মোঃ দুলাল হক,ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি:
ঠাকুরগাঁও পৌর শহরেরকলেজ পাড়া মহল্লার অনিক (১২) নামে এক শিশুনদীতে গোসল করতে নেমে পানিতে হাবুডুবু খায়।স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার (৪ আগস্ট) দুপুরে অনিক বাড়ির পাশে নদীতে গোসল করতে নামলে সে পানিতে হাবুডুবু খায়। পরে স্থানীয়রা শিশুটিকে অসুস্থ্য অবস্থায় উদ্ধার করে ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলেসেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক না দেখেই মৃতঘোষনা করে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়।
পরে শিশুটিকে বাড়ি নেওয়ার পথে তার শরীরগরম হয়ে মুখ দিয়ে পানি বের হলে শিশুটিকেস্থানীয় ডায়াবেটিকস হাসপাতালে নিয়ে যাওয়াহয়।পরে পুনঃরায় সদর হাসপাতালে নেওয়া হলেচিকিৎসকেরা দ্বিতীয়বার তাকে মৃত ঘোষনাকরেন।
সে পৌর শহরের কলেজ পাড়া মহল্লার মোহাম্মদ আলীর ছেলে। মোহাম্মদ আলী ঠাকুরগাঁও সরকারি কলেজের অফিস সহকারী।পরে স্বজনরা সদর হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসায়অবহেলার অভিযোগ এনে হাসপাতাল ঘেরাও, ভাঙচুর ও বিক্ষোভ করে। পরে পুলিশ এসেবিক্ষোভকারীদের শান্ত করে।
পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পর হাসপাতালেরআবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা: রাকিব এসেঅনিকের স্বজন ও এলাকাবাসীর সাথে কথাবলেন। স্বজনরা চিকিৎসায় অবহেলা ও স্বাস্থ্যসহকারী বাবুল হোসেনের হটকারী সিদ্ধান্তের কথাআবাসিক মেডিক্যাল অফিসারকে জানালে তিনিসদর হাসপাতালের তত্তাবধায়ক বরাবর লিখিতঅভিযোগ দিতে বলেন। পরে পরিবারের সদস্য ওস্বজনরা মৃত্যু সনদ নিয়ে হাসপাতাল ত্যাগ করেন।
স্থানীয় এক ব্যক্তি অভিযোগ করে বলেন, আমরাপ্রথমে অনিককে হাসপাতালে নিয়ে আসি। সেখানেদায়িত্বে থাকা স্বাস্থ্য সহকারী বাবুল হোসেন বলেন, আমার ১২ বছরের চিকিৎসার অভিজ্ঞতা রয়েছে।বাচ্চাটি মারা গেছে তার ইসিজি লাগবে না।
তিনি আরও বলেন, হাসপাতালে ইসিজির কোনযন্ত্র নেই। বাহিরে থেকে ভাড়া করে ইসিজি মেশিননিয়ে আসা হলেও মেশিন পরিচালনাকারী পাওয়াযায়নি। অবহেলায় এভাবে আর কত অনিককেহারাবো আমরা?
এবিষয়ে হাসপাতালের স্বাস্থ্য সহকারী বাবুলহোসেন জানান, ওই সময় ডিউটিতে থাকা চিকিৎসক ডা: সাবিনা শিশুটিকে দেখে মৃতঘোষনা করেন। তিনি কিছু বলেননি বলে জানান।
এব্যাপারে আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা. রাকিব কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ওইসময় ডা: লিসা ও ডা: সাবিনা ডিউটিতে ছিলেন।রোগীর স্বজননেরা লিখিত অভিযোগ দিলেপ্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবে হাসপাতালকর্তৃপক্ষ।
হাসপাতালে কোন ইসিজি মেশিন নেই স্বীকার করেতিনি জানান এ কারনেই বাহিরে থেকে হয়তোইসিজি মেশিন আনা হয়েছিল।