মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫, ১০:২৪ অপরাহ্ন

ই-পেপার

শিরোনাম :
শিরোনাম :
কালীগঞ্জে ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রমের গতিশীলতা আনয়ন শীর্ষক প্রশিক্ষণ টাংগাইলের নাগরপুরে কৃষকদল ও ছাত্রদলের বৃক্ষরোপন কর্মসূচী অনুষ্ঠিত সলঙ্গা থানা জাতীয়তাবাদী পল্লী চিকিৎসক কমিটি গঠন সহায়তা পেয়ে চিরঋণী অসহায়রা চারজন অসহায় মানুষের জীবনে আশার আলো জ্বালালেন রাসেল ভলিবল রেফারি প্রশিক্ষণ ২০২৫ এর সেরা ভাঙ্গুড়ার সাখাওয়াত হোসেন বায়োগ্যাস ও ভার্মিকম্পোস্টে দক্ষতা বাড়াতে আশা’র উদ্যোক্তা প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত পাকুন্দিয়ায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর দাওয়াতি গণসংযোগ অনুষ্ঠিত কোয়ান্টাম কসমো স্কুল ও কলেজ ২৫ জন শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছে মেডিকেল, ইঞ্জিনিয়ারিং ও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে 

আটঘরিয়ায় নারীরা কুমড়ো বডি তৈরিতে ব্যস্ত

মাসুদ রানা, আটঘরিয়া(পাবনা):
আপডেট সময়: সোমবার, ৮ নভেম্বর, ২০২১, ৩:৪২ অপরাহ্ণ

বড় মাছের যে স্বাদ, এর সঙ্গে কুমড়ো বড়ি দিয়ে রান্না করলে স্বাদ ঢের বেশি হয়। আবার মাষ কালাইয়ের ডালের কুমড়ো বড়ি দিয়ে শুধু ডাল দিয়েই পেট ভরে ভাত খাওয়া যায়। কুমড়ো বড়ি ভেজে ভত্তা করলে এর স্বাদও মুখে লেগে থাকে। এছাড়া শীতকালে তরকারির সঙ্গে কুমড়ো বডির স্বাদই আলাদা। স্বাদের কারনে কুমড়ো বডি চাহিদাও বেশি। তাই আটঘরিয়া পৌর সভা ও উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের গ্রামের মা চাচিরা শীতকালে কুমড়ো বডি দেওয়ার ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন।

শুধু তাই নয় রাধাকান্তপুর, দেবোত্তর, মিয়াপাড়া, নাগদহ, সড়াবাড়িয়া, কয়রাবাড়ী শ্রীকান্তপুর সহ বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে দেখা গেছে এই চিত্র। তারা মইয়ের উপর চিকন বাঁশের খিল দিয়ে তৈরি করা মাচায় সাদা ধবধবে কুমড়ো বড়ি শুকানো হচ্ছে। আবার কোথায় কোথায় রাস্তার পাশে বাঁশের মাচার উপর কুমড়ো বড়ি রাখা হয়েছে। গ্রাম জুরে ধবধবে শুধু কুমড়ো বড়ি। এই গ্রামের নারীরা কেউ বা কুমড়ো বড়ি তৈরির কাজে ব্যস্ত আবার কেই বা শুকানো নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন।নারীরা জানান, কুমড়ো বড়ির তৈরির প্রধান উপকরন মাষকালাইয়ের ডাল, মাচার কুমড়ো, কালি জিরা ও মসলা। বাজার থেকে কালো জিরা কিনে রোদে শুকিয়ে জাতায় পিষে রাখা হয়। তার পর পানিতে সব উপাদান মিশিয়ে কুমড়ো বড়ি সম্পাদনা করা হয়।

গৃহিনী রেহেনা, আলেয়া, আনোয়ারা, উর্র্মি, মাজেদা, শরিফা, মনজিলা, আছিয়ার মত অনেকেই জানান, মাচার চাল কুমড়ো মাষ কালাইয়ের ডাল সহ বিভিন্ন উপাদান পানিতে ভিজে রাখি। তারপর সব গুলো নরম হলে পরিবারের সবাই মিলে শেষ রাতে ঘুম থেকে উঠে জাতায় বাটা হয়। এরপর গাবলার মধ্যে দিয়ে ভিজানো মাষ কালাই ও কুমড়ো অনেক সময় ধরে মিশানোর পর সাদা ধবধবে হওয়ার পর পাতলা কাপড়ে করে মাচার উপর ছোট ছোট করে বডি দেওয়া হয়। ভালো করে শুকানো হলে কুমড়ো বড়ি সাদা কাপড় থেকে তুলে পাতিলেও বয়েমের কৌটায় রাখা হয়। এসব বড়ি মিরামিস্ তরকারির সাথে খুব মজা লাগে।

শ্রীকান্তপুর গ্রামের আলাউদ্দিন জানান, এই শীতে কুমড়ো বড়ির স্বাদই আলাদা। যা প্রতিটি ছোট বড় মাছের সাথে খুব মজা করে খাওয়া যায়। তবে কিছু অসাধু ব্যবসায়ীরা ফয়দা লুফে নেয়ার জন্য উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে এই কুমড়ো বড়ি বিক্রি করছে। যা স্বাস্থ্য সম্মত না। বিষয়টি সংশ্লিষ্টি কতৃপক্ষের সু-দৃষ্টি দেয়া প্রয়োজন বলে মনে করছেন তিনি।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর পড়ুন
এক ক্লিকে বিভাগের খবর