“জন্মের দুই মাস পর থেকে আমার ছেলে খেতে পারেনা।খাওয়া-দাওয়া সব বন্ধ।সারাদিন কান্না করে।কাওকে কিছু বলতে ও পারেনা,সইতেও পারেনা।পুরো পৃথিবীতে একমাত্র আমার এই শিশু সন্তানটি বিরল ক্যান্সারে আক্রান্ত,গরিবের ঘোড়া রোগ হইলে যে অবস্থা হয় আমার এখন সে অবস্থা।টাকার অভাবে চিকিৎসা বন্ধের উপক্রম।আমার ছেলেটিরে আপনারা বাঁচান” ডুকরে কেঁদে উঠে এসব কথা বলেন খাগড়াছড়ির রামগড় উপজেলার কালাডেবা এলাকার দিনমজুর মোহাম্মদ শাহজাহান। তার একমাত্র ছেলে সন্তান সুলতান মাহমুদ অলফ্যাক্টরি নিউরোব্লাস্টোমা নামক বিরল এক ক্যান্সারে আক্রান্ত। জানা যায়,৪ মাস আগে শাহজাহান-ফারিয়া দম্পতির ঘরে জন্ম হয় শিশু সন্তান সুলতানের।জন্মের দুমাস পর সুলতানের মাড়িতে সাদা বোতাম আকৃতির ফোলাফোলা ভাব দেখা যায়।চিকিৎসকের শরণাপন্ন হলে দ্রুত উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম স্থানান্তর করে।পরবর্তীতে চিকিৎসকরা মেডিকেল বোর্ড বসিয়ে তাকে আরো উন্নত চিকিৎসার জন্য মহাখালীর জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে পাঠায়।সেখানে তার অলফ্যাক্টরি নিউরোব্লাস্টোমা নামক ক্যান্সার শনাক্ত হয়।এ বিরল রোগটি কোন শিশুর ক্ষেত্রে এই প্রথম বলে ধারণা করে চিকিৎসকরা। ক্যান্সার শনাক্তের প্রথমদিকে ধার দেনা করে চিকিৎসা শুরু করলেও বর্তমানে চিকিৎসা চালানোর মত কোন সামর্থ্য নেয় তার পিতা দিন মজুর শাহজাহানের।অসহ্য যন্ত্রণা এবং অসহায়ত্বের মাঝে দুন কাটাচ্ছে শিশুটির পরিবার। এ বিষয়ে শিশুটির পিতা দিনমজুর মোহাম্মদ শাহজাহান জানান,আমি একজন রাজমিস্ত্রী।দুবেলা খাবারের জন্য কাজ করি।আমার ছেলে বিরল ক্যান্সারে আক্রান্ত।ছেলের চিকিৎসা চলছে।কিন্তু টাকার অভাবে চিকিৎসা বন্ধের উপক্রম।আমার সামনে আমার ছেলে বিনা চিকিৎসায় মারা যাবে এটি ভাবলে খুবই কষ্ট হয় আমার।আমার ছেলের জন্য সবার কাছে সাহায্য চাই।আমার ছেলেকে বাঁচাতে আপনার সবাই এগিয়ে আসুন” ক্যান্সার চিকিৎসার খরচ জোগাড় করা অসম্ভব হওয়ায় সমাজের সামর্থ্যবানদের সাহায্য চেয়েছেন তাঁর পরিবার ও স্বজনরা। সাহায্য পাঠানোর ঠিকানা, নগদ নম্বর: 01816053472 বিকাশ নম্বর 01814342288 ব্যাংক অ্যাকাউন্ট রুপালি ব্যাংক পিএলসি রামগড় শাখা মোহাম্মদ শাহজাহান 1503010005657