চাটমোহর উপজেলার নিমাইচড়ায় সমাজ গ্রামে প্রায় অর্ধ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ৭০ ফুর্ট একটি সেতু দীর্ঘ প্রায় দুই যুগ ধরে জনসাধারণের কোন কাজে আসছে না। সেতুটি সংস্কার না করায় পাঁচ গ্রামের মানুষ যাতায়াত সহ কৃষি কাজের সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত রয়েছে। সরজমিনে দেখা যায়, চাটমোহর উপজেলার নিমাইচড়া ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের সমাজ মিয়াপাড়া-বলচপুর সংলগ্ন করতোয়া শাখা (সমাজ ঝিটকি কাটা) নদীর ওপর ২০০১ সালে সেতুটি নির্মিত হয়। নির্মাণের বছর থেকেই সেতুর দুই পাশের মাটি বন্যায় ভেঙে গেলেও এ পর্যন্ত সংস্কার করা হয়নি। ফলে এ রাস্তাটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে আছে।
এতে সমাজ বলচপুর, মিয়াপাড়া, গদাইরূপসি, বানিয়াবহু, সাতবাড়িয়া, ময়দানদিঘীর কয়েক গ্রামের মানুষকে অন্য রাস্তা ঘুরে আসা যাওয়া করতে হচ্ছে। ফলে স্থানীয়দের উক্ত গ্রামে পৌঁছাতে ভোগান্তির শিকার হতে। ব্রীজ সংলগ্ন বাসিন্দা আব্দুল কুদ্দুস বলেন, আমার জানামতে ২০০১ সালে সেতুটি নির্মান করা হয়েছে। কিন্তু নির্মানের দীর্ঘ বছরেও সেতুটি কোন কাজে আসছে না এলাকাবাসির। তিনি আরো বলে, সেতুর দু পাশে গোড়ায় মাটি ভরাট সহ রাস্তাটি উচ্চ করে তৈরি করতে হবে। রাস্তা ও ব্রীজ সমস্যায় মাঠের ফসল আনাসহ এলাকাবাসির অনেক উপকার হতো।
সমাজ গ্রামের ব্যবসায়ী জাহিদ হাসান বলেন, প্রায় ২১ বছর আগে তৈরি করা হয়েছিল ৭০ ফুট দীর্ঘ একটি কংক্রিটের সেতু। তবে এটি কখনোই ব্যবহার করা হয়নি। কারণ এই সেতুর দু’পাশে নেই সংযোগ সড়ক। তাই সেতুটি অনেকটা দ্বীপের মতোই একাকী দাঁড়িয়ে আছে।
চাটমোহর নিমাইচড়া চেয়ারম্যান মোছাঃ নুরজাহান বেগম মুক্তি জানান, আমি নবনির্বাচীত চেয়ারম্যান সেতু নির্মান বিষয়ে আমার ভালো জানা নেই, গ্রামের ওই রাস্তাটি অনেক প্রয়োজন ও জনগুরুত্বপূর্ন, রাস্তাটি দ্রুত মেরামত করা দরকার। খোঁজ নিয়ে দ্রুত সমস্যা সমাধানের জন্য সংশ্লিষ্ট দফতরে যোগাযোগ করবো।
উপজেলা প্রকৌশলী সুলতান মাহমুদ বলেন, আমি কয়েক মাস হচ্ছে উপজেলায় যোগদান করেছি। আমার জানামতে সেতুটি এলজিইডি করেনি। এলজিইডি নির্মিত সেতুর কোনও সমস্যা হলে দ্রুত সংস্কার করা হয়। সম্ভবত এই সেতু একটি প্রকল্পের আওতায় করা হয়েছিল। তবে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে সংস্কারের চেষ্টা করবো আমরা।