দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লা খনিতে তিন শিফটে কয়লা উত্তোলন শুরু হয়েছে। গত শনিবার প্রথম দিনে এখান থেকে উত্তোলন হয়েছে ২ হাজার ৭৩১ টন কয়লা। কর্তৃপক্ষের আশা, তিন শিফটে প্রতিদিন ৩ থেকে সাড়ে ৩ হাজার টন কয়লা উত্তোলন করা সম্ভব হবে। খনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী সাইফুল ইসলাম সরকার আজ রোববার এসব তথ্য জানান।
সাইফুল ইসলাম জানান, বেশ কিছু শ্রমিকের শরীরে করোনা শনাক্ত হওয়ায় উৎপাদন বন্ধ থাকার পর ৬ আগস্ট সন্ধ্যা ৬টা থেকে এক শিফটে কয়লা তোলা শুরু হয়। রক্ষণাবেক্ষণ কাজ শেষে শনিবার ভোর থেকে তিন শিফটে পুরোদমে কয়লা উত্তোলন শুরু করা হয়। প্রথম ২৪ ঘণ্টায় ২ হাজার ৭৩১ টন কয়লা উত্তোলন করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, এসব শিফটে বাংলাদেশি ২৯৩ এবং চীনের ৩০০ জন শ্রমিক কাজ করছেন। শ্রমিকের সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে। সংখ্যা বাড়লে প্রতিদিন ৩ থেকে সাড়ে ৩ হাজার টন করে কয়লা উত্তোলন সম্ভব হবে।
এর আগে খনির ১৩১০ নম্বর ফেইজের মজুত শেষ হয়ে যাওয়ায় গত ৩০ এপ্রিল বড়পুকুরিয়া থেকে কয়লা উত্তোলন বন্ধ হয়ে যায়। ফেইজটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করার পর গত ২৭ জুলাই নতুন ফেইজ থেকে পরীক্ষামূলক উৎপাদন শুরু করে কর্তৃপক্ষ।
চার থেকে পাঁচ দিনের মধ্যেই এখান থেকে পূর্ণাঙ্গ উৎপাদনে যাওয়ার কথা ছিল। তবে এর মধ্যে ৫২ জন চীনা ও বাংলাদেশি শ্রমিকের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। পরে ৩০ জুলাই সকাল থেকে ফের কয়লা উত্তোলন বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ। ওই ঘটনার সাত দিন পর এক শিফটে কয়লা উত্তোলন শুরু করে কর্তৃপক্ষ। বর্তমানে কয়লা খনিতে দেশি ও বিদেশি যেসব শ্রমিকের শরীরে করোনা বা তার উপসর্গ নেই, তাঁদের দিয়ে তিন শিফটে কয়লা উত্তোলন করানো হচ্ছে।