দু’দফায় দাম বৃদ্ধির পর এবার দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম কমানোর জন্য সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)। বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দামে দরপতন হওয়ায় দেশে স্বর্ণের দাম নির্ধারণের সংগঠনটি এমন সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে বলে জানা গেছে।
বাজুস সূত্রের বরাত আরও জানা গেছে, সোমবার আনুষ্ঠানিকভাবে স্বর্ণের দাম কমানোর ঘোষণা দেয়া হতে পারে।
সূত্রটি আরও জানিয়েছে, দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম কমা কিংবা বৃদ্ধি পাওয়া মূলত নির্ভর করে বিশ্ববাজারের ওপর। বিশ্ববাজারে যদি স্বর্ণের দাম বৃদ্ধি পায় তাহলে দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম বাড়ানো হয়। একইভাবে বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম কমলে দেশের বাজারে দাম কমানো হয়। দেশে সর্বশেষ স্বর্ণের দাম সমন্বয় করার পর বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম প্রতি আউন্সে ১০০ ডলারের ওপরে কমেছে। এতে স্বাভাবিকভাবে দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম কমবে।
বাজুস সংগঠনের সভাপতি এনামুল হক খান গণমাধ্যমকে বলেন, বিশ্ববাজারে যেহেতু স্বর্ণের দাম কমেছে সেদিক থেকে দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম কমতে পারে। তবে দাম কমবে কী কমবে না, কিংবা দাম স্থিতিশীল থাকবে কিনা তা এখনই নিশ্চিত হয়ে বলা যাচ্ছে না। এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়ে সোমবার আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা দেব আমরা।
এদিকে চলতি মাসের ২ জুনে বিশ্ববাজারে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম ১ হাজার ৮৭০ ডলারে নেমে আসে। পরে ফের ৩ জুন উত্থান ঘটলে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম ১ হাজার ৮৯০ দশমিক ৮৫ ডলার হয়। তবে শেষ সপ্তাহে এসে ফের স্বর্ণের দাম প্রতি আউন্স ১ হাজার ৮৭৭ ডলার হয়। গত সপ্তাহের চেয়ে দশমিক ৬৯ শতাংশ কমেছে।
গত মে মাসে বিশ্ববাজারে লাফিয়ে লাফিয়ে দাম বাড়ায় দেশের বাজারে দু’দফায় ভরিতে স্বর্ণের দাম ৪ হাজার ৩৭৪ টাকা বাড়ায় বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)। সর্বশেষ গত ২৩ মে থেকে স্বর্ণের নতুন দাম কার্যকর হয়েছে।
নতুন দাম অনুযায়ী, বর্তমানে সব থেকে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) স্বর্ণ ৭৩ হাজার ৪৮৩ টাকা, ২১ ক্যারেটের স্বর্ণ ৭০ হাজার ৩৩৩ টাকা, ১৮ ক্যারেটের স্বর্ণ ৬১ হাজার ৫৮৪ টাকা ও সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণ ৫১ হাজার ৬২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।