বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুসের উদ্ধৃতি দিয়ে আজ বিকেল ৫টা নাগাদ সংবাদ পরিবেশন করা হয়েছে যে, পরিবারের সদস্যদের শারীরিক অবস্থার কথা বিবেচনা করে দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজের মাঝ পথে দেশে ফিরে আসছেন সাকিব।
কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে বাংলাদেশ দলের ম্যানেজমেন্ট জানিয়েছে ভিন্ন খবর। বাংলাদেশ দলের টিম লিডার, বিসিবির টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন জানিয়েছেন, না সাকিব দেশে ফিরছেন না। সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করা হয়েছে। তিনি দলের সঙ্গে থাকবেন এবং তৃতীয় ওয়ানডেও খেলবেন।
এ বিষয়ে দক্ষিণ আফ্রিকায় অবস্থানরত খালেদ মাহমুদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, সাকিবের পরিবারের সদস্যদের শারীরিক অবস্থা এখন ভালোর দিকে। এ কারণে দেশে যাওয়ার সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেছে সে।
সুজনের কাছে জানতে চাওয়া হয়, দেশে যে ক্রিকেট অপারেশন্স চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস বলেছেন, সাকিব দেশে ফিরছেন আজ রাতেই? সুজন বলেন, জালাল ভাই ঠিকই বলেছেন। তার দেশে ফেরার সিদ্ধান্ত হয়েছিল। সেভাবেই তিনি মিডিয়ার কাছে বলেছেন। তবে পরে সাকিব জেনেছে, আপাতত হাসপাতালে ভর্তি তার পরিবারের সদস্যদের অবস্থা স্থিতিশীল। এ কারণে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করা হয়েছে।
দক্ষিণ আফ্রিকায় টিম হোটেলে বসে দেওয়া এক ভিডিও বার্তায় টিম লিডার খালেদ মাহমুদ সুজন বলেন, এখানে তো আমাদের কারোরই হাত নেই। খুবই ইমার্জেন্সি ব্যাপার, পারিবারিক ব্যাপারটা তো সব সময়ই ইমপরট্যান্ট ইস্যু। ওর জন্যও ইমপরট্যান্ট। তবে, সে টোটালি খেলতে চায়। প্রথম থেকেই সে অনেক আগ্রহী এ বিষয়ে। খুব সিরিয়াস। প্রথম ম্যাচে তো ম্যান অব দ্য ম্যাচই হয়েছে। দ্বিতীয় ম্যাচে ব্যাটে ভালো করেনি। বল হাতে ভালো খেলেছে। সে খেলতে চায় এবং চায় সিরিজটা জিততে। সে জানে যে তাকে ছাড়া কতটা কঠিন আমাদের জন্য এই কন্ডিশনে ডেভেলপ করা। তবে এখন যে বিষয়টা, সাকিব স্যাক্রিফাইস করছে এ সিরিজটার জন্য। এটা খুব ভালো খবর আমাদের জন্য। আশা করি যে বাসায় ওর সব কিছু ঠিকঠাক থাকবে। ইনশাআল্লাহ সাকিব তৃতীয় ওয়ানডে খেলবে এবং আশা করি আমরা সিরিজ জিততে পারবো। এরপর হয়তো সে একটা সিদ্ধান্ত নেবে কখন যাবে না যাবে।
পরিবারের মোট পাঁচজন সদস্য অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি সাকিব আল হাসানের। এর মধ্যে তার ছোট তিন সন্তানও রয়েছে। সঙ্গে মা এবং শাশুড়িও অসুস্থ হয়ে হাসপাতালের বেডে। এমন পরিস্থিতিতে দক্ষিণ আফ্রিকায় থাকা প্রায় অসম্ভব সাকিবের পক্ষে।
যদিও পরিস্থিতির দিকে নজর রাখার চেষ্টা করছিলেন তিনি। পরিবারের সদস্যদের শারীরিক অবস্থার উন্নতি হলে তিনি দলের সঙ্গেই থেকে যাবেন বলে জানা যাচ্ছিল।
বিসিবিও জানিয়েছে, পরিস্থিতি খারাপ হলে সাকিব যে কোনো মুহূর্তেই দেশে ফিরে যেতে পারবেন। সে হিসেবে বিসিবি তাকে ছুটিও দিয়ে রেখেছিল। সে কারণে সাকিব প্রথমে দেশে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। পরে নিজেই সেটাকে ফিরিয়ে নেন।
#চলনবিলের আলো / আপন