বাংলাদেশে জনসংখ্যার ৪০% লোক হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা গ্রহন করে আসছে। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশে ১৯৭২খ্রিষ্টাব্দে বাংলাদেশে ডিএইচএমএস (হোমিওপ্যাথি) কোর্সের স্বপস্রষ্টা বঙ্গবন্ধু’র অনুমোদনে কোর্স চালু হয়। হোমিওপ্যাথিকদের আন্দোলনে বিশেষ করে বেসরকারি বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ, ঢাকা এর শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে বিএইচএমএস কোর্স অনুমোদন ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এর ফার্মেসী বিভাগ এর অধিভুক্ত হয়ে উনিশ শতকের ৮০ দশকে বিএইচএমএস বেসরকারি বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ, ঢাকা ও সরকারি হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ, ঢাকায় বিএইচএমএস কোর্স চালু হয়।
ভারত, পাকিস্তান সহ বর্হিবিশ্বের অনেক দেশে বিএইচএমএস পাসকৃত হোমিওপ্যাথিকদের উচ্চ শিক্ষার জন্য দীর্ঘ অনেক বছর যাবত স্নাতকোত্তর (মাস্টার্স ডিগ্রি) বা পোস্ট গ্রাজুয়েটস পর্যায়ের এম. ডি (ডক্টর অব মেডিসিন) কোর্স চালু থাকলেও স্বাধীন বাংলাদেশে পাঁচ দশকেও হোমিওপ্যাথিক স্নাতকোত্তর (মাস্টার্স ডিগ্রি) বা পোস্ট গ্রাজুয়েটস পর্যায়ের এম. ডি (ডক্টর অব মেডিসিন) কোর্স বা স্নাতকোত্তর বা পোস্ট গ্রাজুয়েটস পর্যায়ের কোন কোর্স নেই ও কোর্সের কোন বিধিমালা এবং কারিকুলাম নেই। ভারত সহ বর্হিবিশ্বের অনেক দেশের চেয়ে হোমিওপ্যাথিকদের স্নাতকোত্তর কোর্স চালু না করাতে অনেক পিছিয়ে আছে বাংলাদেশ। ফলে বাংলাদেশে হোমিওপ্যাথিকদেরকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ের ডিএইচএমএস ও বিএইচএমএস ডিগ্রি এবং শিক্ষা অর্জনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকতে হচ্ছে বাংলাদেশের হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা শিক্ষা। বাংলাদেশ জাতীয় সংসদে পাসকৃত বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা শিক্ষা আইন ২০২৩ (২০২৩ সনের ৬৩ নং আইন) ও আইনের অধিনে বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা শিক্ষা কাউন্সিল হওয়াতে চিকিৎসকদের, চিকিৎসা শিক্ষা ও উচ্চ শিক্ষা এবং মানোন্নয়ন, গবেষণা বিষয়টি এবং আইন অনুযায়ী বিধিমালা ও প্রবিধান প্রনয়ন করে সরকার প্রজ্ঞাপন জারি করবে।
বাংলাদেশের মাঠ পর্যায়ে দাবি উল্থাপন করলে ও সরকারের বিভিন্ন প্রশাসনে ডিএইচএমএস কৃতরা এবং ভারত সহ বর্হিবিশ্বের হোমিওপ্যাথিক ডাক্তারগণ মনে করে ভারতসহ বর্হিবিশ্বের মত বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা শিক্ষা কাউন্সিল বাংলাদেশে ডিএইচএমএস হোমিওপ্যাথি পাসকৃত ডাক্তারদের অধিকার উচ্চ শিক্ষার জন্য ২ বছর একাডেমির ও ১ বছর ইন্টার্নশীপ করে