নারী উদ্যোক্তাদের করমুক্ত আয়ের সীমা ৫০ লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৭০ লাখ টাকা করার প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। বৃহস্পতিবার অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল আগামী ২০২১-২২ অর্থবছরের জন্য ৬ লাখ ৩ হাজার ৬৮১ কোটি টাকার বাজেট জাতীয় সংসদে উপস্থাপন করেন। দেশের অর্থনীতিতে নারীর ক্ষমতায়নে প্রস্তাবিত বাজেটে এমন পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানিয়ে বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী বলেন, “অর্থনীতিতে উদ্যোক্তা হিসেবে পুরুষের পাশাপাশি নারী উদ্যোক্তার সংখ্যা বাড়লে নারীর অর্থনৈতিক ও সামাজিক ক্ষমতায়ন নিশ্চিত হবে। “এসএমই খাত এবং নারীর উন্নয়নে এসএমই খাতের নারী উদ্যোক্তাগণের জন্য বিশেষ প্রণোদনা হিসেবে ব্যবসায়ের মোট টার্নওভারের ৭০ লাখ টাকা পর্যন্ত করমুক্ত রাখার প্রস্তাব করছি।” নারী উদ্যোক্তাদের করমুক্ত আয়সীমা বাড়ার ফলে নারী উদ্যোক্তা এবং এসএমই খাত উপকৃত হবে বলে আশা প্রকাশ করেন মন্ত্রী। করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাব উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। ছবি: পিএমও করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাব উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। নারী উদ্যোক্তাদের করমুক্ত আয়সীমা বাড়ায় নারী উদ্যোক্তারা ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে আরও উৎসাহী হবে বলে মনে করছেন নারী উদ্যোক্তারা। প্রযুক্তি উদ্যোক্তা নাসিমা সুলতানা মনে করেন, সরকারের এই উদ্যোগ নারীদের ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে এগিয়ে নিয়ে যাবে। “অনেক নারীরাই ভাল আয় করছে। কিন্তু ভ্যাট-ট্যাক্সে অনেক টাকা চলে যাচ্ছে। আমাদের নারী উদ্যোক্তারা অবশ্যই ট্যাক্স দিবে, কিন্তু তাদের স্বাবলম্বী হতে আরেকটু সময় দিতে হবে। কারণ সবাই কিন্তু ক্ষুদ্র এবং নতুন উদ্যোক্তা।” এই নতুন উদ্যোক্তাদের জন্য এটি একটি সুবর্ণ সুযোগ বলে মনে করেন উইমেন অ্যান্ড ই-কমার্স ফোরাম বা উইয়ের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি নাসিমা আক্তার নিশা। রংপুরের নারী উদ্যোক্তো সানজিদা সালমা পলিও সরকারের এই সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। তিনি বলেন, “আমাদের মত নারী উদ্যোক্তারা কিন্তু করোনাভাইরাসের মধ্যে অনেক বড় ধাক্কায় পড়েছে। উদ্যোক্তা আগ্রহ নিয়ে ব্যবসায় প্রসার করবে এখন থেকে। “যেহেতু করমুক্ত আয়সীমা ২০ লাখ টাকা বেড়ে গেছে, তাই তারাও ব্যবসার পরিধি বাড়াতে আগ্রহী হবেন।”
#চলনবিলের আলো / আপন