ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা লড়াই মানে বাড়তি উত্তেজনা। যে মহারণ দেখার অপেক্ষায় থাকে গোটা ফুটবল বিশ্ব। যুগের পর যুগ লাতিন আমেরিকার এই দুই দেশের লড়াই বরাবরই বাড়তি উন্মাদনা ছড়ায় ফুটবলপ্রেমীদের মাঝে। এবার ইঙ্গিত মিলছে কাতার বিশ্বকাপে এই দুই দলের মহাযুদ্ধের। মধ্যপ্রাচ্যের দেশটিতে সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে ‘সুপার ক্লাসিকো’ মাঠে গড়ানোর।
চলমান বিশ্বকাপের শুরু থেকেই দারুণ ছন্দে আছে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা। গ্রুপ পর্ব, শেষ ষোলোর বাঁধা পেরিয়ে দুই দলের চোখ এখন সেমিফাইনালে। কাল থেকে শুরু হওয়া কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লড়াইয়ে ব্রাজিল যদি ক্রোয়েটদের হারাতে পারে, অন্যদিকে ডাচদের বিপক্ষে যদি আলবেসেলিস্তারা জয় পায়, তবেই শেষ চারে মুখোমুখি হবে এই দুই দল। যার অপেক্ষায় আছে বিশ্বের কোটি কোটি সমর্থক।
বিশ্বকাপের মঞ্চে এখন পর্যন্ত চারবার দেখা হয়েছে ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনার। যার দুইটিতে জিতেছে সেলেসাওরা। আর্জেন্টিনার জয় একটিতে। ড্র হয়েছে অন্য ম্যাচটি। বিশ্বকাপ আসরে ১৯৭৪ সালে প্রথমবার মুখোমুখি হয়েছিল এই দুইদল। অন্যদিকে ১৯৯০ সালের পর আর কোনো আসরে মুখোমুখি লড়াইয়ে নামেনি ম্যারাডোনা-পেলের উত্তরসূরীরা।
সেমিফাইনালে প্রতিপক্ষ কে হবে তা নিয়ে না ভাবলেও লিওনেল মেসিকে ঘিরে উচ্ছ্বসিত সেলেসাও ডিফেন্ডার দানি আলভেজ। বলেন, ‘এখন মেসিই আর্জেন্টিনা। সব কিছু মেসিকে ঘিরে হচ্ছে, তার পা দিয়ে হচ্ছে। আমার মনে হয় মেসি বিধ্বংসী ছন্দে আছে। বিশ্বকাপে হিসেবে রাখতে হবে এমন খেলোয়াড়দের একজন ও। অবশ্যই নামের কারণে মেসি আলোচনায় আছে’।
তবে কাতারে ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা লড়াইয়ের সম্ভাবনার আগে ক্রোয়েশিয়া ম্যাচের দিকে তাকিয়ে আছেন আলভেজ। তিনি জানান, আমরা এখানে প্রতিপক্ষ বেছে নিতে আসিনি। বিপক্ষ যারাই হোক, লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য সবকিছু দিয়ে লড়াই করতে হবে। ব্রাজিল এখন শেষ আটে। প্রতিপক্ষ ক্রোয়েশিয়াকে যথাযথ সম্মান করে এই ম্যাচে মনোযোগ দিতে হবে আমাদের। সেখানে বিশ্বমানের ফুটবলার আছে। ওরা আমাদের ১১০ শতাংশ মনোযোগ পাওয়ার যোগ্য।
ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা সবশেষ মুখোমুখি হয় কোপা আমেরিকার ফাইনালে। যে ম্যাচে আর্জেন্টিনার কাছে হেরে যায় ব্রাজিল। এবার সেই হারের মধুর প্রতিশোধ নেওয়ার সম্ভাবনা আছে ব্রাজিলের সামনে। তবে তার আগে কোয়ার্টার ফাইনালে জয় নিশ্চিত করতে হবে দুই দলকেই। তবেই স্বপ্নের ‘সুপার ক্লাসিকো’ দেখার সৌভাগ্য হবে লক্ষ-কোটি ফুটবল ভক্তের।