ব্রাজিলিয়ান ক্লাব পালমেইরাসকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো ক্লাব বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে চেলসি।
শনিবার (১২ ফেব্রুয়ারি) রাতে ক্লাব ফুটবলের মহাদেশীয় শ্রেষ্ঠত্বের টুর্নামেন্ট ক্লাব বিশ্বকাপে পালমেইরাসকে ২-১ গোলে হারিয়ে প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন হয়েছে চেলসি।
এর আগে ইউরোপিয়ান ক্লাব ফুটবলের শ্রেষ্ঠত্বের টুর্নামেন্ট উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সবশেষ আসরেও চেলসিকে শিরোপা এনে দেওয়া গোলটি করেছিলেন এ জার্মান তরুণ মিডফিল্ডার। তার দুই গোলেই দুই টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হলো চেলসি।
আবুধাবির মোহাম্মদ বিন জায়েদ স্টেডিয়ামে ক্লাব বিশ্বকাপের ফাইনাল ম্যাচটিতে ব্রাজিলিয়ান ক্লাব পালমেইরাসের বিপক্ষে আধিপত্য বিস্তার করেই খেলেছে চেলসি। তবু নির্ধারিত ৯০ মিনিটে ম্যাচ পকেটে পুরতে পারেনি তারা।
ব্রাজিলিয়ান ক্লাব পালমেইরাসকে হারাতে রীতিমতো ঘাম ছুটে গিয়েছিল চেলসির। নির্ধারিত সময় শেষে সমতায় থাকার পর যোগ করা অতিরিক্ত সময়ও পার হয়ে যাচ্ছিল ১-১ গোলে।
যে কারণে খেলা গড়ায় অতিরিক্ত ত্রিশ মিনিটে। সেই ত্রিশ মিনিটের মধ্যে মাত্র তিন মিনিট বাকি থাকতে কাই হাভার্জের সেই গোলে নিশ্চিত হয় ক্লাব বিশ্বকাপের প্রথম শিরোপা এবং সঙ্গে সঙ্গে বাঁধনহারা উল্লাসে মেতে ওঠে পুরো চেলসি শিবির।
ম্যাচের প্রথমার্ধে গোল করতে পারেনি কোনো দলই। দ্বিতীয়ার্ধে ৫৫ মিনিটের সময় চেলসিকে এগিয়ে দেন বেলজিয়ান ফরোয়ার্ড রোমেলু লুকাকু। ক্যালাম হাডসন-ওডোইয়ের ক্রস থেকে হেড করে বল জালে জড়ান তিনি। সেমিফাইনালেও জয়সূচক গোলটি ছিল তার।
কিন্তু বেশিক্ষণ এই লিড ধরে রাখতে পারেনি চেলসি। ম্যাচের ৬৪ মিনিটের সময় ডি-বক্সের মধ্যে থিয়াগো সিলভার হাতে লাগলে ভিএআরের সাহায্য নিয়ে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। গোলের সহজতম সুযোগ পেয়ে দলকে সমতায় ফেরান রাফায়েল ভেইগা।
এরপর ৯০ মিনিটের মধ্যে আর গোলের দেখা মেলেনি। তার ফল নিষ্পত্তির জন্য নেওয়া হয় আরও ত্রিশ মিনিট। সেটিও এগিয়ে যাচ্ছিল নিষ্ফলাভাবে। মনে হচ্ছিল, টাইব্রেকারের দিকেই হয়তো এগুবে ক্লাব বিশ্বকাপের ফাইনাল ম্যাচটি।
ঠিক তখনই ১১৭ মিনিটের মাথায় ডি-বক্সের মধ্যে হ্যান্ডবল করে বসেন পালমেইরাস ডিফেন্ডার লুয়ান গার্সিয়া। এবারও ভিএআর দেখে বাজানো হয় পেনাল্টির বাঁশি। চাপের মুখে দারুণ স্পটকিকে দলের শিরোপা নিশ্চিত করা গোলটি করেন চেলসির হাভার্জ।
#চলনবিলের আলো / আপন