মুখের ভেতরে ঠোটের নীচে, দাঁতের মাড়িতে এবং জিভে ছোট ছোট ঘা দেখা যায় অনেক সময়। এগুলো বেশ কষ্টদায়ক এবং অস্বস্তিকর। মাঝে মধ্যে অনেকেই এই সমস্যায় পড়ে থাকেন। মুখের এই ঘা এক ধরনের আলসার। অনেক ক্ষেত্রে এগুলো কয়েক দিন থেকে চলে যায়, কোন কোন এক দুই মাসও স্থায়ী হয়। আবার এই ছোট ঘা বড় ঘা-এর রূপও নেয়।
গালের ভেতরের অংশ কেটে ছিঁড়ে গেলে ঘা হতে পারে। শক্ত ব্রাশের খোঁচা লেগেও এই সমস্যা অনেকেরই হয়। খুব গরম খাবার বা পানীয় খেতে গিয়ে ছাল উঠে গেলে বা গালের ভেতরে কামড় লাগলেও এই রকম ঘা হতে পারে। মুখের ঘায়ের ক্ষেত্রে এগুলো খুবই সাধারণ কারণ।
এছাড়া জ্বর, রক্তস্বল্পতা, ফুড অ্যালার্জি, পুড়ে যাওয়া, স্ট্রেস, অতিরিক্ত অ্যাসিডিটি, ভিটামিনের অভাব ইত্যাদি মুখের ঘা হওয়ার অন্যতম কারণ।
মরণব্যধির প্রাথমিক উপসর্গ হতে পারে মুখের এই ঘা। চিকিৎসা বিজ্ঞান অনুযায়ী প্রায় ২০০ রোগের প্রাথমিক লক্ষণ প্রকাশ পায় মুখগহ্বরের ঘা থেকে। এমন কিছু ঘরোয়া উপায় রয়েছে যা মুখের ঘা-এর ক্ষেত্রে বেশ কার্যকরী।
যষ্টিমধু
মুখের ঘা সারাতে যষ্টিমধু বেশ কার্যকর। এক টেবিল চামচ যষ্টিমধু দুই কাপ পানিতে দুই থেকে তিন ঘন্টা ভিজিয়ে রাখুন। এটি দিয়ে দিনে কয়েকবার কুলকুচি করুন। যষ্টিমধুর অ্যান্টি-ইনফ্লামেটরী এবং অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল উপাদান মুখের ঘা ভাল করে থাকে।
টি-ব্যাগ
টি-ব্যাগ দ্রুত ব্যথা এবং ইনফ্লামেশন দূর করে। একটি টি-ব্যাগ ঠান্ডা পানিতে ভিজিয়ে সেটি ঘায়ের স্থানে লাগান। সঙ্গে সঙ্গে আপনার ব্যথা কমিয়ে দিবে।
নারিকেল তেল
নারিকেল তেল দিয়ে মুখের ঘা দূর করা সম্ভব। একটু তুলার সঙ্গে নারকেল তেল লাগিয়ে সেটি মুখের ঘায়ের স্থানে লাগান। নারিকেল তেলে আছে অ্যান্টি মাইক্রোবিয়াল উপাদান যা ঘা দুর করতে সাহায্য করে।
তুলসি পাতা
কয়েকটি তুলসি পাতা রস করে পানিতে মিশিয়ে দিনে তিন থেকে চারবার পান করুন। এটি দ্রুত মুখের ঘা প্রতিরোধ করবে এবং মুখে ঘা হওয়ার প্রবণতা কমিয়ে দিবে।
বেকিং সোডা
এক চা চামচ বেকিং সোডা অল্প পানিতে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে নিন। এই পাতলা পেস্টটি মুখের ঘায়ের স্থানে লাগিয়ে নিন। এটি দিনে তিনবার ব্যবহার করুন।এছাড়া বেকিং সোডা সরাসরি মুখের ঘায়ের স্থানে লাগাতেও পারেন।
মধু
তুলার সঙ্গে মধু লাগিয়ে নিন। এবার এটি মুখের ঘায়ের স্থানে লাগান। ব্যথার কষ্ট কমে আসবে।
এছাড়া মুখের ঘায়ের স্থানে গ্লিসারিন, ভিটামিন-ই অয়েলও লাগাতে
লেখকঃ
ডা.এম.এ.মান্নান
ম্যানেজিং ডিরেক্টর
মুকতাদির হোমিও চিকিৎসা কেন্দ্র
নাগরপুর, টাংগাইল।