আজ থেকে হারারে স্পোর্টস ক্লাবে শুরু হতে যাওয়া জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজেও নিজেদের আধিপত্য বজায় রাখার লক্ষ্য নিয়ে মাঠে নামছে বাংলাদেশ। এই সফরে সদ্যই জিম্বাবুয়ের কাছে প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টি সিরিজ হারের লজ্জা পায় বাংলাদেশ।
শুক্রবার (৫ জুলাই) বাংলাদেশ সময় দুপুর ১টা ১৫ মিনিটে শুরু হওয়া ম্যাচটি টি-স্পোর্টস চ্যানেলে সরাসরি সম্প্রচার করা হবে।
টি-টোয়েন্টি ফেভারিট ফরমেট নয় বাংলাদেশের। তারপরও আশা করা হয়েছিল টি-টোয়েন্টি সিরিজে জিতবে টাইগাররা। কিন্তু বাংলাদেশের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে ২-১ ব্যবধানে প্রথম সিরিজ জয়ের স্বাদ নেয় জিম্বাবুয়ে। সে সঙ্গে এই ফরমেটে কোনো টেস্ট খেলুড়ে দেশের বিপক্ষে প্রথম সিরিজ জয়ের স্বাদ পায় জিম্বাবুয়ে।
এই মুহূর্তে ওয়ানডেতে বিশ্বের সেরা দল বাংলাদেশ। ২০১৯ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপের পর ৯টি দ্বিপক্ষীয় সিরিজ খেলেছে বাংলাদেশ। এর মধ্যে সাতটিতেই জিতেছে তারা। ২০১৯ সালে শ্রীলঙ্কা ও ২০২১ সালে নিউজিল্যান্ডের কাছে দুটি সিরিজ হারে তারা। নিউজিল্যান্ডের কাছে হারের পর টানা পাঁচটি সিরিজ জিতে বাংলাদেশ। শ্রীলঙ্কা-জিম্বাবুয়ে-আফগানিস্তান-দক্ষিণ আফ্রিকা ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে জিতে টাইগাররা।
তাই ওয়ানডেতে বাংলাদেশের শক্তি স্পষ্ট। জিম্বাবুয়ের কাছে বাংলাদেশ সিরিজ হারলে সেটি হবে বড় ধরনের অঘটন। ২০১৩ সালের পর থেকে জিম্বাবুয়ের কাছে কোনো সিরিজ হারেনি টাইগাররা। ওই বছর ঘরের মাঠে বাংলাদেশকে ২-১ ব্যবধানে হারিয়েছিল জিম্বাবুয়ে। ওই সময় থেকে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পাঁচটি সিরিজ ও ত্রিদেশীয় সিরিজে দুটি ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ। সব ম্যাচে জিতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টানা ১৯ ম্যাচ জয়ের রেকর্ড গড়েছে টাইগাররা। আজ বাংলাদেশ যখন তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথমটি খেলতে নামবে তখন তাদের নজর থাকবে জয়ের সংখ্যাটা ২০-এ নেওয়া।
সব মিলিয়ে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৭৮টি ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ। এর মধ্যে ৫০টিতে জিতেছে টাইগাররা। হেরেছে ২৮টিতে।
কিন্তু বাংলাদেশের জয়ের ধারাকে কি আটকাতে পারবে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয় করা জিম্বাবুয়ে? প্রশ্নটি অবশ্যই তাড়া করবে বাংলাদেশি ভক্তদের। অন্য যে কোনো সময়ের চেয়ে বেশি সংঘবদ্ধ এবং দৃঢ় প্রতিজ্ঞ এক দল জিম্বাবুয়ে।
জিম্বাবুয়ের কাছে টি-টোয়েন্টি সিরিজ হারকে অসম্মানজনক বলে অভিহিত করে খেলোয়াড়দের দিকে আঙুল তুলেছেন দলের পরিচালক খালেদ মাহমুদ সুজন। তিনি জানান, দলের জয়ের জন্য ঝুঁকি নিয়ে না খেলে নিজের জায়গা ধরে রাখার জন্য খেলেছেন তারা।
মাহমুদ বলেন, ‘জিম্বাবুয়ের কাছে হারব আমি আশা করিনি। আমরা তাদের চেয়ে ভালো দল। আমি এটাকে অপমানজনক বলব।’ মাহমুদ আরো বলেন, ‘যখন আমাদের প্রতি ওভারে ১০ বা ১২ রানের প্রয়োজন ছিল ওই সময় প্রতি ওভারে ছয় বা সাত করে রান নিয়েছি। কেউ ছক্কা মারার চেষ্টাও করেনি। সবাই এক-দুই রানের জন্য খেলেছিল। নিজেদের জায়গা রক্ষা করার মতো ব্যাটিং করেছিল তারা।’
বাংলাদেশ : তামিম ইকবাল (অধিনায়ক), লিটন দাস, এনামুল হক বিজয়, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ, আফিফ হোসেন, নুরুল হাসান সোহান, মেহেদি হাসান মিরাজ, নাসুম আহমেদ, তাসকিন আহমেদ, শরিফুল ইসলাম, মুস্তাফিজুর রহমান, হাসান মাহমুদ, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত ও তাইজুল ইসলাম।
জিম্বাবুয়ে : ক্রেইগ আরভিন (অধিনায়ক), রেগিস চাকাভা (উইকেটরক্ষক), তানাকা চিভাঙ্গা, লুক জঙ্গি, ইনোসেন্ট কাইয়া, ওয়েসলে মাধভের, তাদিওয়ানশে মারুমানি, ওয়েলিংটন মাসাকাদজা, টনি মুনিয়োঙ্গা, রিচার্ড এনগারাভা, ভিক্টর নিয়ুচি, সিকান্দার রাজা, মিল্টন শুম্বা ও সিন উইলিয়ামস।