B.H.M.S (Graded Degree Course) কোর্স বিএইচএমএস (গ্রেডেড ডিগ্রি কোর্স) করার বিধিমালা প্রনয়ন করে কোর্স চালু করা দরকার এবং ডিএইচএমএস হোমিওপ্যাথি পাসকৃতরা B.H.M.S (Graded Degree Course) কোর্সে ভর্তি হয়ে পাস করা ও সরাসরি সাধারণ বা জেনারেল শিক্ষা হতে B.H.M.S (Hom.) কোর্সে ভর্তি হয়ে পাস করা উভয়দের উচ্চ শিক্ষার জন্য স্নাতকোত্তর পর্যায়ের M.D. (Hom.) [Doctor of Medicine (M.D.) in Homoeopathy] কোর্স চালু করতে বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা শিক্ষা কাউন্সিল এর অধিনে M.D. (Hom.) কোর্সের বিধিমালা প্রনয়ন করে বিএইচএমএম কোর্সের কলেজ গুলোতে এমডি কোর্স চালু করা দরকার। পাশাপাশি স্নাতকোত্তর পর্যায়ের আরোও কোর্স চালু করা। বাংলাদেশ সরকার এর স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় এর সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা শিক্ষা কাউন্সিল (সাবেক বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক বোর্ড) কে B.H.M.S দের উচ্চ শিক্ষার স্নাতকোত্তর (মাস্টার্স ডিগ্রি/পোস্ট গ্রাজুয়েটস) পর্যায়ের M.D. (Hom.) ডিগ্রি কোর্সের বিধি প্রনয়নে ভারতের নথি প্রদান করা হলো।
বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা শিক্ষা আইন ২০২৩ বৈশিষ্ট্য সমূহের মধ্যে অন্যতম কয়েকটি হলো :
(১) হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা শিক্ষায় সরকার স্বীকৃত ডিগ্রি ডিএইচএমএস ও বিএইচএমএস নিবন্ধন এবং নিবন্ধিত হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকগণ (Homoeopathic Doctors) তাদের নামের পূর্বে ডা. পদবী ব্যবহার করতে পারবেন [আইন : ১৯(২), ৭(ক), ২(১৩) ধারা সমূহ]
(২) হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা শিক্ষায় সরকার স্বীকৃত ডিগ্রি ডিএইচএমএস ও বিএইচএমএস চিকিৎসকগন অনুমোদিত বিধি-বিধানের আলোকে স্ব স্ব ক্ষেত্রে উচ্চ শিক্ষার অধিকার পাবেন [আইন : ৭(খ)(গ)(ছ) ধারা সমূহ]
(৩) হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা শিক্ষার উন্নয়নে জাতীয় ভাবে গবেষণা প্রতিষ্ঠান স্থাপন ও গবেষণার সুযোগ সুবিধার সৃষ্টি করা যাবে [আইন : ১৪(ঠ), ৭(গ) ধারা সমূহ]
(৪) অবৈধ ও ভূয়া ডিগ্রিধারী, নিবন্ধনহীন হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকগণকে আইনের আওতায় শাস্তি প্রয়োগ করা যাবে [আইন : ৩০, ৩১, ৩২, ৩৩, ৩৪, ৩৫, ৩৬, ৩৭ ধারা সমূহ]
(৫) হোমিওপ্যাথির উন্নয়নে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহন ও বিধি-প্রবিধান প্রনয়ন করবে [আইন : ৪৩, ৪৪ ধারা সমূহ]
ভারতে হোমিওপ্যাথিক কাউন্সিলের অধিনে বিএইচএমএস পাসকৃতদের উচ্চ শিক্ষায় ডিএইচএমএস ও বিএইচএমএস এবং স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী কাউন্সিল হতে নিবন্ধিতদের মধ্যে ভেদাভেদ নয়, পরিচয় সকলে হোমিওপ্যাথিক ডাক্তার “ডা.-
বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা শিক্ষা আইন ২০২৩ এর ধারা “৭। কাউন্সিলের দায়িত্ব ও কার্যাবলি।- কাউন্সিলের দায়িত্ব ও কার্যাবলি হইবে নিম্নরুপ, যথা:-
(ক) হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা বিষয়ে স্নাতকোত্তর, ব্যাচেলর অব হোমিওপ্যাথিক মেডিসিন এন্ড সার্জারি বা ডিপ্লোমা ইন হোমিওপ্যাথিক মেডিসিন এন্ড সার্জারি ডিগ্রিধারীদের বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক হিসাবে নিবন্ধন;”
এখানে স্নাতকোত্তর, ব্যাচেলর বা ডিপ্লোমা ডিগ্রিধারী একই পদ্ধতির চিকিৎসক বা একই সূত্রে ডাক্তার নামকরণে হোমিওপ্যাথিক ডাক্তার “ডা.” হিসাবে নিবন্ধিত হওয়ার আইন প্রবর্তিত হয়েছে। হোমিওপ্যাথিক নিবন্ধিত ডাক্তারগণ চিকিৎসা বিজ্ঞানে সরকার স্বীকৃত স্নাতকোত্তর (মাস্টার্স ডিগ্রি), বিএইচএমএস, ডিএইচএসএম ইত্যাদি নিজ নিজ অর্জিত ডিগ্রি অনুযায়ী প্রাপ্ত রেজিস্ট্রেশন সনদে ডাক্তার “ডা.” হিসাবে পরিচিত থাকবেন। নামের পরে ডিএইচএমএস, বিএইচএমএস ইত্যাদিতে পরিচিত হবেন। ডিএইচএমএস ও বিএইচএমএস এবং স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী কাউন্সিল হতে নিবন্ধিত সকলের বড় পরিচয় ভেদাভেদ নয় হোমিওপ্যাথিক ডাক্তার “ডা.”। মানবতার ও সেবার মনোভাব নিয়ে হোমিওপ্যাথিক ডাক্তারদের হোক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। শুধুমাত্র সরকারি চাকুরি ক্ষেত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতা অনুযায়ী ও বেতন-ভাতা স্কেল, পদন্নোতি, যার যার টা সে সেটা পাবে। জেনেভা ঘোষণা (Geneva Declaration)/মেডিকেল নীতিমালা (Medical Ethics), হিপোক্রেটিক ওথ (Hipocratic Oath), চিকিৎসকদের শপথ ভুলে গেলে চলবেনা। বাংলাদেশ জাতীয় সংসদে পাসকৃত বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা শিক্ষা আইন ২০২৩ অত্যন্ত শক্তিশালী আইন। আইনে কাউকেও সহকারি, কম্পাউন্ডার, ডাক্তার নয় এগুলো হীনমন্যতা বা বাজে বাক্য বলার বা বিদ্রুপ করার কোন সুযোগ আইনে নেই, বরং ক্ষমতাধারী সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা শিক্ষা কাউন্সিলের নিকট আবেদন করে অবগত করলে বিদ্রুপকারিকে বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা শিক্ষা কাউন্সিল হতে ডাক্তারী পেশার রেজিস্ট্রেশন সনদপত্র বাতিল বা স্থগিত হতে পারে। [আইন : ধারা ২(১৩), ৭(ক), ১৯(২), ২০(১) সমূহ]
“Homoeopathy (Graded Degree Course) B.H.M.S. Regulations 1983, India” আইন (নীতিমালা) :
