চলনবিলের দিগন্তজুড়ে হলুদ সরিষা ফুলে সমারোহ।চাটমোহরে বিভিন্ন মাঠে সরিষার হলুদ ফুলে ছেয়েগেছে। করোনাকাল কাটিয়ে কৃষক স্বপ্নদেখছে নতুন করে বাচার। কৃষকরা রাতদিন পরিশ্রম করে যাচ্ছে। সরজমিনে দেখা যায়, এ বছর চাটমোহরের হান্ডিয়াল, নিমাইচড়া, ছাইকোলা, বিলচলনসহ উপজেলার মাঠে মাঠে সরিষার হলুদ ফুলে ছেয়ে গেছে। তবে এ বছরে সরিষা আবাদ শুরুর দিকে পোকার আক্রমণ থাকায় কৃষকরা দুশ্চিন্তায় পড়েছিল। পোকার আক্রমন কাটিয়ে স্বপ্ন দেখছে ভালো ফলনের। দিগন্ত জুড়ে হলুদ সরিষা ফুলে কৃষক স্বপ্ন বুনছে। তুলনামূলক এ বছর সরিষার আবাদ অনেক ভালো হয়েছে। তাছাড়া সময়মত সার-কীটনাশক ব্যবহারের কারনে সরিষার আবাদ করতে কৃষকের কোনো প্রকার বেগ পেতে হয়নি।
চাটমোহর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এ এ মাসুম বিল্লাহ জানান, উপজেলায় কয়েক দফা বন্যার পানি আসলেও দ্রুত মাঠ থেকে পানি নেমে যায়। এ জন্য মাঠের মধ্যে জলাবদ্ধতার না থাকার কারনেই অনেকেই সরিষা বিজ ফেলেছে সুবিধা জনক ভাবে। তাই এ বছর সরিষা আবাদ গত বছরের তুলনায় বেশি হয়েছে। উপজেলায় এ বছর ৬ হাজার ২শত ২০ হেক্টর জমিতে সরিষা আবাদ হয়েছে। এ বছর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছিল, ৬ হাজার ৫০০শত হেক্টর।
কৃষি অফিস থেকে উপজেলার প্রায় ২ হাজার কৃষককে ১ কেজি করে সরিষা বিজ ও ২০ কেজি সার দেওয়া হয়েছে। কৃষককে সরিষা চাষে ব্যাপক সচেতন করা হয়েছে। সরিষা চাষের পদ্ধতি ও পোকার আক্রমন হলে কি করনীয় সে বিষয়ে কৃষকদের সচেতন করেছেন। তাছাড়া কর্মকর্তারা সব সময় মাঠে থেকে কৃষককে সব ধরনের সহযোগিতা করে আসছেন।
চাটমোহর উপজেলার হান্ডিয়াল পাকপাড়া গ্রামের কৃষক জামাল উদ্দিন মোল্লা বলেন, এ বছর আমি ৮ বিঘা সরিষার আবাদ করেছিলাম। প্রথম দিকে সরিষায় কাটুই পোকা আক্রমনে ৩ বিঘা জমি ভেঙ্গে অন্য ফসল বুনেছি। আবহাওয়া এখন পর্যন্ত ভালো থাকায় সরিষার চারায় কোন ক্ষতি হয়নি, অনেক সুন্দর ফলন হবে আশা করছি। দরাপপুর গ্রামের কৃষক শরিফুল ইসলাম বলেন, সাড়ে ৪ বিঘা জমিতে সরিষার আবাদ করেছি কিন্তু সরিষার বীজ রোপন করার পরেই পোকার আক্রমনে হিমশিম খেয়েছিলাম। এখন তা কেটে উঠেছি, আশা করছি আবহাওয়া ভালো থাকলে এবার প্রতি বিঘা জমিতে ৫-৬ মণ হারে সরিষা ঘরে তুলতে পারবো। বিগত বছরে করোনাকালীন কৃষকের ক্ষতির কিছুটা হলেও পুষিয়ে উঠবে এই সরিষার মধ্যে দিয়ে।