শনিবার, ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৯:৫৩ পূর্বাহ্ন

ই-পেপার

শিরোনাম :
শিরোনাম :
নাগরপুরে জামায়াতে ইসলামী’র ইউনিয়ন ভিত্তিক নির্বাচনী কর্মশালা অনুষ্ঠিত ভাঙ্গুড়ায় তথ্য অধিকার আইনে আবেদন করেও তথ্য না পাওয়ার অভিযোগ ইউএনও’র বিরুদ্ধে জকিগঞ্জে এইচসিআই’র উদ্যোগে আধুনিক মাদরাসার উদ্বোধন ও ফ্রি মেডিক্যাল ক্যাম্প যথাযোগ্য মর্যাদায় বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ল্যান্স নায়েক নূর মোহাম্মদ শেখ এর ৫৪তম শাহাদত বার্ষিকী পালন করলো বিজিবি ঈশ্বরদীতে নানা আয়োজনের মধ্যে দিয়ে বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন ভাঙ্গুড়ায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষককে শোকজ ঘিরে বিতর্ক সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার ও বিতর্কিত ওসিকে প্রত্যারের দাবিতে সাংবাদিকদের  মানববন্ধন লামায় সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে মোবাইল কোর্ট অভিযান 

রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ায় জাতিসংঘে বাংলাদেশের প্রশংসা

চলনবিলের আলো ডেস্ক:
আপডেট সময়: মঙ্গলবার, ১৪ জুন, ২০২২, ১:০৩ অপরাহ্ণ

মিয়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে আশ্রয় দেয়ায় বিশ্ববাসীর সামনে বাংলাদেশের প্রশংসা করেছে ভারত। দীর্ঘদিন বাংলাদেশ মানবিক কারণে যে বোঝা বহন করছে তার জন্য দেশটিকে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতি দেয়া উচিত বলে মনে করেন ভারতীয় এক কূটনীতিক।

স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (১৪ জুন) নিউ ইয়র্কে মিয়ানমারে ইস্যুতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে জাতিসংঘে ভারতের স্থায়ী মিশনের কাউন্সিলর আর মধু সুদন এমন মন্তব্য বলেন। বার্তা সংস্থা এএনআই-এর বরাত দিয়ে এই খবর প্রকাশ করেছে হিন্দুস্তান টাইমস।

তিনি আরও বলেন, এতো বিপুল সংখ্যক জনগোষ্ঠীকে আশ্রয় দিয়ে বছরের পর বছর এই বোঝা বহন করছে বাংলাদেশ।

ভারতীয় দূত মধু সুদন বলেন, ‘কয়েক লাখ বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে নিজ ভূখণ্ডে আশ্রয় দেয়ায় আমরা বাংলাদেশের প্রশংসা করছি। আমরা বিশ্বাস করি, বাংলাদেশ বছরের পর বছর মানবিক কারণে যে বোঝা বহন করছে তার জন্য দেশটিকে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতি দেয়া উচিত। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের আরও গভীরভাবে বাংলাদেশের এমন কঠিন অবস্থা বোঝা উচিত।’

বাস্তুচ্যুতদের আরও বেশি সহায়তা দেয়া জরুরি উল্লেখ করে এই দূত বলেন, আশ্রয় শিবিরে রোহিঙ্গাদের জীবনমান বাড়াতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে সেখানে আরও বেশি বেশি সহায়তা পাঠানো উচিত। ক্যাম্পে উগ্রবাদী গোষ্ঠীর দমন ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরালো করা দরকার।

মিয়ানমার আর বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের দীর্ঘ সীমান্ত রয়েছে উল্লেখ করে ভারতীয় দূত বলেন, ‘প্রতিবেশী মিয়ানমারে যে কোনো ধরনের অস্থিতিশীলতা সরাসরি ভারতকে প্রভাবিত করে। মানবিক পরিস্থিতির অবনতি এবং সহিংসতার ঘটনায় মিয়ানমার থেকে এখনও লাখো রোহিঙ্গা আমাদের সীমান্তমুখী হচ্ছেন।

গত বছর ১৮ নভেম্বর জাতিসংঘে প্রথমবারের মতো সর্বসম্মতিক্রমে রোহিঙ্গা রেজুলেশন গৃহীত হয়। আর এটাকে এই সংকট সমাধানে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দৃঢ় প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন হিসেবে উল্লেখ করে বাংলাদেশ।

জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাবাব ফাতিমাকে উদ্ধৃত করে বিবৃতিতে বলা হয়, আজ জাতিসংঘে ‘মিয়ানমারের রোহিঙ্গা মুসলিমসহ অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানবাধিকার পরিস্থিতি’ শীর্ষক রেজুলেশনটি গ্রহণ করা হয়।

রাবাব ফাতিমা জানান, রেজুলেশনটি যৌথভাবে উত্থাপন করে ওআইসি ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন।

বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের আশ্রয় ও মানবিক সহায়তা প্রদান এবং জাতীয় কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন কর্মসূচিতে তাদের অন্তর্ভুক্ত করার মাধ্যমে বাংলাদেশ যে উদারতা ও মানবিকতা প্রদর্শন করেছে রেজুলেশনটিতে তার ভূয়সী প্রশংসা করা হয়েছে।

 

 

#CBALO / আপন ইসলাম


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর পড়ুন
এক ক্লিকে বিভাগের খবর