বুধবার, ১৫ মে ২০২৪, ০৬:১১ পূর্বাহ্ন

ই-পেপার

নওয়াপাড়ায় রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল শ্রমিকদের মজুরী বকেয়া ২৮৩ কোটি টাকা

প্রতিনিধির নাম:
আপডেট সময়: মঙ্গলবার, ৭ জুলাই, ২০২০, ৫:১৫ অপরাহ্ণ

মোঃ কামাল হোসেন অভয়নগর যশোর থেকে:

শিল্প, বাণিজ্য ও বন্দও নগরী নওয়াপাড়ার দু’টি রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল যশোর জুট ইন্ডাস্ট্রিজ (জেজেআই) ও কার্পেটিং জুট মিলের শ্রমিকদের ২৮৩ কোটি টাকা মজুরী বকেয়া রয়েছে। বন্ধ ঘোষণার পর পাওনা টাকা পাওয়ার আশায় শ্রমিকদের মাঝে উৎকন্ঠা বিরাজ করছে। প্রতিদিন তারা মিল গেটের বাইরে অবস্থান করছে। বিড়ম্বনা ছাড়া পাওনা টাকার প্রত্যাশা করছে শ্রমিকরা। জানা গেছে, পৌরসভার রাজঘাট এলাকায় ভৈরব নদরে তীরে ১৯৬৭ সালের ৩০ মে প্রায় ৮২ একর জমির উপর যশোর জুট ইন্ডাস্ট্রিজের (জেজেআই) নির্মাণ কাজ শুরু হয়। ১৯৭০ সালের ২৭ জানুয়ারি ৩১০টি হেসিয়ান লুম, ১০০টি স্যাকিং লুম এবং ৫৬টি সিবিসি (ব্রড) লুম নিয়ে মিলটি যাত্রা শুরু করে।

 

১৯৭৮ সাল পর্যন্ত মিলটি লাভজনক প্রতিষ্টান হিসেবে সফলতার স্বাক্ষর রাখে। বিজেএমসি এর অন্তভূক্ত হওয়ার কয়েক বছর পর থেকে অলাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয় এ মিলটি। অপরদিকে একই এলাকায় ভৈরব নদের তীরে ১৯৬৭ সালে ৩১ একর জমির উপর কার্পেটিং জুট মিলের নির্মাণ কাজ শুরু হয়। ১৯৬৯ সালে ৮৬ টি সিবিসি (ব্রড) লুম নিয়ে মিলটি উৎপাদন শুরু করে। ১৯৭৮ সাল পর্যন্ত মিলটি লাভজনক প্রতিষ্টান হিসেবে সফলতার স্বাক্ষর রাখে। এ ব্যাপারে জেজেআই মিলের প্রকল্প প্রধান সফিকুল ইসলাম জানান, এ মিলে স্থায়ী শ্রমিকের সংখ্যা ১ হাজার ৮৬ জন। অস্থায়ী শ্রমিক ১ হাজার ১৭৭ জন। কর্মচারী ৭০ জন এবং কর্মকর্তা ৪৫ জন। শ্রমিকদের বকেয়া মজুরী, গ্রাচুইটি ও পিএফ ফান্ডের পরিমান প্রায় ২০০ কোটি টাকা। মিলটি বন্ধ হওয়ার পূর্বে পাট থেকে উৎপাদিত পণ্যের মূল্য প্রায় ২৮ কোটি টাকা।

 

যা মিলে মজুদ আছে। কার্পেটিং জুট মিলের প্রকল্প প্রধান আহম্মেদ হুসাইন জানান, মিলে স্থায়ী শ্রমিক ৩১৩ জন, অস্থায়ী শ্রমিক ৪৫০ জন। শ্রমিকদের বকেয়া মজুরী, গ্রাচুইটি ও পিএফ ফান্ডের পরিমান প্রায় ৮৩ কোটি টাকা। বন্ধ হওয়ার পূর্বে পাট থেকে উৎপাদিত পণ্যের মূল্য ৬ কোটি ৩৩ লাখ টাকা। যা মিলে মজুদ আছে। এ ব্যাপারে জেজেআই জুট মিল সিবিএ’র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জিয়াউদ্দিন পলাশ বলেন, বর্তমান সরকার শ্রমিক বান্ধব সরকার। শ্রমিকদের স্বার্থ সংরক্ষণে পূর্ণবিবেচনা করে পূনরায় রাষ্ট্রায়ত্ত মিলগুলো চালু করার দাবি জানান তিনি। কোন ভোগান্তি ছাড়াই শ্রমিকদের পাওনা টাকা সঠিক সময়ের মধ্যে পরিশোধ করার দাবি জানান কার্পেটিং জুট মিল সিবিএ’র সাধারণ সম্পাদক ফারাজী নজরুল ইসলাম।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর পড়ুন
এক ক্লিকে বিভাগের খবর