নাটোরের নলডাঙ্গায় মাঠে মাঠে গমের সোনালি শীষ দোল খাচ্ছে বাতাসে। কোথাও সবুজ কোথাও হলুদ সোনালী রঙে গম দোল খাচ্ছে বাতাসে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় উপজেলায় গমের ফলন বৃদ্ধি পেয়েছে। আর গমের বাম্পার ফলনে ভালো দাম পাওয়ার আশায় খুশি কৃষকরা। কম খরচে অধিক লাভ হওয়ায় গম চাষে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের। গমের বাম্পার ফলন হওয়ায় কৃষকের মুখে ফুটেছে হাসি।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে ৮৫০ হেক্টর জমিতে গম চাষ করা হয়েছে। গম চাষের লক্ষ্যমাত্রা নিধারণ করা হয়েছিল ৮২০ হেক্টর জমিতে। এবার লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৩০ হেক্টর বেশি জমিতে গম চাষ হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় গাছসহ গমের শীষ পেকে সোনালি রঙ ধারণ করেছে। সোনালি আভায় ঢেকে আছে মাঠ। এদিকে মাঠে মাঠে শুরু হয়েছে গম কাটার কাজ। গম কাটা, শিষ থেকে গম ছাড়ানোসহ বিভিন্ন কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষিরা।
কৃষকরা জানান, গত কয়েক বছরের মধ্যে এবার গমের ফলন ভালো হয়েছে। বর্তমান বাজারে প্রতি মণ গম ১৪০০ থেকে ১৪৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। খুচরা বাজারে প্রতিমণ গম ১৫০০ থেকে ১৫৫০ টাকা দরে বিক্রি করা হচ্ছে। ফলে এবার গমে বিক্রি করে একটু বেশি লাভ হবে বলে আশা করছেন তারা।
এছাড়াও কৃষক আওয়ার ফরাজী বলেন, এই বছর রোগ বালাই কম হওয়ায় গমের ফলন ভালো হয়েছে। যদি এই বছর গমের দাম ভালো পাওয়া যায় তাহলে কৃষকরা লাভবান হবে এবং আগামী বছরে কৃষকদের গমের প্রতি আগ্রহ বাড়বে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ফোজিয়া ফেরদৌসী জানান, উন্নত জাতের উচ্চ ফলনশীল গম বীজ দিয়ে কৃষকরা ফসল ফলিয়েছেন। এ অঞ্চলের মাটি গম চাষের জন্য উপযুক্ত। আমরা কৃষকদের বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ ও বিভিন্ন জাতের গম চাষের জন্য পরামর্শ দিচ্ছি। ফলন ও ভালো দাম পাওয়ায় আগামী বছর গমের আবাদ আরো বাড়তে পারে।