রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:২৯ অপরাহ্ন

ই-পেপার

‘মানুষ মানুষের জন্য, জীবন জীবনের জন্য, একটু সহানুভুতি কি মানুষ পেতে পারে না’

মোঃ জাহেরুল ইসলাম, আটোয়ারী(পঞ্চগড়)প্রতিনিধি:
আপডেট সময়: মঙ্গলবার, ১৮ জানুয়ারি, ২০২২, ৫:৩৮ অপরাহ্ণ

‘মানুষ মানুষের জন্য, জীবন জীবনের জন্য, একটু সহানুভুতি কি মানুষ পেতে পারে না ও বন্ধু। বিখ্যাত সংগীত শিল্পী ভূপেন হাজারিকার সেই কালজয়ী গান আজো মানুষের হৃদয়ে নাড়া দেয়। আজও মানুষকে ভাবায়। মানুষের চেতনাকে শানিত করে জাগিয়ে তোলে। ভূপেন হাজারিকা আমাদের মাঝে নেই আছে তার গান। মানুষ বিপদাপন্ন হলে এই গান যেন আরো বেশী করে আমাদের মাঝে ফিরে ফিরে আসে। পঞ্চগড়ের আটোয়ারী উপজেলার আলোয়াখোয়া ইউনিয়নের বর্ষালুপাড়া গ্রামের মোঃ নাসির উদ্দীনের পুত্র মোঃ মমিন উল্লাহ (৪৯) দীর্ঘদিন যাবত সিএ স্টোমাক রোগে ভুগছিলেন। মমিন উল্লাহ প্রাণি সম্পদ দপ্তরের একজন চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী। তিনি বগুড়া জেলার শেরপুর প্রাণি সম্পদ দপ্তরে কর্মরত ছিলেন। বর্তমানে আটোয়ারী প্রাণি সম্পদ দপ্তরে প্রেসণে কর্মরত রয়েছেন। অর্থনৈতিক দৈন্যতার কারণে নিয়মিত চিকিৎসা করতে না পারায় ধীরে ধীরে তা ক্যান্সারে পরিনত হয়। এঅবস্থায় চিকিৎসক দ্রুত অপারেশনের পরামর্শ দিলে তিনি পরিবারের সহায় সম্বল বিক্রি করে ও প্রিয় স্বজনদের সহায়তায় সম্প্রতি ঢাকা ক্যান্সার এন্ড জেনারেল হাসপাতাল লিঃ এ অপারেশন করান। বর্তমানে তার থেরাপি চলছে। এ চিকিৎসা অত্যন্ত ব্যয় বহুল। দুরারোগ্য এই ব্যাধির চিকিৎসার ব্যয়ভার বহন করতে গিয়ে বর্তমানে তিনি সহায় সম্বলহীন হয়ে পড়েছেন। চিকিৎসকের মতে আরো প্রায় পাঁচ লক্ষ টাকা ব্যয় করলে আল্লাহর রহমতে তিনি সুস্থ্য হয়ে উঠতে পারেন। একমাত্র চাকুরীর উপার্জন দিয়েই মমিন উল্লাহ’র ৩ ছেলে-মেয়ের পড়ালেখা সহ ৫ সদস্যের সংসারের ব্যয়ভার নির্ভর। তার বড় ছেলে রংপুর কারমাইকেল কলেজে অর্থনীতি বিষয়ে অর্নাসে, দ্বিতীয় মেয়ে ঠাকুরগাও পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটে কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং-এ এবং ছোট ছেলে আটোয়ারী মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে ১০ম শ্রেণীতে অধ্যয়নরত। তিনি জানান, ৩৫ থেকে ৪০ শতক পৈত্রিক সম্পত্তি আমার। চাকুরী করে ছেলে-মেয়েদের লেখাপড়ার অর্থ যোগান দিয়ে খেয়ে না খেয়ে সংসার পরিচালনা করি। এদিকে দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা করতে সহায় সম্বল শেষ করে ফেলেছি। উপায়ন্ত না পেয়ে তিনি প্রাণি সম্পদ দপ্তরের কল্যাণ তহবিল হতে চিকিৎসা সহায়তার জন্য গত বছর মে মাসে এবং পর্যায়ক্রমে তিনি জীবন বাঁচানোর জন্য মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী বরাবরে পৃথক পৃথকভাবে আর্থিক সাহায্যের জন্য আবেদন করেছিলেন। কিন্তু দুঃখের বিষয় এখন পর্যন্ত কোন সাড়া না পাওয়ায় হতাশ হয়ে পড়েছেন তিনি। মমিন উল্লাহ জানান, প্রতি ২১ দিন পর পর ঢাকায় তাকে থেরাপী দিতে ৫৪ থেকে ৫৫ হাজার টাকা খরচ হয়। আমি আর পারছিনা। এভাবেই কি আমার জীবন প্রদীপ নিভে যাবে। এঅবস্থায় তিনি জানান, যদি কোন স্বহৃদয়বান ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান তার জীবন বাঁচাতে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন তাহলে তার ব্যক্তিগত মোবাইল (বিকাশ) নম্বরে ০১৭৩২০৯৮৮৮০ অথবা সোনালী ব্যাংক লিঃ, শেরপুর শাখা, বগুড়া হিসাব নম্বরঃ ০৬২৭০০১০১৫৮৮৩, ব্যাংক রাউটিং নম্বর ঃ ২০০১০২৭৪০।

 

 

#চলনবিলের আলো / আপন


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর পড়ুন
এক ক্লিকে বিভাগের খবর