পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার খানমরিচয ইউনিয়নে নৌকার প্রার্থী নুর উন নবী মন্ডল (দুলাল মাষ্টার) সমর্থকরা স্বতন্ত্র প্রার্থী ঘোড়া মার্কা প্রতিকের প্রার্থী মনোয়ার হোসেন মিঠুর নির্বাচনী অফিস ভাঙ্গাকে কেন্দ্র করে সমর্থকদের মধ্যে দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত দফায় দফায় সংঘর্ষে ১৪ জন আহত হয়।
স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়,শুক্রবার (১০ ডিসেম্বর) দুপুরে আওয়ামীলীগের দলীয় প্রার্থী দুলাল মাস্টারের সমর্থকরা দৌহারী গ্রামে স্বতন্ত্র প্রার্থীর ঘোড়া মার্কার পোস্টার ছিড়ে পুড়িয়ে ফেলে ও চকদীগর গ্রামে নির্বাচনী অফিস ভাঙচুর করে। এ সময় বাধা দিলে তাদেরকে মারধর করে। এ ঘটনা ইউনিয়নে ছরিয়ে পড়লে উভয়পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। খবর পেয়ে ভাঙ্গুড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ নাহিদ হাসান ও ভাঙ্গুড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ ফয়সাল বিন আহসান ইউনিয়ন বিট অফিসার ও সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে ।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, মোঃ নাহিদ হাসান খান বলেন, উভয় প্রার্থী নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে চলবে এবং কোন ভাবেই আচরণবিধি লঙ্ঘন করবে না এই মর্মে উভয় একটি লিখিত মুচলেকা দেন।
ভাঙ্গুড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মুঃ ফয়সালবিন আহসান বলেন, সংবাদ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা হয়।
আওয়ামীলীগের দলীয় প্রার্থী নুর উন নবী মন্ডল (দুলাল মাস্টার) বলেন, ঘটনার পর স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকরা আমার সমর্থকদের মারধর সহ গাড়ি ভাঙচুর করে এবং ইউনিয়ন পুলিশিং বিট অফিসার (উপ-পরিদর্শক) মোঃ মোস্তফা মস্বতন্ত্র প্রার্থীর কাছ থেকে
অনৈতিক সুবিধা নিয়ে নৌকার প্রচার প্রচারণা ও মিছিলে বাধা দিচ্ছে।
ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন নির্বাচনে পুলিশ প্রশাসন যেন নিরপেক্ষ ভূমিকা রাখে।
স্বতন্ত্র প্রার্থী মনোয়ার হোসেন খান (মিঠু) বলেন, আমার পোস্টার ছিঁড়ে পুড়িয়ে ফেলে,নির্বাচনী অফিস ভাঙচুর করে এ সময় বাধা দিলে আমার সমর্থকদের পিটিয়ে আহত করে । উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে অবাধ,সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবি করেন।
#চলনবিলের আলো / আপন