রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:১৩ অপরাহ্ন

ই-পেপার

অগ্রযাত্রায় আমাদের যাত্রা – ইমাউল হক পিপিএম

চলনবিলের আলো ডেস্ক:
আপডেট সময়: শুক্রবার, ৯ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ১০:০৬ অপরাহ্ণ

লেখা কেউ পড়ে না।সবাই ভাইরাল জিনিস দেখে।আর পুলিশ নিয়ে ভাল কিছু লিখলে পুলিশ ই পড়ে না।পুলিশের খারাপ কোন সংবাদ পুলিশ তো পড়েই সাথে পুরো দেশ ই পড়ে। অনেকেই মুখস্থ করে।

পুলিশ তার ভাল কথা লিখলেও পড়ে না জন্য ভাল তুলে ধরার মানুষ ও কম ।তবুও আবোল তাবোল কিছু লিখলাম

প্রখর রোদ ।ভাংগা টেম্পোর পিছনে বসে পুলিশ নিরাপত্তা নিশ্চিত করে, শীততাপনিয়ন্ত্রিত মানুষদের ।

ট্রাফিক আইল্যান্ড এ অসহায় হয়ে দাঁড়িয়ে ডিউটি করে সকাল থেকে সন্ধ্যা ।এক হাতে ইফতারি আরেক হাত দিয়ে সিগন্যাল।

নিজের ছেলে বাবাকে সারাদিনেও দেখতে পারে না কিন্তু অন্যের ছেলেকে স্কুলে দিয়ে গেটে দাঁড়িয়ে থাকে

।নিজের বোনকে উত্ত্যক্ত করার সংবাদ মাথায় নিয়ে অন্যের ধর্ষণের আসামি গ্রেফতার করতে ভাংগা গাড়ি নিয়ে খালে পড়ে পা হারায় পুলিশ।

পুলিশ নিজের মায়ের পেট ব্যথার ওষুধ কেনার টাকা বা সময় পায়না আর ওদিকে অসুস্থ রোগীর হাসপাতালের প্রহরী ।
বাবার সাথে ঈদের নামাজ পড়তে পারে না কিন্তু চাচার নামাজের পিছনে আঠারো বছরের সিপাহী বিশ ইঞ্চি রাইফেল নিয়ে ঘামে ঝর ঝর দন্ডায়মান ।
নিজের ঘর ঝাড়ু না দেওয়ায় ময়লা থাকে আর সে ব্যস্ত রাস্তায় ঝাড়ু নিয়ে ।নিজের নতুন ঘরে ঘুমাতে পারে না কিন্তু অন্যে পুরাতন ঘর ঘিরে রাখে চোর মুক্ত করতে।

মোটা চাউলের ভাত খেয়ে সুগন্ধি রান্নার নিরাপত্তা । গনশৈচাগার এ পরিস্কার হয়ে বিউটি পার্লার আর বারের নিরাপত্তা দেয় ।নিজের বাবা মার জানাযা’র সময় অন্য জনকে গার্ড অব অনার ।
সমাবেশের নিরাপত্তায় মাতৃবিয়োগের খবরও বলতে পারে না!অনেক সময় ছুটি মেলে না নিজের বিয়ের দিন।

নিজের খাবার রাস্তায় খেয়ে অন্যকে বাসায় খাবার নিরাপত্তা দেয় । বিদ্যাপীঠে কলম নিয়ে যাবার ভাগ্য নেই বলে রাইফেল হাতে কলমের নিরাপত্তা ।সেই কলম ধারী রা রাইফেল বহন কারীদের বিরুদ্ধেই লেখে।

চুরি,ডাকাতি,খুন,ধর্ষণ,মারামারি,অপহরণ,সব অপরাধ দুর করে নিজের দেহের বিনিময়ে অন্য একজনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে ।নেহাতই কেনা গোলাম বা কোতোয়াল ছাড়া আর কি!
আর শান্তনা এটাই দেশ ও দশের অবহেলা আর অসম্মানের মধ্যেই সেবা দিতে যেয়ে নিজের ইউনিফর্ম কে ঘামে ভেজা করে কোন মতে ২৪ঘন্টা দাঁড়িয়ে থেকে ৮ঘন্টার মুজুরি নিয়ে দিন যাপন ।
অতিরিক্ত সুবিধা নাই ।বাহাদুরি নাই।ভালই তো ৮ঘন্টার পরিশ্রম এ ২৪ঘন্টার কাজ এ আর খারাপ কি??এত সস্তা পোকা লাগা বেগুন ও পাওয়া যায় না।।

নিজের জ্বর 103,হাজির অন্যের জানাযা,র দিন।করোনার মৃত্যু পুত্রের ফেলে যাওয়া বাবাকে দেয় জানাজা। জ্বর যন্ত্রনায় জংগলে রাখা মানুষের মাকে কোলে তোলে পুলিশ!

মহামারীর মহানায়ক আশীর্বাদ হয়ে সৎকার করে শত শত পিতৃদেবতার। অবতার হয়ে সভ্যতায় কলঙ্ক মুক্ক করে সময়ের সাহসী ওসি এসপি দারোগা। তবুও যত দোষ নন্দঘোষ।

যারা উঠতে বসতে ঘুষখোর বলে গালি দিয়েছে তাদের অনেকেরই শব দেহ ঘাড়ে তুলেছে পুলিশ।

বীরবেশে আসমান জমিন জয় করে মহামারীতে মহারাজাদের ভার বহন করেছে এই পুলিশ।

যেভাবেই হোক অগ্রযাত্রায় চলছে ভালই।পাতা বাহারে পাতা না থাকলেও গাছ তো আছে ।ঘামে ভেজা ইউনিফর্ম কষ্টের গন্ধ থাকতে পারে কিন্ত আত্মতৃপ্তি ও প্রচুর ।।নিজেদের কাছে তা শৃংখলার দৃপ্ত শপথ।স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রথম প্রতিরোধ করেছিল তো পুলিশেরই দেশপ্রেমিক সদস্যগন। উপযুক্ত পুরস্কার পেয়েছে পুলিশ। সন্ত্রাসীদের করেছে নিশ্চিহ্ন।বাংলাদেশ পুলিশ নিরাপত্তার আলোতে দিবারাত্রী করেছে আলোকিত।কোন ব্যক্তির কলঙ্কের ভার নেওয়ার ইতিহাস তো নেই পুলিশের,বরং নষ্ট- দুষ্ট দের নিজে হাতে দমনের ব্যবচ্ছেদ করার নজীর আছে।

আর নষ্ট তো নষ্টই।সে অনিষ্ট করবেই আর তার পাওনা তাকেই পেতে হবে ।ব্যক্তির অনিষ্টের দায় পরিবারের নয়।পরিবারের নোংরামির দায় সমাজের নয়।অপরাধী তার আগেই পরিবার সমাজ ,সংগঠন থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় ।চলে যায় বিচারের অনিবার্য বাস্তবতায়।নিক্ষিপ্ত হয় বসুন্ধরার ঘৃণিত স্তরে।অস্তিত্বে শূন্যতা আসে পাপীষ্ঠ পেতাত্বাদের।
পুলিশ পেশার তৃপ্তির প্রাপ্তি সেখানেই।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর পড়ুন
এক ক্লিকে বিভাগের খবর