কে,এম আল আমিন :
উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢল,প্রবল বর্ষণ আর যমুনার পানি আশংকাজনক ভাবে বেড়ে যাওয়ায় সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা থানার ৬টি ইউনিয়নের হাজার হাজার মানুষ পানি বন্দি হয়ে পড়েছে।যমুনার পানি বৃদ্ধির ফলে সলঙ্গা থানার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত করতোয়া ও ফুলজোড় নদী সহ বিভিন্ন খাল, বিল এখন পানিতে ফুসে ওঠায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে।কয়েকদিনের টানা বর্ষনে বন্যার পানি ধেয়ে আসায় দিশেহারা সলঙ্গাবাসী।
থানার বেশ কয়েকটি ইউনিয়নের মেঠো পথ,রাস্তা ঘাট,ফসল ফসলী জমি,কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ইতিমধ্যেই বন্যার পানি ঢুকেছে। বেগুন, মরিচ, শাক -সবজি সহ বিভিন্ন তরি-তরকারীর আবাদ এখন পানির নিচে।নলকার বোয়ালিয়া বিল,ঘুড়কার বুড়বুড়িয়া বিল,ঘুড়কার কোল, হাটিকুমরুলের শাওপাড়া বিল,মাটিয়াল বিল,ধুবিলের বেতুয়ার বিল,সলঙ্গার বনবাড়িয়া বিল,রামকৃষ্ণপুরের কচিয়ার বিল পানিতে থৈ থৈ করছে।
থানার কাঁঠালবাড়িয়া,বোয়ালিয়ার চর,আঙ্গারু,বিষ্ণপুর,ফরিদপুর,তিন নান্দিনা,ঘুড়কা,হরিনচড়া,দবিরগঞ্জ,বনবাড়িয়া,হক নিহাল,রশিদপুর,কাশিনাথপুর,দাদনপুর সহ বেশ কিছু নিম্নান্চল প্লাব্লিত হয়েছে।বন্যার পানিতে ডুবে গেছে অসংখ্য পুকুর।বন্যার পানি বৃদ্ধির ফলে গবাদী পশু নিয়ে বিপাকে পড়েছে সাধারন মানুষ। গো খাদ্যের সংকটও দেখা দিয়েছে।
বন্যা কবলিত এসব মানুষদের হাতে তেমন কাজ না থাকায় একেতো করোনা, তারপর আবার আসন্ন ঈদুল আজহার এই মুহুর্তে চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন নিম্ন ও মধ্যবিত্তরা। এদিকে সরকারী ভাবে এখন পর্যন্ত কোন ত্রাণ সামগ্রী হাতে পান নি বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান গন।