অভাব আর দরিদ্রার মধ্যে থেকে চলে গেল ময়মনসিংহের নান্দাইল মোয়াজ্জেমপুর ইউনিয়নের দত্ত পুর গ্রামের তুবা আক্তার। ২০ অক্টোবর ২০১৬ সালে জন্ম গ্রহন করেন পিতা আব্দুর রউফ ঘরে। জন্মই তার অভাব আর দরিদ্রতার মধ্যে। কোন দিন মিলেনি তার কপালে পুষ্টি কর কোন খাবার। বাসিপান্তা খেয়ে কোন মতো পার হতো তুবা ও তার সংসার।
জন্মের পর হতেই অসুস্হতার মধ্যে বেড়ে উঠা তুবার । গত জুন মাসে তুবা গুরতর অসুস্থ হয়ে পরলে তার মা বাবা ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরে জানতে পারে তুবার ক্যান্সার। হাসপাতালেই দেখা মিলে একজন সেচ্ছাসেবীর। টিক তখন থেকেই শুরু হয় সেচ্ছাসেবীদের মাধ্যমে তুবা চিকিৎসা। তুবার উন্নত চিকিৎসার জন্য সেচ্ছাসেবীদের মাধ্যমে ময়মনসিংহ মেডিকেল হাসপাতাল হতে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। আর ২০ অক্টোবর ২০২১ হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করে তুবা । পরে তার গ্রামের বাড়িতে দাফন করা হয়।
তুবার সেচ্ছাসেবী জুনাকির সাথে কথা বলে জানা যায় ময়মনসিংহ হাসপাতালে একজন মুমূর্ষ রুগীকে রক্ত দিয়ে আসার সময় ছোট মেয়ে তুবা কান্না করছে। জুনাকি তার মাকে জিজ্ঞেস করে মেয়েটি কান্না করছে কেন? তুবার মা বলে মেয়েটি আপেল খাইত চায়। আমি কইন্তে দেম চিকিৎসাই করতারি না।
তার পর জুনাকি বন্ধুদের নিয়ে বিভিন্ন জনের কাছ থেকে সাহায্য সহযোগিতা নিয়ে চিকিৎসা করে ক্যান্সারের ব্যর্থ হয় সেচ্ছাসেবীরা।
২৭-১০-২০২১ বোধবার দত্তপুর ফোরকানিয়া হাফিজিয়া মাদ্রাসার এয়াতিম ছাত্র, শিক্ষক,তুবার সেচ্ছাসেবী ও নান্দাইলের কয়েক সেচ্ছাসেবীদের নিয়ে জহুর নামজ বাদ তুবার মাগফেরাতে দোয়া মাহফিল ও তবারক বিতরন করা হয়।
পরে তুবার পরিবার বসবাস জন্য দুই শতাংশ জমি ক্রয়ের ব্যবস্হা, একটা টিউবওয়েল, বৈদ্যুতিক মিটার, ও তুবার মা বাবা কর্ম সংস্হানের ব্যবস্হা করে দেওয়ার আশ্বাস তুবার সেচ্ছাসেবীরা ।