শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:৩৫ অপরাহ্ন

ই-পেপার

শিরোনাম :
শিরোনাম :
সিংড়ায় অগ্নিকান্ডে পুড়লো ১২ স্বর্ণের দোকান, অর্ধকোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি ইউএসএ বাংলা সাহিত্য সম্মেলন-২৪, কবিদের পদচারণায় মুখলিত সিলেটের মুসলিম সাহিত্য সংসদ কাশিনাথপুর অগ্রণী ব্যাংক শাখায় অনিয়মের অভিযোগে ম্যানেজারসহ ৩ জন আটক নাগরপুরের দুই সাংবাদিক বিএমএসএস এ-র কেন্দ্রীয় দায়িত্বে সরইতে দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে মতবিনিময় করলেন মোঃ মোস্তফা জামাল ইউএসএ বাংলা সাহিত্য সম্মেলনে আসতে শুরু করেছেন দুই বাংলার কবি সাহিত্যিকগন গোপালপুরে তাপপ্রবাহে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের নির্দেশ না মানায় মুচলিকা দিলেন দুই প্রতিষ্ঠান প্রধান ব্যারিষ্টার শাহজাহান ওমর এমপি’র রোগমুক্তি কামনায় দোয়া ও মিলাদ

রিজার্ভ থেকে প্রকল্প ঋণের সম্ভাব্যতা যাচাই করুন:প্রধানমন্ত্রী

প্রতিনিধির নাম:
আপডেট সময়: মঙ্গলবার, ৭ জুলাই, ২০২০, ৩:১৯ অপরাহ্ণ

নিজস্ব প্রতিবেদক:

বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ থেকে উন্নয়ন প্রকল্পে ঋণ দেওয়ার সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, বর্তমানে রেকর্ড পরিমাণ রিজার্ভ থেকে বিভিন্ন প্রকল্পে ঋণ নেওয়া যায় কি-না এবং তার প্রভাব কী হতে পারে তা অর্থ মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ ব্যাংক যাচাই করে দেখতে পারে। জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় এই নির্দেশনা দেন প্রধানমন্ত্রী। সোমবার অনুষ্ঠিত সভায় গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে সংযুক্ত হন তিনি। পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান; কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক; তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ; স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম; শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি; শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন; স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক; মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ. ম. রেজাউল করিমসহ অন্যান্য মন্ত্রী ও সচিবরা বৈঠকে সংযুক্ত ছিলেন।

 

বৈঠক শেষে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে মন্ত্রীর কার্যালয় থেকে অনলাইন ব্রিফিংয়ে একনেক বৈঠকের বিস্তারিত তুলে ধরেন পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান। তিনি বলেন, ‘বৈদেশিক মুদ্রার এখন রেকর্ড ৩৬ বিলিয়ন ডলার মজুদ আছে। এই মজুদ দিয়ে ৯ মাসের আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব। সাধারণত অন্তত তিন মাসের আমদানি ব্যয়ের সমপরিমাণ রিজার্ভ রাখাকে স্বস্তিদায়ক মনে করা হয়।’ পরিকল্পনামন্ত্রী আরও বলেন, ‘বিদেশি ঋণ পেতে অনেক শর্ত থাকে। প্রক্রিয়াগত জটিলতায় সময় নষ্ট হয়। এতে প্রকল্পের ব্যয় বাড়ে। বিদেশি মুদ্রার মজুদ থেকে ঋণ নেওয়া মানে নিজের টাকা এক হাত থেকে অন্য হাতে নেওয়া। তবে এই ঋণ ফেরত দেওয়ার নিশ্চয়তা থাকতে হবে।’ এম এ মান্নান জানান, বৈঠকে যত্রতত্র সেতু নির্মাণ নিয়ে সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি (প্রধানমন্ত্রী) বলেছেন, যেখানে সেখানে আর সেতু নয়। দেশে এখন কত সেতু আছে আর কত সেতু নির্মাণ করতে হবে- তা জরিপ করে বের করা দরকার।

