বৃহস্পতিবার, ২০ নভেম্বর ২০২৫, ০৩:৫২ অপরাহ্ন

ই-পেপার

প্রথম টিকা প্রধানমন্ত্রীর নেয়া উচিত : ডা. জাফরুল্লাহ

প্রতিনিধির নাম:
আপডেট সময়: শুক্রবার, ২২ জানুয়ারি, ২০২১, ৩:৪১ অপরাহ্ণ

অনলাইন ডেস্ক:

ভারতের উপহার দেয়া ২০ লাখ ডোজ করোনার টিকার প্রথম চালান ঢাকায় পৌঁছেছে। বৃহস্পতিবার (২১ জানুয়ারি) বেলা ১১টা ২০ মিনিটে এয়ার ইন্ডিয়ার বিশেষ ফ্লাইটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছায় টিকার প্রথম চালান। চিকিৎসক, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সাংবাদিকদের মধ্য থেকে ২০ থেকে ২৫ জনকে প্রথমে টিকা দেয়া হবে।

তবে করোনাভাইরাসের প্রথম টিকা জনসমক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেয়া উচিত বলে মনে করেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। বুধবার (২০ জানুয়ারি) বিকেলে জাগো নিউজের কাছে এ মত তুলে ধরেন তিনি।

 পাশাপাশি প্রত্যেক মন্ত্রীর জেলা শহরে গিয়ে সবার আগে টিকা নেয়া উচিত। তাহলে লোকের আস্থা জন্মাবে এবং তাদের বুঝিয়ে বলা যাবে। টিকাগ্রহণের ক্ষেত্রে যে অগ্রাধিকার জনগোষ্ঠী ঠিক করা হয়েছে, তা ঠিকই আছে 

ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘টিকার ক্ষেত্রে সরকার সবচেয়ে বড় ভুলটা হচ্ছে, পয়লা টিকাটা নেয়া উচিত প্রধানমন্ত্রীর। পাবলিকলি টেলিভিশনের সামনে টিকা উনি নিলে লোকের আস্থা জন্মাবে। পাশাপাশি প্রত্যেক মন্ত্রীর জেলা শহরে গিয়ে সবার আগে টিকা নেয়া উচিত। তাহলে লোকের আস্থা জন্মাবে এবং তাদের বুঝিয়ে বলা যাবে।’

টিকাগ্রহণের ক্ষেত্রে যে অগ্রাধিকার জনগোষ্ঠী ঠিক করা হয়েছে, তা ঠিকই আছে বলেও মনে করেন ডা. জাফরুল্লাহ।

টিকা প্রয়োগে ১৫ দিন অপেক্ষার আহ্বান ড. বিজনের

অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার এই টিকা ভারতে ব্যাপকহারে ব্যবহার করা হচ্ছে। ভারতে এর ফল কী আসে তা দেখার জন্য ১৫ দিন অপেক্ষা করার আহ্বান জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন অণুজীববিজ্ঞানী, সার্সভাইরাসের কিট উদ্ভাবক ও করোনাভাইরাস শনাক্তের ‘জি র্যাপিড ডট ব্লট’ কিট উদ্ভাবক ড. বিজন কুমার শীল।

ড. বিজন কুমার শীল জাগো নিউজকে বলেন, ‘এই টিকা ভারতে ব্যাপকহারে ব্যবহার করা হচ্ছে। আমাদের দেশের মানুষ ভারতের ফলটা দেখতে পারে। ভারতে টিকার প্রভাব ভালো হলে সবার দুশ্চিন্তা চলে যাবে। কারণ ভারত ও বাংলাদেশের মানুষ তো একই রকম। সুতরাং সেখানে যে ফল আসবে সেটা বাংলাদেশেও আশা করা যায়।’

তিনি বলেন, ‘অন্ততপক্ষে আরও ১৫ দিন দেখা উচিত। ভারতে ভ্যাকসিন দেয়া হচ্ছে, এর যদি প্রতিক্রিয়া হয়, তাহলে এর মধ্যেই হয়ে যাবে। তখন মানুষের প্রশ্ন কম থাকবে। তাছাড়া বাংলাদেশে ভ্যাকসিন আসা মানেই তো দেয়া না। টিকা আসার পর সেটআপ করতেও তো সময় লাগবে। কাকে টিকা দেবে তাদের নির্বাচন করা, যারা টিকা দেবে তাদের প্রশিক্ষণ দেয়া- এসব করতে সপ্তাহ দুই সময় লেগে যাবে। দুই সপ্তাহের মধ্যে ভারতের পরিস্থিতি বোঝা যাবে।’

বাংলাদেশের স্বাস্থ্যবিভাগ ও সংশ্লিষ্ট যারা আছেন, তারা যদি ভারতের টিকা দেয়ার ফলাফলটা ভালো করে লক্ষ করেন বা তথ্য আদানপ্রদান করেন, তাহলে তারা ভালো সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারবেন বলেও মনে করেন এই বিশেষজ্ঞ।

সরকারের অগ্রাধিকার দেয়া ১০ ধরনের জনগোষ্ঠী হচ্ছে মুক্তিযোদ্ধা, করোনা মোকাবিলায় নিয়োজিত চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী, সম্মুখসারির কর্মী, রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতাহীন জনগোষ্ঠী, বয়োজ্যেষ্ঠ জনগোষ্ঠী, দীর্ঘমেয়াদি রোগে আক্রান্ত প্রাপ্তবয়স্ক জনগোষ্ঠী, শিক্ষাকর্মী ও গণপরিবহনকর্মীরা।

ড. বিজন বলেন, ‘এটা ঠিকই আছে। ফার্মসিউটিক্যালসে যারা আছেন এবং গার্মেন্টেসে আছে তাদেরও দেয়ার বিষয়ে চিন্তাভাবনা করা যেতে পারে, যদি সরকারের যথেষ্ট ভ্যাকসিন থাকে।’

 

CBALO/আপন ইসলাম


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর পড়ুন
এক ক্লিকে বিভাগের খবর