শনিবার, ২২ নভেম্বর ২০২৫, ০৫:০৯ অপরাহ্ন

ই-পেপার

ঝালকাঠির চাঁদকাঠি মাছ বাজার সিন্ডিকেটের দখলে

ঝালকাঠি প্রতিনিধি:
আপডেট সময়: রবিবার, ২ অক্টোবর, ২০২২, ৬:৪৬ অপরাহ্ণ

ঝালকাঠি পৌরসভার চাঁদকাঠি মাছ বাজার একটি অসাধু সিন্ডিকেটের দখলে থাকার অভিযোগ পাওয়া গেছে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সকালে ও বিকালে দূরদূরান্ত থেকে আগত জেলেরা মাছ বিক্রির জন্যে বাজারের আরদ্দারদের কাছে নিয়ে আসে। বাজারের স্থানীয় কিছু অসাধু খুচরা বিক্রেতারা সিন্ডিকেট করে আরদ্দারদের সাথে আতাঁত করে কম দামে মাছ কিনে চড়া দামে জনসাধারণের কাছে বিক্রি করে। বাহিরের সাধারণ ক্রেতারা মাছের ডাক নিতে গেলে কৌশলে দাম উঠিয়ে দিয়ে চড়া দামে বিক্রি করে এবং সাধারণ ক্রেতাদের নিকট থেকে তোলা হিসেবে আরদ্দরা ইচ্ছেমত মাছ রেখে দেয়। বাজারে আসা চাঁদকাঠির বাসিন্দা মো: মনির হোসেন জানায়, এই বাজারে আরদ্দার ও খুচরা ব্যবসায়ীদের যৌথ সিন্ডকেট থাকায় সাধারণ মানুষ সহজে এ বাজার থেকে মাছ কিনতে পারে না। ক্রেতাদের বিশেষ কৌশলে ফেলে অধিক দামে মাছ বিক্রি করে। মাছ ক্রেতা ও জেলেরা উভয়ই এই বাজারের আরদ্দারদের নিকট এক ধরনের জিম্মি হয়ে পড়েছে। ক্রেতারা বিক্রেতাদের পছন্দ মত দাম না বললে ক্রেতাদের সাথে খারাপ ব্যবহার করতে দেখা যায়। সাগরের পঁচা মাছ এবং জাটকা ইলিশও এ বাজারে প্রকাশ্যে বিক্রি করতে দেখা যায়। মাছের থালায় নীচে পচা মাছ এবং উপরে ভাল মাছ রেখে প্রতারাণার মাধ্যমে মাছ বিক্রি করে ভোক্তা, ক্রেতা সাধারণকে ঠকিয়ে থাকে। মাছে ওজনে কম দেয়ার অভিযোগ ভুড়ি ভুড়ি। চিংড়ী মাছের ডিম থাকার স্থানে জেলি লাগিয়ে ওজন বৃদ্ধি করে মাছ বিক্রির অভিযোগ করেন আগত ক্রেতারা। এ বিষয়ে ওই এলাকার বাসিন্দা মাসুম জানান, “আমি মাছ কিনতে গেলে আমার নিকট থেকে চড়া দাম রাখে এবং ডাকে মাছ কিনলে তা থেকে অনেক মাছ তোলা হিসেবে রেখে দেয় যা সম্পুর্ণ অন্যায়। এছাড়াও ফরমালিনযুক্ত মাছ বিক্রি করার অবিযোগ রয়েছে এ বাজারের সাচ বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে।
জানাযায় একাধিকবার ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন কর্তৃপক্ষ জরিমানাসহ সতর্ক করা সত্ত্বেও তাদের কোন টনক নড়েনি। অদৃশ্য খুটির জোড়ে তারা তাদের অন্যায় ও জোরজুলুম কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে।
চাদকাঠির  মাছ ব্যবসায়ী  দেবু মালো বলেন, আমাদের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সঠিক নয়। সাংবাদিক কেউ তার সাথে দেখা করলে তিনি সাক্ষাতে এ বিষয়ে বিস্তারিত বলবেন বলে জানান।”
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন ঝালকাঠির সহকারী পরিচালক ইন্দ্রানী দাস বলেন, “এ বিষয়ে ভোক্তা সাধারণের পক্ষ থেকে অভিযোগ পাওয়া গেলে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। ইতিপূর্বে ওই বাজারে এক অভিযানে তিনি মাছ ব্যবসায়ীদের সতর্ক করে দিয়েছেন বলেও জানান।”


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর পড়ুন
এক ক্লিকে বিভাগের খবর