বাড়ন্ত বয়সে শিশুর বাড়তি যতেœর প্রয়োজন পড়ে। বিশেষ করে দুই বছর বয়সের পর, যখন তারা বিভিন্ন ধরনের খাবার খেতে শুরু করে। এই সময় সঠিক খাবার খাওয়ানো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। শিশুর বেড়ে ওঠা ও সার্বিক উন্নতির জন্য পুষ্টি অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। তাই শুরু থেকেই শিশুর স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। কারণ, এ ধরনের খাবার শিশুর দক্ষতা, স্মৃতিশক্তি, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে কাজ করে।
ডিম : শিশুর সর্বোচ্চ বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজন পড়ে প্রোটিনের। ডিম প্রোটিনের অন্যতম উৎস। এটি শিশুকে শক্তিশালী করে। তার পেশি গঠনে সাহায্য করে। ডিমের প্রোটিন শিশুর দুর্বলতা ও হাড়ের সমস্যা দূর করে। সেইসঙ্গে এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
দুধ : দুধ অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি খাবার। কারণ এতে থাকে পর্যাপ্ত ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি। দাঁত ও হাড় ভালো রাখে ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখে। পাশাপাশি দুধে থাকা ক্যালসিয়াম শিশুর স্থূলতা রোধে কাজ করে। পর্যাপ্ত ভিটামিন ডি থাকায় দুধ খেলে তা শিশুকে নানা অসুখ থেকে দূরে রাখতে সাহায্য করে।
পালংশাক : প্রয়োজনীয় ভিটামিন যেমন ভিটামিন সি, এ এবং কে এর পাওয়ার হাউজ বলা হয় পালংশাককে। এতে আরো থাকে প্রচুর ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম ও আয়রন যা শিশুর বাড়ন্ত বয়সে প্রয়োজন। নিয়মিত পালংশাক খেলে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়ে।
গাজর : ভিটামিন এ-এর সমৃদ্ধ উৎস হলো গাজর। এটি শিশুর জন্য অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর। গাজর খেলে দৃষ্টিশক্তির উন্নতি হয় এবং এটি অন্যান্য অঙ্গের পেশির গঠনেও সাহায্য করে। সুস্বাদু এই সবজি শিশুর দাঁতও ভালো রাখে। শিশুর পেটের সংক্রমণ ও কোষ্ঠকাঠিন্য রোধেও কাজ করে।
কমলা : কমলার মতো যেকোনো সাইট্রাস জাতীয় ফলই শিশুর স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ভিটামিন সি সমৃদ্ধ হওয়ার কারণে এটি শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উন্নতি করে এবং ঘন ঘন সর্দি-কাশি হওয়া থেকে দূরে রাখে। তথ্য সূত্র : এনডিটিভি