যশোরের অভয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডেঙ্গু রোগী আটকে রেখে টেস্ট বানিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। এযেন কারো পৌষমাস কারো সর্বনাশ। খোদ হাসপাতালের দুই ডাক্তারের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ পাওয়া গেছে । সুস্থ রোগীকে ছাড়পত্র না দিয়ে প্রতিদিন নিত্য নতুন টেস্ট দিয়ে মোটা অংকের অর্থ হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ তাদের বিরদ্ধে। সুত্র জানায়, সেপ্টেম্বর থেকে অভয়নগরে ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়লে কপাল খুলে যায় ঐ দুই ডাক্তারের। প্রতিদিন সকালে তারা দুজন রাউন্ডে গিয়ে রোগীদেরকে একাধিক টেষ্ট ধরিয়ে দেন, পাশাপাশি নির্দিষ্ট প্যাথলজি থেকে টেস্ট না করালে রোগীদেরকে পড়তে হয় ঐ ডাক্তারের রোষানলে। তাদেরকে ছাড়া অন্যকোন ডাক্তারকে রাউন্ডে দেখা যায়না, এমনটায় জানিয়েছেন ভুক্তভোগী একাধীক রোগী। এছাড়াও গুরুতর অসুস্থ রোগীকে সময়মত অন্য কোনো ভাল হাসপাতালে রেফার্ড না করার অভিযোগ রয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হাসপাতালের একজন কর্মকর্তা জানান, ঐ দুই ডাক্তারের হাতে অভয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স জিম্মি হয়ে পড়েছে। এ নিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার সাথে ঐ দুই ডাক্তারের সম্পর্কের অবনতি হয়েছে বলে সুত্র জানায়। এব্যাপারে অভয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ওয়াহিদুজ্জামানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, রোগীর রক্তে প্লাটিলেট এক লাখের বেশি থাকলে সেই সকল রোগীকে ছুটি ও ৫০ হাজারের কম থাকলে সেই সকল রোগীকে খুলনায় রেফার্ড করার জন্য ডাক্তারদেরকে বলা হয়েছে। কিন্তু তা না করে তাদেরকে বিভিন্ন রকম টেষ্ট দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে। গতকাল মঙ্গলবার বিকালে অভয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে দেখা যায়, মাহিম নামের এক রোগীর প্লাটিলেট ৪০ হাজারের নিচে তবুও কেন রেফার্ড করা হয়নি জানতে চাইলে তিনি বলেন, সকালে রাউন্ডে যিনি গিয়েছিলেন তিনি ভালো বলতে পারবেন। উল্লেখ্য গত রোববার শিউলি নামে একজন ডেঙ্গু রোগীকে অভয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে রেফার্ড করলে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে তার মৃত্যু হয়।