শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ০৬:৩৭ অপরাহ্ন

ই-পেপার

শেখ কামালের জীবন হোক তারুণ্যের পথ চলার দিশা

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
আপডেট সময়: শনিবার, ৬ আগস্ট, ২০২২, ৬:২১ অপরাহ্ণ

 নিজেদের মেধা ও মননের বিকাশের মধ্য দিয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বাংলাদেশের মর্যাদা আরো উঁচুতে নিয়ে যেতে দেশের কিশোর ও তরুণদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, বহুমুখী প্রতিভা, সাদাসিধে জীবনযাপন এবং নিরহংকারী চরিত্রের মাধ্যমে শেখ কামালের জীবন হোক তারুণ্যের পথের দিশা। গতকাল শুক্রবার বঙ্গবন্ধুর বড় ছেলে শেখ কামালের জন্মদিন উপলক্ষে ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ‘শেখ কামাল জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ পুরস্কার-২০২২’ বিতরণ অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামাল যে নীতি, আদর্শ ও চলার পথের দিশা দিয়ে গেছেন, শিশু থেকে যুবসমাজ তা অনুসরণ করে নিজেদের গড়ে তুলবে বলে আশা করি। একাধারে সে হকি খেলত, ফুটবল খেলত, ক্রিকেট খেলত। আবার সেতার বাজাত। ভালো গান গাইতে পারত। নাটকে অংশ নিত। তার অনেক নাটক করা আছে। উপস্থিত বক্তৃতায় সে সব সময় পুরস্কার পেত। পাশাপাশি
কামাল রাজনৈতিকভাবেও সচেতন ছিল। শাহিন স্কুল থেকে পাস করে যখন ঢাকা কলেজে পড়ত, তখন থেকে সে ছাত্রলীগের একজন সক্রিয় কর্মী। আমরা সংগঠন করতাম, কখনো কোনো পদ নিয়ে আমাদের চিন্তা ছিল না। এমনকি দেশ স্বাধীন হওয়ার পর রাষ্ট্রপতি বা প্রধানমন্ত্রীর ছেলে হিসেবে তার কোনো অহংকার ছিল না।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমার বাবা শিখিয়েছেন মানুষের জন্য রাজনীতি করা। তার আদর্শ নিয়ে আমরা পথ চলতাম। তিনিই আমাদের সাদাসিধে জীবনযাপন কীভাবে করতে হবে শিখিয়েছিলেন। সাধারণ জীবনযাপনে থেকে গভীর চিন্তা করা। এটাই ছিল আমাদের মোটো। এটাই আমাদের শিখিয়েছিলেন এবং আমরা সেটাই করতাম।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, কামাল এবং বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনি নূর চৌধুরী একসঙ্গে জেনারেল আতাউল গনি ওসমানীর এডিসি ছিল। নিয়তির কি নিষ্ঠুর পরিহাস, এই নূরই প্রথম আসে। কারণ কর্নেল ফারুকের নেতৃত্বে যে গ্রুপটা আমাদের ৩২ নম্বরের বাড়ি আক্রমণ করে, সেখানে কর্নেল নুরুল হুদা প্রবেশ করেছিল। কামাল মনে হয় ধোঁকায় পড়ে গিয়েছিল তাকে দেখে। ভেবেছিল বোধ হয় তারা উদ্ধার করতে এসেছে। কিন্তু তারা যে ঘাতক, সেটা জানত না। কারণ প্রথম তারা কামালকে গুলি করে। তারপর একে একে পরিবারের সব সদস্যকে নির্মমভাবে হত্যা করে।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী খেলাধুলার সঙ্গে বঙ্গবন্ধু পরিবারের সদস্যদের সম্পৃক্ততার কথা তুলে ধরেন। দেশের কিশোর ও তরুণরা যেন খেলাধুলায় সম্পৃক্ত হয়, সেজন্য জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কী কী উদ্যোগ নিয়েছিলেন, সেসব কথাও বলেন তিনি।
অনুষ্ঠানে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ২০২২ সালে সাতটি ক্যাটাগরিতে ৯ জন ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব এবং দুটি প্রতিষ্ঠানকে শেখ কামাল জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ পুরস্কার দেয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন। এবার হারুনুর রশিদকে আজীবন সম্মাননা; সংগঠক হিসেবে ভূমিকার জন্য সাইদুর রহমান প্যাটেল ও নাজমা শামীম; ক্রীড়াবিদ ক্যাটাগরিতে ক্রিকেটার লিটন দাস; শুটার আব্দুল্লাহ হেল বাকী এবং ভারোত্তোলক মোল্লা সাবিরা, উদীয়মান ক্রীড়াবিদ ক্যাটাগরিতে আর্চার দিয়া সিদ্দিকী ও ক্রিকেটার শরিফুল ইসলাম, পৃষ্ঠপোষকতায় গ্রিন ডেল্টা ইন্স্যুরেন্স, ক্রীড়া সাংবাদিকতায় কাশীনাথ বসাক এবং ক্রীড়া সংস্থা হিসেবে বাংলাদেশ অলিম্পিক এসোসিয়েশন পুরস্কার পেয়েছে।
অনুষ্ঠানে ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের যুব ও ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক হারুনুর রশীদ বক্তব্য রাখেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর পড়ুন
এক ক্লিকে বিভাগের খবর