মোঃ কামাল হোসেন যশোর থেকে:
যশোর-৬ (কেশবপুর) সংসদীয় আসনের উপনির্বাচনে কাঙ্খিত ভোট না পাওয়ায় বিএনপির আবুল হোসেন আজাদ (ধানের শীষ) ও জাতীয় পার্টির প্রার্থী হাবিবুর রহমান (লাঙল) এর জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। সদ্য সমাপ্ত হওয়া এ উপনির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী আবুল হোসেন আজাদ ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ২০১২ ভোট। তবে বিএনপি এই উপনির্বাচনে করোনাকালীন সময়ে ভোটের তারিখ পরিবর্তনের দাবি জানিয়ে কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত মোতাবেক নির্বাচন থেকে সরে আসে। যার কারণে মাঠে ছিলেন না বিএনপির প্রার্থী আবুল হোসেন আজাদ। অপর প্রার্থী জাতীয় পার্টির হাবিবুর রহমান লাঙল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ১৬৭৮ ভোট। নির্বাচনী আইন অনুযায়ী জামানত ফিরে পেতে মোট প্রদত্ত ভোটের ৮ ভাগের এক ভাগ পেতে হয়। সে হিসেবে গত মঙ্গলবারের উপনির্বাচনে তারা ভোট কম পাওয়ায় তাদের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে।
কেশবপুর উপজেলা নির্বাচন অফিসার মোঃ বজলুর রশিদ বুধবার জানান, নির্বাচনী আইন অনুযায়ী জামানত ফিরে পেতে মোট প্রদত্ত ভোটের ৮ ভাগের এক ভাগ পেতে হয়। যশোর-৬ (কেশবপুর) আসনের উপনির্বাচনে ২ লাখ ৩ হাজার ১৮ জন ভোটারের মধ্যে ১ লাখ ২৯ হাজার ৬৭ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। এর মধ্যে বাতিল হয়েছে ১ হাজার ৩৭৪ ভোট। আওয়ামী লীগ প্রার্থী শাহীন চাকলাদার নৌকা প্রতীকে ১ লাখ ২৪ হাজার ৩ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। বিএনপির প্রার্থী আবুল হোসেন আজাদ ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ২০১২ ভোট ও জাতীয় পার্টির হাবিবুর রহমান লাঙল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ১৬৭৮ ভোট। জামানত বাঁচাতে ২ প্রার্থীকেই ১০ হাজার ৩২৫ ভোট করে পেতে হতো। তাই নির্বাচিত প্রার্থী ছাড়া অপর দুই প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।