আশরাফুল ইসলাম রনি,তাড়াশ(সিরাজগঞ্জ)প্রতিনিধি:
সিরাজগঞ্জের তাড়াশে জনতা ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে টেকনোলজিস্টের স্বাক্ষর ও সীল ব্যবহার করে রোগীদের ভুয়া রিপোর্ট দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। তাড়াশ হাসপাতালের গেট সংলগ্ন জনতা ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অভিযোগে জানা যায়, গত (২আগষ্ট) ঈদের ছুটিতে ওই ডায়াগনস্টিক সেন্টারে কর্মরত টেকনোলজিস্ট শারমিন জাহানের অনুপস্থিতিতে তার স্বাক্ষর ও সীল ব্যবহার করে গত ২ আগর্ষ্ট থেকে ৪ দিন ধরে বিভিন্ন রোগীকে নানা টেস্টের ভুয়া রিপোর্ট দিয়ে যাচ্ছে ওই জনতা ডায়গনষ্টিক সেন্টারে মালিক হায়দার আলী।
ভাদাস গ্রামে রোগী মজনু আলী বলেন, আমার রক্ত ও প্রস্রাব পরীক্ষার জন্য গেলে তারা কিছুক্ষন পর রির্পোট দেয়। এ সময় ভেতরে গিয়ে দেখি মেডিকেল টেকনোলজিস্ট নেই। তখন প্রশ্ন করলে পিয়ন তৈয়ব বলে সমস্য নেই। এছাড়া রিপোর্টে আমার বয়স ৩৫ বছর বললে তারা একবার ৫০ বছর লিখে দেয়। তখন আবারও ভুল হয়েছে জানালে আবারো ৩৪ বছর লিখে দেয়।
এ ঘটনায় তাড়াশ পৌর এলাকার গোলাম মস্তোফা ক্ষোভের সাথে বলেন, ঈদের ছুটিতে বন্ধ থাকার পরেও জনতা ডায়গনষ্টিক সেন্টার কিভাবে রিপোর্ট দেয়। সেখানে আমরা অনেকেই গিয়ে টেকনোলজিস্ট খুজে পাই নি। তারা সীল-স্বাক্ষর নকল করে রির্পোট দিচ্ছে।
জনতা ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মেডিকেল টেকনোলজিস্ট শারমিন জাহান বলেন, আমি ঈদের ছুটিতে ছিলাম। কিভাবে ভুয়া রিপোর্ট তৈরী করে আমার নামের জাল সিল ও স্বাক্ষর দিয়ে অগণিত রোগিকে প্রদান করছেন তা আমার জানা নেই। এর আগেও ছুটিতে গেলে সে সময়ও রোগীকে ভুয়া রিপোর্ট দিয়েছিলো ওই মালিক।
জনতা ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের মালিক হায়দার আলী বলেন, ডিপ্লোমা টেকনোলজিষ্ট শারমিন জাহান ছিল না কিন্তু টেকনিশিয়ান তৈয়ব আলী ছিল। হয়তো সেই ডিপ্লোমা টেকনোলজিষ্ট শারমিন জাহান এর নামে রির্পোট দিয়েছে।
তাড়াশ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. জামাল মিঞা শোভন জানান, লিখিত অভিযোগ পেলে ওই জনতা ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করার জন্য উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ বরাবর সুপারিশ করা হবে।
সিরাজগঞ্জ সিভিল সার্জন ডা. জাহিদুল ইসলাম বলেন, জনতা ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে এবং তাদের সমস্থ কাগজপত্র খতিয়ে দেখা হবে।