নীলফামারীর ডোমারে ৩দিন ধরে আটকে রাখা দেড় বছরের শিশুকে উদ্ধার করে মায়ের কোলে ফিরিয়ে দিলো ডোমার থানা পুলিশ।
অভিযোগ সুত্রে যানাযায়, উপজেলার বোড়াগাড়ী ইউনিয়নের আশ্রম পাড়ার কাঠমিস্ত্রি হারাধন রায়ের কন্যা লক্ষ্মী রাণীর সাথে একই ইউনিয়নের হরতকীতলা গ্রামের বিন্দুরাম রায়ের ছেলের সাথে বিগত ৩ বছর পূর্বে সনাতন ধর্ম অনুযায়ী বিবাহ হয়।
তাদের সংসারে দেড় বছর বয়সী দেবচন্দ্র রায় নামে একটি পুত্র সন্তান রয়েছে। পারিবারিক বিষয় নিয়ে প্রায় সময় লক্ষ্মীকে শারিরিক ও মানুষিক নির্যাতন করতো শশুর বাড়ীর লোকজন। এরই ধারাবাহিকতায় ঘটনার দিন ১৫/০৭/২১ তারিখ সন্ধ্যায় পার্শ্বে থাকা লক্ষ্মীর বোনের সাথে দেখা করাকে কেন্দ্র করে লক্ষ্মীর স্বামী পলাশ ও শশুর শাশুরী মিলে লক্ষ্মীকে বেধরক মারপিট করে তার শিশু সন্তানকে কেড়ে নিয়ে বাড়ি থেকে বের করে দেয়।
তাদের আঘাতে লক্ষ্মী অসুস্থ হয়ে পড়লে তার পিতা মেয়েকে রাস্তাথেকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য ডোমার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। এ বিষয়ে লক্ষ্মীর পিতা গতকাল রোববার সন্ধ্যায় শিশু উদ্ধারের জন্য থানায় অভিযোগ দায়ের করলে ডোমার থানার অফিসার ইনচার্জ বিষয়টি আমলে নিয়ে দ্রুত শিশু উদ্ধারের জন্য নির্দেশ দেন।
এসআই কমলেশ চন্দ্র বর্মন ও সঙ্গীয় ফোর্স রাতেই লক্ষ্মীর শশুর বাড়িতে গিয়ে শিশু দেবচন্দ্র রায়কে উদ্ধার করে ডোমার থানার নারী, শিশু, বয়স্ক ও প্রতিবন্ধি সার্ভিস ডেস্কের মাধ্যমে শিশুটিকে তার মায়ের কোলে ফিরিয়ে দেয়। লক্ষ্মী ৩ দিন পর তার শিশু সন্তানকে ফিরে পেয়ে ডোমার থানা পুশিশের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
ডোমার থানার অফিসার ইনচার্জ মোস্তাফিজার রহমান বলেন, আমাদের থানায় নারী, শিশু, বয়স্ক ও প্রতিবন্ধি সার্ভিস ডেস্কে ২জন নারী অফিসার রয়েছে। তাদের মাধ্যমে আমরা নারী ও শিশুর বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়ে থাকি। এর আগেও এই ডেস্কের মাধ্যমে একাধীক শিশু উদ্ধার করে আমরা সফলতা অর্জন করেছি।