সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে মা সহ ২ ছেলে খুনের ঘটনার রহস্যের জট খুলেছে। ইতিমধ্যেই পুলিশ খুনীকে গ্রেফতার করেছে। ঋণের দায় হতে মুক্তি পেতে টাকা সংগ্রহ করতে গিয়ে অবশেষে ট্রিপল মার্ডার করেছে বলে স্বীকারোক্তি দিয়েছে খুনী আইয়ুব।
আজ সোমবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে সিরাজগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার আরিফুর রহমান মন্ডল জানান, গত ১ অক্টোবর শনিবার জেলার বেলকুচির মধুপুর গ্রাম থেকে মা ও ২ছেলের অর্দ্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করে। প্রাথমিকভাবে এটি হত্যাকান্ড মনে হলেও কোন ক্লু ছিলনা। পরবর্তীতে নানা প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে জেলার উল্লাপাড়া থেকে হত্যাকান্ডে জড়িত আইয়ুব আলী ওরফে সাগরকে গ্রেফতার করা হয়। সাগরের জবানবন্দী অনুযায়ী পুলিশ সুপার আরো জানান, আইয়ুব আলী সাগর পেশায় একজন তাঁত শ্রমিক। ঋনগ্রস্থ্য হবার কারনে তিনি হতাশাগ্রস্থ্য হয়ে পড়েন। ঋণের কিস্তির টাকা সংগ্রহের জন্য ২৬ সেপ্টেম্বর সৎ খালা রওশন আরার বাড়িতে যান। কিন্তু টাকা না পেয়ে ফেরত আসে। পরবর্তিতে তিনি ঋণ পরিশোধ করার জন্য চুরির উদ্দ্যেশে গত ২৮ সেপ্টেম্বর খালার বাড়িতে আসে এবং রাতে খাবার খেয়ে এক সাথে ঘুমিয়ে পড়ে। পরে রাত গভীর হলে খালার কাছ থেকে চাবি চুরি করে ট্র্যাংকের ভিতর থেকে টাকা ও সোনা খোজাখুঁজি করতে থাকে। এ সময় খালা রওশন আরা জেগে উঠলে শিল দিয়ে বুকে আঘাত করে। পরে শ্বাসরোধ করে, মৃত্যু নিশ্চিত করে। এ সময় ছোটভাই মাহিন (৩) কান্নাকাটি করলে তারও গলা টিপে হত্যা করে। পরে আরেক ছেলে সাজিদ (১০) ঘুমের মধ্যে উঠে বলে তাকে গলা টিপে হত্যা করে। পরে ভোরের আলো ফুটলে ঘরে সিটকিনি দিয়ে পালিয়ে যায়। ঘটনার তিনদিন অতিবাহিত হবার পর ১ অক্টোবর ঘটনা জানাজানি হলে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে।