শনিবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২:৩৭ পূর্বাহ্ন

ই-পেপার

শিরোনাম :
শিরোনাম :
নাগরপুরে দাঁড়িপাল্লা প্রতীক সম্বলিত তোরণ নির্মাণ করলেন সাবেক শিবির নেতা মো. কোরবান আলী সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বেগম খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তি ও সুস্থায় কামনায়  এনায়েতপুরে দোয়া ও মিলাদ  মাহফিল অনুষ্ঠিত  দেবোত্তর ইয়থ স্পোর্টিং ক্লাবের উদ্যোগে ফাইনাল খেলা টাইব্রেকারে সড়াবাড়িয়া ৪-৩ গোল বিজয়  গোপালপুরে বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত দৌলতপুরে বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় দোয়া মাহফিল ঠাকুরগাঁও-২ আসনের মনোনয়ন পেলেন ডা. আব্দুস সালাম চাটমোহরে আওয়ামী লীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা গ্রেফতার চাটমোহরে মিথ্যে ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলায় নির্দোষ ব্যক্তিদের ফাঁসানোর প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

চাটমোহরে মিথ্যে ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলায় নির্দোষ ব্যক্তিদের ফাঁসানোর প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

চলনবিলের আলো ডেস্ক:
আপডেট সময়: শুক্রবার, ৫ ডিসেম্বর, ২০২৫, ১১:৪৭ অপরাহ্ণ

পাবনার চাটমোহরে এসিড দমন আইনের একটি মামলাকে মিথ্যে ও ষড়যন্ত্রমূলক বলে দাবি করে ভুক্তভোগি পরিবার অভিযোগ করেছেন এই মামলায় নির্দোষ ব্যক্তিদের ফাঁসানো হয়েছে। তারা এই মামলার পুনঃতদন্ত দাবি করে মামলায় অভিযুক্তদের খালাস দেওয়াসহ প্রকৃত ঘটনা উদঘাটনের আহবান জানান। শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় চাটমোহর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানান ভুক্তভোগি পরিবার। পরিবারের পক্ষে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন মামলার ১নং বিবাদী উপজেলার ছাইকোলা ইউনিয়নের কুকড়াগাড়ী গ্রামের শফিকুল ইসলামের স্ত্রী মোছাঃ সুমাইয়া খাতুন। জানা গেছে, গত ০৪/০৭/২০২৪ ইং তারিখ রাত আড়াইটার দিকে কুকড়াগাড়ী গ্রামের আব্দুর রহিম (৬৫) নিজ ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন। এসময় কে বা কারা তাকে ঘর থেকে বের করে তার শরীরে দাহ্য পদার্থ ঢেলে দেয়। এতে আহত হন আঃ রহিম। তাকে প্রথমে চাটমোহর হাসপাতালে এবং পরে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়। এ ব্যাপারে চাটমোহর থানায় আহত আঃ রহিমের ভাই আঃ আজিজ বাদী হয়ে প্রতিবেশী ৭জনকে বিবাদী করে এসিড দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার ৬ জন বিবাদী জামিন লাভ করলেও ১নং বিবাদী এখনো হাজতে রয়েছেন। সংবাদ সম্মেলনে শফিকুলের স্ত্রী সুমাইয়া খাতুন দাবি করেন, ঘটনার দিন ও সময়ে তার স্বামী শফিকুল ইসলাম চাটমোহরে ছিলেন না। তারা চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে ছিলেন। সেখানে শফিকুল ও তার স্ত্রী ফুটপাতে বিরানী বিক্রি করেন। অথচ এই মামলায় শফিকুলকে ১নং বিবাদী করা হয়েছে। মামলায় শফিকুলের পিতা শহিদ সরদারসহ আরো ২ ভাইকে বিবাদী করা হয়। সুমাইয়া খাতুন বলেন, তার স্বামী গ্রামে থাকেন না। নাবালক তিন ছেলে-মেয়ে নিয়ে চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে থাকেন। সেখানে থাকাবস্থায় প্রতিপক্ষ তাকে ফাঁসানোর জন্য মিথ্যে ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলা দায়ের করেছেন। আঃ আজিজ গং নিজের স্বার্থ চরিতার্থ করতেই এই মামলা করেছেন। কারণ সেদিন কে বা কারা এই ঘটনার সাথে জড়িত ছিল, তার সঠিক তদন্ত করা হয়নি। সুমাইয়া খাতুন আরও বলেন, আমি এখন অসহায় হয়ে পড়েছি। তিনটি ছোট ছোট সন্তান নিয়ে মানবেতন জীবনযাপন করছি। বিচারের আশায় দ্বারে দ্বারে ঘুরছি। আদালত আমার স্বামীকে জামিন দিচ্ছেন না। এ থেকে আমরা মুক্তি চাই। সংবাদ সম্মেলনে ঘটনার পুনঃতদন্তসহ দোষি ব্যক্তিদের খুঁজে বের করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান। সংবাদ সম্মেলনে শফিকুল ইসলামের পিতা শহিদ সরদার, তার মাসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর পড়ুন
এক ক্লিকে বিভাগের খবর