সাধারণত কিডনির অসুখ দেরিতে ধরা পড়ে। একটি কিডনি বিকল হয়ে গেলেও অন্যটি কাজ করায় এর ক্ষতি সম্পর্কে আগে থেকেই আঁচ করা যায় না। তবে শুরুতে সচেতন হলে ক্ষতি কমিয়ে আনা সম্ভব।
কিডনি রোগীদের খাবারের ব্যাপারে বিশেষ সচেতন হতে হবে। জেনে নিন কিডনি রোগীদের খাবারের ব্যাপারে যেসব বিধি-নিষেধ মেনে চলতে হবে-
কিডনি রোগীরা যেসব খাবার খাবেন-
১) বাঁধাকপি, ফুলকপি, ব্রকলি, ক্যাপসিকামে রয়েছে প্রচুর মাত্রায় ভিটামিন কে, সি, বি৬, ফলিক অ্যাসিড, ফাইবার, অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট যা দেহের ক্ষতিকারক ফ্রি র্যাডিক্যালের বিরুদ্ধে কাজ করে কিডনিকে শক্তিশালী করে।
২) জাম, স্ট্রবেরি,আপেল, ব্লুবেরি, আনারস, লাল আঙুর ইত্যাদি কিডনি ভাল রাখতে সাহায্য করে।
৩) পেঁয়াজ ও রসুনে থাকা অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট কিডনির পক্ষে ভাল।
৪) আদা দেহের রক্ত চলাচল বাড়িয়ে কিডনিকে সচল রাখতে সাহায্য করে, ফলে কিডনির কার্যকারিতা বেড়ে যায়।
৫) কোনও রোগীর সপ্তাহে দু’-তিন বার করে ডায়ালিসিস করলে প্রোটিনের ক্ষয় হয়। শরীরে সঠিক মাত্রায় প্রোটিনের জোগান দিতে চামড়া ছা়ড়ানো চিকেন খাবেন। ডিমের সাদা অংশ, মাছ, দুধ বা দই থেকে নির্দিষ্ট পরিমাণ প্রোটিন গ্রহণ করতে হবে।
যেসব বিষয়ে সচেতন হতে হবে-
পানির মাত্রা নিয়ন্ত্রণ
কিডনির অসুখে শরীরে যাতে অতিরিক্ত পানি না জমে, সে কারণে যে কোনও ধরনের তরল খাওয়ার পরিমাণ কমাতে বলা হয়। অনেকে পানি কম খেলেও সুপ, ফলের রস, ডাল ইত্যাদির মাধ্যমে তরল খাবার খেয়ে ফেলেন। এসব তরল খাবার খাওয়ার ক্ষেত্রেও নিয়ন্ত্রণ রাখতে হবে।
পরিমিত লবণ
লবণের মধ্যে অত্যধিক মাত্রায় সোডিয়াম থাকে যা কিডনির জন্য অনেক সময় ক্ষতি বয়ে আনে। এজন্য খাবারে পরিমিত লবণ খেতে হবে। কিডনি রোগীদের প্যাকেটজাত, প্রক্রিয়াজাত খাবার এড়িয়ে চলতে হবে।
নিয়মিত রক্ত পরীক্ষা
কিডনির রোগীদের ডায়েট প্ল্যান করার সময় বিশেষ কিছু বিষয় মাথায় রাখতে হয়। এই রোগীদের নিয়মিত রক্ত পরীক্ষা করে জেনে নিতে হয়, রোগীর শরীরে ক্রিয়েটিনিন, ইউরিয়া, সোডিয়াম, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ফসফরাস ইত্যাদির মাত্রা কত। এর উপর নির্ভর করেই ঠিক করতে হবে রোগীর ডায়েট প্ল্যান।
#চলনবিলের আলো / আপন