উল্লাপাড়া উপজেলার কয়ড়া ইউনিয়ন পরিষদের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী মুক্তিযোদ্ধা খোরশেদ আলম ও তার কর্মীদের উপরে বুধবার হামলা, মারধর ও কোপানোর অভিযোগ আনা হয়েছে। এই ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী হেলাল উদ্দিন ও তার কর্মীরা এই হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেন মুক্তিযোদ্ধা খোরশেদ আলম। এতে খোরশেদ আলমসহ তার ৬ কর্মী আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে হাসুয়ার কোপে গুরুতর আহত ভদ্রকোল গ্রামের রকিব হাসানকে (৪৫) প্রথমে সিরাজগঞ্জ বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধা খোরশেদ আলমও সিরাজগঞ্জ ফজিলাতুন্নেছা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। এই ঘটনায় এলাকায় এখন চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে রেখেছে।
বীর মুক্তিযোদ্ধা খোরশেদ আলম গণমাধ্যম কমর্ীদের কাছে অভিযোগ করেছেন, তিনি তার কমর্ীদের নিয়ে বেলা সাড়ে ৯টার দিকে কয়ড়া এলাকায় নিবার্চনী প্রচার অভিযান চালিয়ে উল্লাপাড়ায় আসার পথে মানিকদহ গ্রামের সড়ক সেতুর কাছে পৌঁছিলে কয়ড়া ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান হেলাল উদ্দীন তার কমর্ীদের নিয়ে তাদের উপরে হামলা করে। এসময় খোরশেদ আলমসহ তার ৬ কমর্ী আহত হন। হামলাকারীরা খোরশেদ আলমের কমর্ী রকিব হাসানকে হাসুয়া দিয়ে কোপায়। তার অবস্থা এখন গুরুতর। তিনি বিষয়টি উল্লাপাড়া থানা পুলিশকে অবহিত করেছেন এবং হামলাকারীদের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানান।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত চেয়ারম্যান নৌকার প্রাথর্ী হেলাল উদ্দীনের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি খোরশেদ আলমের উপরে হামলার বিষয়টি অস্বীকার করেন। হেলাল উদ্দীন জানান, খোরশেদ আলম নিবার্চনে তার (খোরশেদ) প্রতি জনগনের সহানুভুতি আদায় এবং হেলাল উদ্দীনের প্রচারনাকে বাধাগ্রস্থ করতে সাংবাদিকদেরকে মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছেন।
এ বিষয়ে উল্লাপাড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকতার্ (ওসি) হুমায়ুন কবিরের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, হামলার খবর পেয়ে তিনি পুলিশ বাহিনী নিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে যান এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন। ওসি আরো জানান, মুক্তিযোদ্ধা খোরশেদ আলম থানায় মামলা দিলে তিনি অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেবেন।