রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ০৭:৪৯ অপরাহ্ন

ই-পেপার

প্রতিপক্ষ ঘায়েল করতে নয় বছর পর আত্মগোপনে রাখা ব্যক্তি উদ্ধার

আঞ্চলিক প্রতিনিধি, বরিশাল:
আপডেট সময়: মঙ্গলবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ৮:৩০ অপরাহ্ণ

প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে নিজের পুত্রকে আত্মগোপনে রেখে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে অপহরন মামলা দায়েরের নয় বছর পর আত্মগোপনে রাখা রাসেল মৃধাকে উদ্ধার করেছেন মামলার বিবাদীরা। সোমবার রাতে ঢাকার রায়েরবাগ এলাকা থেকে রাসেলকে উদ্ধার করে মঙ্গলবার সকালে গৌরনদী মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়।
মিথ্যে অপহরন মামলায় জেলখাটা বরিশালের গৌরনদী উপজেলার বাসুদেবপাড়া গ্রামের নোয়াব আলী মৃধার পুত্র এস রহমান মৃধা জানান, পার্শ্ববর্তী নলচিড়া ইউনিয়নের কলাবাড়িয়া গ্রামের জনৈক জালাল মৃধার সাথে তার (এস রহমান) পূর্ব বিরোধ রয়েছে। পূর্ব বিরোধের জেরধরে জালাল মৃধা তাকে (এস রহমান) এবং তার পক্ষের লোকজনকে ঘায়েল করতে বিভিন্ন সময়ে একাধিক মিথ্যে মামলা দায়ের করেন।
তারই ধারাবাহিকতায় ২০১২ সালের ৩ এপ্রিল মোকাম বরিশালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে তাকে (এস রহমান মৃধা) এবং তার পুত্র আরমান মৃধা, রায়হান মৃধা, স্থানীয় শাহজাহান মল্লিক, শাহিন মল্লিক, আব্দুল হক ভূঁইয়াসহ ১৪ জনকে আসামী করে অপহরনের অভিযোগ করেন জালাল মৃধার স্ত্রী মোসাঃ মরিয়ম। অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে জালাল-মরিয়ম দম্পত্তির সপ্তম শ্রেনী পড়–য়া পুত্র রাসেল মৃধাকে (১৪) মারধর করে অপহরনের অভিযোগ আনা হয়। আদালত এবিষয়ে গৌরনদী মডেল থানাকে মামলা নেয়ার নির্দেশ প্রদান করেন।
পরবর্তীতে এবিষয়ে গৌরনদী মডেল থানায় একটি মামলা হয়। মামলাটি কয়েকজন তদন্তকারী কর্মকর্তার হাতঘুরে সর্বশেষ ১৪জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জসিট দাখিল করেন গৌরনদীর সরিকল পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের তৎকালীন এসআই মোঃ ফোরকান হাওলাদার। এস রহমান আরও জানান, মামলার তৎকালীন তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মোঃ ফোরকান হাওলাদার বাদীর কাছ থেকে আর্থিক সুবিধা নিয়ে দায়সারা তদন্ত করে তাদের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জসিট দাখিল করেছেন। ফলে মিথ্যে ওই মামলায় তাকে (এস রহমান) এবং তার পক্ষের লোকজনকে জেল খাটতে হয়েছে।
এস রহমান বলেন, দীর্ঘ নয় বছর পর সোমবার (২০ সেপ্টেম্বর) জানতে পারি মামলার বাদী মরিয়মের পুত্র রাসেল ঢাকার রায়েরবাগ এলাকায় আত্মগোপনে রয়েছে। পরবর্তীতে স্থানীয়দের সহায়তায় সেখান থেকে (ঢাকা রায়েরবাগ) থেকে রাসেলকে উদ্ধার করে মঙ্গলবার সকালে গৌরনদী মডেল থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। তবে আর্থিক সুবিধা নিয়ে চার্জসিট দাখিলের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন মামলার তৎকালিন তদন্তকারী কর্মকর্তা ও সরিকল তদন্ত কেন্দ্রের বর্তমান ইনচার্জ মোঃ ফোরকান হাওলাদার। এবিষয়ে গৌরনদী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ আঃ রব হাওলাদার জানান, রাসেল মৃধা বর্তমানে পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর পড়ুন
এক ক্লিকে বিভাগের খবর