আমি কখনো এ্যামিবার জীবন চাইনি
আমি ক্ষুদ্রতর কোনো অণুজীব হতে চাইনি
আমি বরাবরই প্রকাণ্ড ও বড়সড় কিছু হতে চেয়েছি
আমি মানুষের চাইতেও ঢের বেশি কিছু হতে চেয়েছি।
শতবর্ষী সেই বটবৃক্ষের চেয়েও বড় কিছু হতে চেয়েছি
প্রকাণ্ড সব শাখাপ্রশাখার মত ছড়িয়ে দাঁড়াতে চেয়েছি
ঘনসবুজ পাতার নিচে এসে জিরিয়ে নিবে ক্লান্ত পথিক
পরিযায়ী পাখি এসে শৈল্পিক বাসা বাঁধবে আপন মনে
বৈশাখে মেলা বসবে, হাট বারে হাঁটুরের সদাই-পাতি,
শিবু পালের মণ্ডার দোকান, রমিজ শেখের পুঁথিঘর,
কার্তিকের ভেজা রাতের ঝলমলে যাত্রার পেন্ডেল,
পালাগানের আসর, পূজোর মণ্ডপ, পাঠশালা- মক্তব…
একই ছায়াতলে আমি অনিন্দ্য সেই জীবন হতে চেয়েছি
আমি বারংবার মানুষের চাইতেও বেশি কিছু হতে চেয়েছি।
কখনো আকাশ ছুঁইতে চাইনি
আমি সুনীল আকাশ হতে চেয়েছি,
আমি ফুলে নাক ডুবিয়ে ঘ্রাণ নিতে চাইনি; ফুল হতে চেয়েছি,
আমি মানুষের চাইতেও ঢের বেশি কিছু হতে চেয়েছি।