 

এ বিষয়ে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল বিভাগ এবং সেতু বিভাগকে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। নদীর ওপর সেতু নির্মাণে সেতুর উচ্চতা ও অন্যান্য বিষয়েও সতর্ক থাকার কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী- যাতে নদীর গতি পথে কোনো বাধা সৃষ্টি না হয়। এছাড়া প্রকল্প বাস্তবায়নে ধীর গতি নিয়ে বিরক্ত প্রকাশ করেছেন তিনি। বিশেষ করে গাইবান্ধায় তিস্তা নদীর ওপর একটি সেতু নির্মাণের কাজ গত ১০ বছরেও শেষ হয়নি। সেতুটি নির্মাণে আগামী বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছে। উন্নয়ন কার্যক্রম প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, করোনায় উন্নয়ন কার্যক্রমে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে ঠিক। তবে এ কারণে উন্নয়ন লক্ষ্য থেকে বিচ্যুত হবে না সরকার ।

 

জনগণের কল্যাণে নুতন নতুন প্রকল্প হাতে নেওয়া হবে। ৯ প্রকল্প অনুমোদন: সোমবারের একনেকে দুই হাজার ৭৪৪ কোটি ৪৪ লাখ টাকার ৯টি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এই ব্যয়ে সরকারের নিজস্ব যোগান এক হাজার ৩৫৩ কোটি টাকা। বাকি ৯৫০ কোটি টাকা আসবে বিদেশি ঋণ থেকে। অনুমোদিত প্রকল্পগুলোর মধ্যে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের চারটি; বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের দুটি; পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের দুটি এবং নৌ মন্ত্রণালয়ের একটি প্রকল্প রয়েছে। স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের অনুমোদিত প্রকল্পগুলো হলো- গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় পাঁচপীর বাজার-চিলমারী উপজেলা সদরের সঙ্গে সংযোগকারী সড়কে তিস্তা নদীর ওপর ১৪৯০ মিটার দীর্ঘ পিসি গার্ডার সেতু নির্মাণ (দ্বিতীয় সংশোধিত) প্রকল্প; রূপগঞ্জ জলসিঁড়ি আবাসন সংযোগকারীর সড়ক উন্নয়ন (প্রথম সংশোধিত) প্রকল্প; জামালপুর ও শেরপুর জেলার পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প; ও চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলাধীন ডাকাতিয়া নদীর ওপর সেতু নির্মাণ প্রকল্প। বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদিত প্রকল্পগুলোর হলো- ইনস্টলেশন অব সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিং (এসপিএম) উইথ ডাবল পাইপ লাইন (দ্বিতীয় সংশোধিত) প্রকল্প; ও ঘোড়াশাল তৃতীয় ইউনিট রি-পাওয়ারিং (প্রথম সংশোধিত) প্রকল্প। পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রকল্প দুটি যথাক্রমে- নওগাঁর ধামইরহাট, পত্নীতলা ও মহাদেবপুর উপজেলায় তিনটি প্রকল্পের পুনর্বাসন এবং আত্রাই নদীর ড্রেজিংসহ তীর সংরক্ষণ প্রকল্প; দিনাজপুর শহর রক্ষা প্রকল্পের পুনর্বাসন এবং দিনাজপুর শহর সংলগ্ন ঢেপা ও গর্ভেশ্বরী নদী সিস্টেম ড্রেজিং/খনন প্রকল্প। অন্যদিকে নৌ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদিত প্রকল্পটি হলো- এস্টাবলিশমেন্ট অব গ্লোবাল মেরিটাইম ডিসট্রেস অ্যান্ড সেফটি অ্যান্ড ইনটেগরেটেড মেরিটাইম নেভিগেশন সিস্টেম (ইজিআইএমএনএস) প্রকল্প।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর পড়ুন
এক ক্লিকে বিভাগের খবর
Raytahost Facebook Sharing Powered By : Raytahost.com
Raytahost Facebook Sharing Powered By : Raytahost.com