ভারতে সকল প্রদেশে হোমিওপ্যাথিক কাউন্সিল এর অধিনে ডিএইচএমএস ডিগ্রিধারী হোমিওপ্যাথিক ডাক্তারদের উচ্চ শিক্ষার নীতিমালা প্রনয়নে ভারতের “Homoeopathy (Graded Degree Course) B.H.M.S. Regulations 1983, India” (নীতিমালা)। ডিএইচএমএস (হোমিওপ্যাথি) পাসকৃতদের কে (সর্ট কোর্স বা ব্রীজ কোর্স বা কনডেন্সড কোর্স বা Basic Course) Basic Course মাধ্যমে বিএইচএমএস ডিগ্রি ও স্নাতক মান আইন। [ভারত : ডিএইচএমএস (হোমিওপ্যাথি) পাসকৃতরা ২ বছর একাডেমিক ও ৬ মাস ইন্টার্নশীপ করার মাধ্যমে বিএইচএমএস (হোমিওপ্যাথি) ডিগ্রি স্নাতক সমমান এবং বিশ্ববিদ্যালয় হতে সার্টিফিকেট প্রদান করে]
“Homoeopathy (Post Graduate Degree Course) M.D. (Hom.) Regulations 1989, India” আইন (নীতিমালা) :
ভারতে ডিএইচএমএস হোমিওপ্যাথিক পাসকৃতরা উচ্চ শিক্ষার B.H.M.S (Graded Degree Course) কোর্স করতে ২ বছর একাডেমিক ও ৬ মাস ইন্টার্নশীপ করার পর B.H.M.S (Graded Degree Course) ডিগ্রি অর্জন করে থাকেন (বর্হিবিশ্বের মত সমগ্র ভারতে ডিএইচএমএস হোমিওপ্যাথি পাসকৃতদের হোমিওপ্যাথিতে উচ্চ শিক্ষার জন্য বয়সের কোন বাঁধা নেই)। আবার সাধারণ বা জেনারেল শিক্ষা হতে B.H.M.S. (Hom.) কোর্স করতে একাডেমিক ৫ বছর ৬ মাস মাস (সাড়ে পাঁচ বছর) ও ১ ইন্টার্নশীপ করার পর B.H.M.S. (Hom.) ডিগ্রি অর্জন করে থাকেন।
১। ভারতে স্নাতকোত্তর এমডি (হোম) কোর্সে ভর্তির যোগ্যতা :
D.H.M.S. (Hom.) ডিগ্রি কোর্স করে ২ বছর একাডেমিক শিক্ষার মাধ্যমে B.H.M.S. (Graded Degree Course) ডিগ্রি অর্জন কারিরা উচ্চ শিক্ষার স্নাতকোত্তর পর্যায়ের M.D. (Hom.) ডিগ্রি কোর্স করতে পাবরেন। M.D. (Hom.) ডিগ্রি কোর্সে ভর্তি হতে যোগ্যতা ২ বছর একাডেমির শিক্ষার মাধ্যমে B.H.M.S. (Graded Degree Course) ডিগ্রি প্রাপ্তরা ৩ বছর মেয়াদি M.D. (Hom.) ডিগ্রি কোর্সে ভর্তি হতে পারবেন। আবার অপর দিকে সরাসরি ৫ বছর ৬ মাস একাডেমিক (সাড়ে পাঁচ বছর) ও ইন্টার্নশীপ করে B.H.M.S. (Hom.) ডিগ্রি অর্জনকারিরা উচ্চ শিক্ষার স্নাতকোত্তর পর্যায়ের ৩ বছর মেয়াদি M..D. (Hom) ডিগ্রি কোর্সে ভর্তি হতে পারবেন।
২। ভারতে স্নাতকোত্তর এমডি (হোম) কোর্সের বিষয় :
ভারতে ৭টি বিষয়ের উপর M.D. (Hom.) কোর্স আছে। B.H.M.S. (Graded Degree Course) ও B.H.M.S. (Hom.) কোর্সে পাসকৃতরা যে কোন ১টি বিষয় নিয়ে ৩ বছর মেয়াদি এমডি (হোম) কোর্স করতে পারেন। যে যেই বিষয় নিয়ে স্নাতকোত্তর (মাস্টার্স ডিগ্রি) পর্যায়ের এমডি (হোম) কোর্স করবে তার আবার অনেক পার্ট/সাবজেক্ট রয়েছে এবং ব্যবহারিক রয়েছে। নিম্নে ভারতে যেসব বিষয়ের উপর স্নাতকোত্তর এমডি (হোম) কোর্স করা যায় :
(1) M.D. (Hom.) Homoeopathic Philosophy.
(2) M.D. (Hom.) Materia Medica.
(3) M.D. (Hom.) Repertory.
(4) M.D. (Hom.) Homoeopathic Pharmacy.
(5) M.D. (Hom.) Practice of Medicine.
(6) M.D. (Hom.) Paediatrics.
(7) M.D. (Hom.) Psychiatry.
