ঝালকাঠির কীর্তিৃপাশা মোড়ে মঙ্গলবার রাত ৮ টার দিকে সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর মধ্যে সংঘর্ষে ভাংচুর এবং আহত ১৫ । সেখানে এক পথ সভাকে কেন্দ্রী করে দুই প্রার্থীর কর্মি সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। এ সময় সেখানে উপস্থিত একজন সাংবাদিকের ক্যামেরা ক্ষতিগ্রস্থ হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, এ ঘটনায় প্রার্থী সুলতান হোসেন খানসহ উভয় পক্ষের প্রায় ১৫ জন আহত হয়েছে। ঘটনার খবর পেয়ে ঝালকাঠির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেল ঘটনাস্থলে এসে পুলিশ প্রহরায় ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তার অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ঝালকাঠি জরুরী বিভাগের চিকিৎসক ডা. নাইম বলেন, আহত সুলতান হোসেনের বাম সোল্ডারে গুরুতর আঘাত ছাড়াও মাথা ও জয়েন্টে আঘাতের কারণে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশালে রেফার করা হয়েছে। সুলতান হোসেনের কর্মীরা জনায়, ঘটনাস্থলে তার একটি নির্বাচনী পথসভা চলছিল। কিন্তু হঠাৎ করেই নির্বাচনী প্রতিপক্ষরা অপর চেয়ারম্যান প্রার্থী আরিফ খানের সমর্থক আমাদের উপর হামলা চালায়। প্রথমে মারধর করা হয় সুলতান ভাইকে। এরপর চেয়ার দিয়ে বেধরক পিটুনি শুরু করে হামলাকারিরা। চেয়ার ও লাঠি দিয়ে এলোপাথারি পিটিয়ে উপস্থিত সাংবাদিকসহ আমাদের কমপক্ষে ১৫ জনকে আহত করে। খবর পেয়ে পুলিশ ছুটে না এলে আরো আহত হতো। ঘটনাস্থলে উপস্থিত সাংবকাদিকরা জানায়, প্রায় অর্ধ শতাধিক হামলাকারি আকস্মিক ঘটনাস্থলে এসে আমাদেরসহ সবাইকে পিটানো শুরু করে। এ সময় প্রার্থী সুলতান হোসেন খানকে তারা বেধদরক পিটিয়ে আহত করেছে। খবর পেয়ে পুলিশের একটি দল ঘটনা স্থলে আমার সাথে সাথে তারা চলে যায়। এ বিষয়ে ঝালকাঠির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেল মো. মহিতুল ইসলাম জানান, প্রার্থী সুলতান হোসেন খানের পথসভায় হামলার ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারের চেষ্ঠা চলছে। এতে তিনি আহত হওয়ায় পুলিশের সহায়তা তাকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে অভিযোগ পেলেই মামলা এবং ঘটনার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। অন্যদিকে অভিযোগ অস্বীকার করে খান আরিফুর রহমান বলেন, কারা এ হামলা করেছে তা আমি জানিনা। আমি সেখানে ছিলাম না।