রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ১২:০৬ পূর্বাহ্ন

ই-পেপার

গাইবান্ধার লাখো মানুষের নেতা ডেপুটি স্পীকার এ্যাড.ফজলে রাব্বী মিয়া এমপি আর নেই

আশরাফুজ্জামান সরকার, গাইবান্ধা প্রতিনিধি:
আপডেট সময়: শনিবার, ২৩ জুলাই, ২০২২, ৬:৪৪ অপরাহ্ণ

গাইবান্ধা জেলার উজ্জল নক্ষত্রখ্যাত লাখো মানুষের আত্মার আত্মীয় বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের মাননীয় ডেপুটি স্পীকার ৭ বারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য বর্ষিয়ান রাজনীতিবিদ বীরমুক্তিযোদ্ধা এ্যাড.ফজলে রাব্বী মিয়া এম.পি ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন) ৷
২৩ জুলাই শুক্রবার দিবাগত রাত ২.০০ টায় (নিউইয়র্ক সময় বিকাল ৪.০০টা) তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
মৃত্যুকালে তিনকন্যা ফাহিমা রাব্বি রিটা, ফারহানা রাব্বি, ফারজানা রাব্বি বুবলিসহ জামাই,নাতী নাতনী,ভাই বোন,ভাগ্নে ভাগিনী,ভাতিজা ভাতীজি আত্মীয় স্বজন,পাড়া প্রতিবেশীসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে তার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেন তার ভাতিজা ফাহাদ রাব্বী সৈকত।
তিনি ফেসবুকে বলেন ২৩/০৭/২০২২ ইং বাংলাদেশ সময় আনুমানিক রাত ২.০০টায় (নিউইয়র্ক সময় বিকাল ৪.০০টা) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কস্থ মাউন্ট সিনাই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের মাননীয় ডেপুটি স্পীকার আমার চাচা ফজলে রাব্বী মিয়া এম.পি ইন্তেকাল করেছেন। বিষয়টি আমি ফাহাদ রাব্বী সৈকত আমাদের পরিবারের পক্ষ থেকে চাচার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করছি।
তাহার মৃত্যুতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধান ও বাংলাদেশের মাননীয় রাষ্ট্রপতি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী,মন্ত্রী পরিষদের সদস্যগণ,জাতীয় সংসদ সদস্যবৃন্দ,আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সংগঠনের কেন্দ্রীয় ও জেলা নেতৃবৃন্দ,বিরোধী দলীয় নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক,সামাজিক,পেশাজীবী, সাংস্কৃতিক,ধর্মীয় সংগঠনের পক্ষ হতে পৃথক পৃথক ভাবে গভীর শোক ও সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।
জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পীকার এ্যাড.ফজলে রাব্বী মিয়া এমপি মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহন করেন এরপর ১৯৮৬ সালে তৃতীয়, ১৯৮৮ সালে চতুর্থ, ১৯৯১ সালে পঞ্চম ও ১২ জুন ১৯৯৬ সালে সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গাইবান্ধা-৫ আসন থেকে জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর বাংলাদেশ আওয়ামীলীগে যোগ দিয়ে ২০০১ সালের অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগ প্রার্থী হিসেবে পরাজিত হন। ২০০৮ সালের নবম, ২০১৪ সালের দশম ও ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গাইবান্ধা-৫ আসন থেকে তিনি বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এছাড়াও বিগত ১৯৯০ সালে আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্বও পালন করেছেন তিনি। দশম সংসদ থেকে তিনি ডেপুটি স্পিকার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি এমন একজন প্রবীন রাজনীতিবিদ হাজার হাজার দলীয় নেতাকর্মী, সাধারণ মানুষ, বন্ধু-বান্ধব, জেলার অন্যান্য দলীয় নেতাকর্মীদের নাম সহসাই বলতে পারতেন। এমন একজন জনসেবক ও জনপ্রতিনিধি আর হাজার বছরেও পাবে না গাইবান্ধা জেলাবাসী। 

 

#CBALO / আপন ইসলাম


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর পড়ুন
এক ক্লিকে বিভাগের খবর