প্রতি কেজি চায়ের দাম ১৬ কোটি টাকা। আঁতকে উঠার মতোই খবর। সিলেটের ‘দ্য গোল্ডেন বেঙ্গল’ নামের এই চা বাজারে আসছে চলতি বছরের মে মাসে। বিশ্বের সবচেয়ে দামি চা উৎপাদিত হয় বাংলাদেশের সিলেটে যা অনেকেই জানেন না।
‘লন্ডন টি এক্সচেঞ্জ’ নামের এই চায়ের উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান প্রতি কেজি চায়ের দাম নির্ধারণ করেছে ১৪ লাখ পাউন্ড। বাংলাদেশি টাকার হিসেবে যা প্রায় সাড়ে ১৬ কোটি টাকা।
বিশ্বের অন্যতম সেরা প্রিমিয়াম চায়ের প্রতিষ্ঠান ১০৩ ব্রিক লেন, লন্ডনে অবস্থিত লন্ডন টি এক্সচেঞ্জের স্বত্বাধিকারী অলিউর রহমান এই চায়ের নামকরণের ক্ষেত্রে বেছে নিয়েছেন বাংলাদেশের জাতীয় সংগীতকে। সেখান থেকেই গোল্ডেন বেঙ্গল বা সোনার বাংলা নামটি বাছাই করা হয়েছে।
বেশ কিছুদিন আগে ভারতের এবিপি আনন্দের এক প্রতিবেদনে ‘গোল্ডেন বেঙ্গল’ নিয়ে করা একটি রিপোর্ট ব্যাপক সাড়া ফেলেছিল।
এবার সেই গোল্ডেন বেঙ্গল টি’র স্বাদ নেওয়ার সুযোগ পেয়েছেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। আরব আমিরাত সফররত পররাষ্ট্রমন্ত্রী শুক্রবার এই চায়ের আগাম উদ্বোধন করেন বলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
এছাড়া শনিবার লন্ডন টি এক্সচেঞ্জের ফেসবুক পেইজেও একটি ভিডিও পোস্ট করে লেখা হয়ঃ “গতকাল আমরা বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনকে চা পরিবেশন করতে পেরে সম্মানিত বোধ করছি। তিনি বিশ্বের সবচেয়ে দামি চা ‘গোল্ডেন বেঙ্গল টি’র স্বাদ নেওয়ার সুযোগ পেয়েছিলেন। চমৎকার এই চা ২০২২ সালের মে মাসে বিক্রি করা শুরু হবে এই ঘোষণা দিতে পেরে আমরা খুবই উত্তেজিত”।
চা পান করে পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বলতে শোনা যায় “আপনিতো মার্কেটিং গুরু…এই চায়ের চমৎকার সুবাস রয়েছে”।
জানা গেছে, প্রকারে ব্ল্যাক টি হলেও স্বচ্ছ পেয়ালায় পরিবেশন করলে এই চা সোনালি বর্ণ ধারণ করবে। বিশেষ প্রক্রিয়ায় উৎপাদিত এই চা প্রস্তুত করতে সময় লেগেছে প্রায় সাড়ে চার বছর। আর, ৯০০ কেজি উৎপাদিত চা থেকে মাত্র এক কেজি চা পাতা বাছাই করা হয়েছিল যার প্রতি পাতায় রয়েছে ২৪ ক্যারেট সোনার প্রলেপ।
এর আগে অলিউর রহমান আশা প্রকাশ করে বলেছিলেন, “নোবেল বিজয়ীদের এই চা পাতা উপহার দিতে পারবো বলে আশা করছি”।
#চলনবিলের আলো / আপন