তাড়াশ উপজেলার পশ্চিম এলাকায় সগুনা ও মাগুড়া বিনোদ ইউনিয়নের কয়েকশ একর সরিষাক্ষেতে পোকায় আক্রমণ করেছে। সরিষার ফল খেয়ে সাবার করছে পোকা। কেটে ফেলছে অপরিপক্ক সরিষার ডগা। রোদ উঠলেই পোকা জমি থেকে রাস্তায় উঠে আসছে। আক্রান্ত জমিতে ঝাঁকে ঝাঁকে শালিক, ফিঙ্গেসহ বিভিন্ন পাখি এসে পোকা খাচ্ছে।
স্থানীয় কৃষকরা জানিয়েছেন, পোকা আক্রান্ত জমিতে তারা কয়েক দফায় কীটনাশক প্রয়োগ করেও কোনো ফল পাচ্ছেন না।
স্থানীয় কৃষি অধিদপ্তর সূত্র জানায়, উপজেলায় চলতি বছর ৪ হাজার ৩৫০ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের সরিষার আবাদ হয়েছে। ইতিমধ্যেই স্বল্প পরিসরে পাকা সরিষা তুলতে শুরু করেছেন কৃষকরা। তবে যে ক্ষেতে নাবী জাতের সরিষার আবাদ করা হয়েছে সেগুলোতে পোকায় আক্রমণ করেছে।
বৃহস্পতিবার উপজেলার লালুয়ামাঝিড়া, কামাড়শন, মাকোড়শন, কুন্দইল, দিঘী-সগুনাসহ আক্রান্ত এলাকায় মাঠ ঘুরে দেখা গেছে, সরিষা ক্ষেতে ব্যাপকভাবে পোকায় আক্রমণ করেছে। এক জাতীয় পোকা ক্ষেতে ছড়িয়ে পড়ছে। ওইসব পোকা সরিষার দানা খেয়ে ও ডগা কেটে ফেলছে। বিশেষ করে যেসব ক্ষেতে পোকায় আক্রমণ করেছে, সেসব ক্ষেতে কাঁচা সরিষা ফ্যাকাশে বর্ণ ধারণ করেছে।
মাঝিড়া গ্রামের কৃষক ফিরোজ হোসেন জানান, অপেক্ষাকৃত যে জমির সরিষার ফল কাঁচা সেইসব জমিতে পোকার আক্রমণ বেশি। আর পাকা সরিষাক্ষেতে পোকার আক্রমণ কম।
বরাত হোসেন, কাওছার আলী, সজীব হোসেনসহ একাধিক কৃষক জানান, অনেকেই পোকার আক্রমণে প্রাথমিকভাবে জমিতে বাজার থেকে কেনা কীটনাশক দিলেও তাতে কোনো ফল পাচ্ছেন না। এতে করে অনেক কৃষক আধাপাকা সরিষা তুলে নিতে বাধ্য হচ্ছেন। ফলে ফলন কম হওয়ায় তারা ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন।
লালুয়ামাঝিড়া গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক আব্দুল জাব্বার জানান, ২০০৫ সালে এই পোকা ব্যাপকভাবে সরিষা ক্ষেতে আক্রমণ করেছিল। সেই পোকাই আবার ফিরে এসেছে। তবে তা ২০০৫ সালের চেয়ে কম।
এ প্রসঙ্গে তাড়াশ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা লুৎফুন্নাহার লুনা জানান, এটির নাম লেটুরা পোকা। তিনি গত সপ্তাহে ওই এলাকার ফসলি মাঠ পরিদর্শন করেছেন। তবে তখন জমিতে লেটুরা পোকার পরিমান কম ছিল। এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
CBALO/আপন ইসলাম