রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:১০ পূর্বাহ্ন

ই-পেপার

অভয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক শামছুন নাহারের টেষ্ট বাণিজ্যের শেষ কোথায়?

মোঃ কামাল হোসেন, অভয়নগর প্রতিনিধি:
আপডেট সময়: বুধবার, ২০ ডিসেম্বর, ২০২৩, ১০:৪১ অপরাহ্ণ

যশোরের অভয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেের চিকিৎসক শামছুন নাহার (সেকমো)’র টেস্ট বাণিজ্যের শেষ কোথায়? ২০ ডিসেম্বর বুধবার সকালে ওই চিকিৎসক’র কাছে চিকিৎসা নিতে আসেন উপজেলার ধোপাদী গ্রামের রিপন হোসেনের স্ত্রী ডালিয়া বেগম(৩০)। তার কাছে চিকিৎসা নিতে এসে ওই চিকিৎসকের গালাগালসহ ভুল চিকিৎসার শিকার হয়েছেন বলে তিনি অভিযোগ করেন। তিনি জানান, আমি একজন গর্ভবতী নারী, আমি চিকিৎসা নিতে এসে যে নাজেহাল হয়েছি এমন যেন আর কারো বেলায় না হয়। তিনি আরও বলেন, ওই ডাক্তার আমাকে আল্ট্রাসনো করানোর জন্য ব্যবস্থাপত্র দিয়ে বলেন, লাইফ কেয়ার ডায়াগনস্টিক সেন্টারে গিয়ে আল্ট্রাসনো রিপোর্ট করে আসেন, আমি ওই ব্যবস্থাপত্র নিয়ে নওয়াপাড়া আল মদিনা ক্লিনিক থেকে টেষ্ট করে ডাক্তার শামছুন নাহারের কাছে গেলে তিনি রিপোর্ট দেখে আমাকে গালাগাল করা শুরু করে ও ডাক্তার থেকে রোগী বেশি বুঝলে রোগী বাঁচেনা বলে হুমকি দেন এবং ডাক্তার আরো বলেন, আমি যে ডায়াগনস্টিক সেন্টারে টেষ্ট করাতে বলেছি সেখানে টেষ্ট না করিয়ে অন্য জায়গা থেকে রিপোর্ট করে আনছেন, আমি চিকিৎসা দেবনা। তাই বলে তিনি ঔষধ লিখে পেসক্রিপশন দিয়ে তাড়িয়ে দেন। ওই পেসক্রিপশনের ঔষধ ফার্মেসীতে কিনতে গেলে ফার্মেসী দোকানদার জানান, আপনাকে ভুল ঔষধ দেওয়া হয়েছে, এই ঔষধ খেলেতো আপনার ক্ষতি হবে। আমি ভুল ঔষধের বিষয় জেনে ঔষধ আর কিনিনি, আমি ওই ডাক্তার শামছুন নাহারের শাস্তি দাবি করছি। উল্লেখ‍্য অভয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে ব্যপক টেষ্ট বাণিজ্যের অভিযোগ চলমান থাকলেও অজানা কোন কারণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ থেকে নেওয়া হয়নি কোন পদক্ষেপ। অনতিবিলম্বে ওই টেষ্ট বাণিজ্য ও ভুল চিকিৎসা দেওয়ার জন্য চিকিৎসক শামচ্ছুন নাহারের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত পদক্ষেপ নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি করেছেন ভুক্তভোগী ও সচেতন মহল। এবিষয়ে অভয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সাব এসিটান্ট কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার শামছুন নাহার বলেন, ওই রোগীকে কোন গালাগাল দেওয়া হয়নি এবং আমি ওই রোগীর কোন ঔষধ ব্যবস্থাপত্রে লিখিনি। তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ তিনি সম্পূর্ণ অস্বীকার করেন।
 অভয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা.ওহিদুজ্জামান ভুল চিকিৎসা ব্যবস্থাপত্রের ছবি তুলে রেখে জানান, তার চাকরির মেয়াদ আছে অল্পদিন, তিনি এমনটি কেন করলেন আমি বিষয়টি দেখে ব্যবস্থা গ্রহন করবো।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর পড়ুন
এক ক্লিকে বিভাগের খবর