৩। ভারতে স্নাতকোত্তর এমডি (হোম) কোর্সের পরীক্ষা :
এম.ডি. (হোম.) কোর্স ৩ বছর মেয়াদি। M.D. (Hom.) Part 1 (পার্ট-১) হলো ১ বছর ৬ মাস করার পর পরীক্ষায় পাস করার পর M.D. (Hom.) Part 2 (পার্ট-২) ১ বছর ৬ মাস করার পর পরীক্ষা। তারপর M.D. (Hom.) ডিগ্রি পেয়ে থাকেন। M.D. (Hom.) কোর্সে বাধ্যতামূলক উপস্থিতি নুন্যতম ৮০%। ভারতে কেন্দ্রীয় হোমিওপ্যাথিক কাউন্সিলের নিয়ন্ত্রণ ও প্রদেশ গুলোর হোমিওপ্যাথিক কাউন্সিলের অধিনে কোর্সটি বিশ্ববিদ্যালয় ও বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত বিএইচএমএস ডিগ্রি কোর্সের অনেক কলেজে স্নাতকোত্তর M.D. (Hom.) কোর্স আছে। কোর্স সমাপ্ত করার পর সরকার ও কাউন্সিল স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় হতে M.D. (Hom.) সনদপত্র প্রদান করে।ভারতে DHMS (Hom.) হতে B.H.M.S. (Graded Degree Course) ডিগ্রি ও সাধারণ শিক্ষা হতে B.H.M.S. (Hom.) ডিগ্রিধারী হোমিওপ্যাথিক ডাক্তারদের সকল প্রদেশে কাউন্সিল গুলোর অধিনে উচ্চ শিক্ষায় “Homoeopathy (Post Graduate Degree Course) M.D. (Hom.) Regulation, 1989. (As Amended upto March, 2016), India.”(নীতিমালা), সেন্টাল কাউন্সিল অব হোমিওপ্যাথি, ভারত। উক্ত নীতিমালায় বিস্তারিত উল্লেখ আছে।
পরিশেষ :
ভারতের হোমিওপ্যাথি আইন ও পাকিস্তানের হোমিওপ্যাথি আইন সহ বর্হিবিশ্বের অনেক সরকারি গুরুত্বপূর্ণ নথি/ডকুমেন্টস অনেক চেষ্টা এবং অনেক পরিশ্রমে ব্যক্তিগতভাবে সংগ্রহ করে বাংলাদেশের হোমিওপ্যাথির সার্বিক উন্নয়নে ও পদক্ষেপ গ্রহন করতে জনস্বার্থে বাংলাদেশের সরকারি হোমিওপ্যাথি কর্তৃপক্ষসহ সরকারের উচ্চ পর্যায়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে সরকারি বাংলাদেশ ডাক বিভাগের মাধ্যমে রেজিস্টার্ড করে বিভিন্ন সময় প্রেরন করা হয়েছে। জনস্বার্থে প্রেরন ও প্রকাশিত করা হলো। অনেক বাঁধা ও পথ অতিক্রম করে এবং মাঠ পর্যায় হতে নিজের ও সম্মানিত ডিএইচএমএস পাসকৃত হোমিওপ্যাথিক ডাক্তারদের দীর্ঘ সংগ্রাম এবং সার্বিক সহযোগিতায় স্বাধীনতার পাঁচ দশক পর বৃহত্তর অর্জন অত্যন্ত শক্তিমান আইন “বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা শিক্ষা আইন ২০২৩” ও সে আইনে অন্তর্ভুক্ত “বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা শিক্ষা কাউন্সিল”। বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ এর পাসকৃত আইন বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা শিক্ষা আইন ২০২৩ এর অধিন সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা শিক্ষা কাউন্সিল (সাবেক বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক বোর্ড) এর রেজিস্ট্রার (সদস্য-সচিব) কে B.H.M.S দের উচ্চ শিক্ষার স্নাতকোত্তর (মাস্টার্স ডিগ্রি/পোস্ট গ্রাজুয়েটস) পর্যায়ের M.D. (Hom.) ডিগ্রি কোর্সের বিধি প্রনয়নে ভারতের নথি প্রদান করা হলো। এগিয়ে যাক বাংলাদেশ ও সার্বিকভাবে এগিয়ে যাক বাংলাদেশের হোমিওপ্যাথি।
(মতামত)
লেখক পরিচিতি :
ডা. মো. আব্দুস সালাম (শিপলু)।
ডিএইচএমএস (রাজশাহী হোমিওপ্যাথিক মেডিক্যাল কলেজ)
(চিকিৎসক, শিক্ষক, কেন্দ্রীয় হোমিওপ্যাথি নেতা ও শিক্ষক নেতা, কলামিস্ট ও প্রাক্তন সাংবাদিক)
বগুড়া, বাংলাদেশ।
২৫ নভেম্বর ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দ।