পাঠকপ্রিয় ও বহুল প্রচারিত সাপ্তাহিক ও অনলাইন “চলনবিলের আলো”র সম্পাদক ও প্রকাশক রফিকুল ইসলাম রনি শুভেচ্ছা বার্তায় বলেন, আসসালামু আলাইকুম, প্রিয় দেশ বাসী, বছর ঘুরে মুসলিম উম্মাহর দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আযহা আমাদের মাঝে সমাগত। পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে সকল মুসলিম ভাইবোনদের জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও মোবারকবাদ। সেই সাথে চলনবিলাঞ্চসহ সারা দেশবাসীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা জানাচ্ছি। ঈদ মোবারক। ঈদুল আযহা আমাদের ধৈর্য, সহনশীলতা, সহমর্মিতা এবং অন্যের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ ও ভালোবাসার দীক্ষা দেয়। মহান আল্লাহর প্রতি গভীর আনুগত্য ও সর্বোচ্চ ত্যাগের মহিমায় ভাস্বর পবিত্র ঈদুল আযহা।
মহান আল্লাহর নির্দেশে স্বীয় পুত্র হযরত ইসমাইল (আঃ) কে কোরবানি করতে উদ্যত হয়ে হযরত ইব্রাহিম (আঃ) আল্লাহর প্রতি অবিচল আনুগত্য, অকুণ্ঠ আত্মত্যাগ ও অগাধ ভালোবাসার যে সুমহান দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন, তা চিরকাল অনুকরণীয় ও অনুসরণীয়। তাঁরই নিদর্শন স্বরূপ আমরা প্রতি বছর আল্লাহতায়ালার সন্তুুষ্টির উদ্দেশ্যে পশু কোরবানী করি। এই উৎসবের মধ্য দিয়ে সামর্থ্যবান মুসলমানগণ কুরবানিকৃত পশুর মাংস আত্মীয় ও প্রতিবেশীদের মধ্যে বিলিয়ে দেন এবং সমাজে সাম্যের বাণী প্রতিষ্ঠিত করেন। ঈদুল আযহা আমাদেরকে ত্যাগ ও কোরবানির আদর্শে উজ্জীবিত করে।
আজ আমরা এমন এক সময় পবিত্র ঈদুল আযহা উদযাপন করতে যাচ্ছি যখন সিলেট, সুনামগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, নেত্রকোনা, জামালপুর, কুড়িগ্রাম, রংপুর, লালমনিরহাটসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় পাহাড়ি ঢল, অতিবৃষ্টি এবং ভারতের সুইচগেট খুলে দেয়ার কারনে বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করায় মানুষের বাড়ি-ঘর, দোকান-পাট, গবাদি পশু, মাছের খামার বন্যার পানিতে ভেসে গেছে। মানুষের মাথা গোঁজার ঠাঁই নেই, ঘরে খাবার নেই। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত এসব মানুষ অত্যন্ত অসহায় ও মানবেতর জীবন-যাপন করছে। শতাব্দীর ভয়াবহ বন্যায় সিলেট মহানগরীর অধিকাংশ এলাকা ডুবে যায়। বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলেও মানুষের জীবনযাত্রা এক ভয়াবহ রূপ লাভ করেছে। মহান আল্লাহ্ যেন আমাদের পৃথিবীকে প্রাকৃতিক ও মনুষ্যসৃষ্টি দূর্যোগ থেকে রক্ষা করেন। পাশাপাশি মহামারি করোনা আবারো বৃদ্ধি পাচ্ছে এজন্য সকলে মাক্স ব্যবহার করি ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলি। সবার সুস্বাস্থ্য ও মঙ্গল কামনা করছি। পবিত্র ঈদুল আযহার প্রকৃত শিক্ষা ও ত্যাগের আদর্শ ব্যক্তি ও সমাজ জীবনে প্রতিফলিত হোক-এই কামনা করছি। সেই সাথে পাঠকপ্রিয় সংবাদপত্র “চলনবিলের আলো” (সাপ্তাহিক ও অনলাইন) এ কর্মরত সম্পাদনা পরিষদ, সাংবাদিক, বিজ্ঞাপনদাতা, পাঠক ও শুভানুধায়ীদের জানাই পবিত্র ঈদুল আযহার শুভেচ্ছা সহ কৃতজ্ঞতা।
ত্যাগ ও কোরবানির মানসিকতা নিয়ে ব্যক্তিগত, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে ন্যায় প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে ইসলামকে পরিপূর্ণভাবে অনুসরণ করতে হবে। আর এর মাধ্যমেই কেবল মহান আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টি অর্জন করা সম্ভব। দেশের এই বিপর্যয়কর পরিস্থিতিতে অত্যন্ত ভারাক্রান্ত ও বেদনাহত হৃদয় নিয়ে আমি আমার প্রিয় দেশবাসীকে ঈদুল আযহার শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। ঈদ মোবারক।