সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে তিনি বিড়ি, সিগারেট, জর্দা বিক্রি করেন না। তার এই সাহসী উদ্যোগকে আমরা সাধুবাদ জানাই।
চর চতিলা গ্রামের পরিবেশবাদী ডা. আবু সাঈদ বলেন, চাকরির সুবাদে ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট থাকি। ছুটিতে বাড়িতে যেয়ে বন্ধুবর খোদাবস্ককে তামাকজাত পণ্যে বিক্রি না করার পরামর্শ দেই। সেই থেকে তিনি এসব বিক্রি করছেনা। এতে সমাজ উপকৃত হচ্ছে। তামাকজাত দ্রব্যের কারনে অসুস্থতার পাশাপাশি, ধুমপানের কারনে কিশোররা সংঘবদ্ধ হয়ে; মাদকের দিকে ঝুঁকে সমাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে।