রবিবার, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৮:২৭ পূর্বাহ্ন

ই-পেপার

এ মাসেই আসছে ৫০ লাখ টিকাঃ স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রতিনিধির নাম:
আপডেট সময়: রবিবার, ৩ জানুয়ারি, ২০২১, ৫:৩৪ অপরাহ্ণ

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, চলতি মাসে দেশে করোনাভাইরাসের টিকার (ভ্যাকসিন) প্রথম চালান এসে পৌঁছবে। তিনি বলেন, ৫০ লাখ করে আগামী ছয় মাসে তিন কোটি টিকা আমরা পাব। শনিবার বিকালে মানিকগঞ্জে নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা জানান। স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক আরও বলেন, আমরা ভ্যাকসিন গ্রহণ করার জন্য প্রস্তুত। যুক্তরাজ্যের পর ভারতে অক্সফোর্ডের অ্যাস্ট্রোজেনেকার টিকার অনুমোদন পাওয়ায় আমরা আনন্দিত। ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউটের সঙ্গে তিন কোটি ডোজের বিষয়ে চুক্তি রয়েছে। তিনি বলেন, চুক্তি অনুযায়ী এ সপ্তাহে ভ্যাকসিনের প্রথম চালানের টাকা পরিশোধ করা হবে। প্রথম চালানে ৫০ লাখ ভ্যাকসিন আসছে। তিনি বলেন, ৫০ লাখ করে আগামী ছয় মাসে তিন কোটি ভ্যাকসিন আমরা পাব। একই সঙ্গে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিন শিগগিরই অনুমোদন দেবে। এ ভ্যাকসিনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কম।

 

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, অন্য সব দেশের তুলনায় কম দামে টিকা পাওয়া যাবে। অক্সফোর্ডের টিকা পাঁচ ডলার (বাংলাদেশি প্রায় ৪২৫ টাকা) মূল্যে পাওয়া যাবে। চুক্তি অনুযায়ী এ সপ্তাহেই ভ্যাকসিনের প্রথম চালানের টাকা পরিশোধ করা হবে। তিনি বলেন, ১৮ বছরের নিচে ৪০ শতাংশ জনসংখ্যা, ৩০ থেকে ৩৫ লাখ গর্ভবতী এবং প্রবাসী প্রায় এক কোটি সব মিলিয়ে সাড়ে পাঁচ কোটি মানুষের ভ্যাকসিন লাগবে না। বাকি চার কোটি লোকের ভ্যাকসিনের জন্য বিভিন্ন কোম্পানির সঙ্গে আলোচনা চলছে। এছাড়া জুনের মধ্যেই গ্যাভির আরও পাঁচ থেকে ছয় কোটি ডোজ ভ্যাকসিন দেশে চলে আসবে। এক প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, যারা ইতোমধ্যে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন তাদেরও টিকা দেয়া লাগবে। প্রথম চালানের ভ্যাকসিন কাদের প্রথম দেওয়া হবে, সে বিষয়ে তালিকা প্রণয়নে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিবের নেতৃত্বে কমিটি কাজ করছে। ভ্যাকসিন দেওয়ার পরও মাস্ক পরাসহ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করতে হবে। করোনায় ‘নিরাপদ’ দেশের তালিকায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রখ্যাত ডাটা মিডিয়া ব্লুমবার্গ বাংলাদেশকে সম্প্রতি বিশ্বব্যাপী ২০তম ও দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম স্থানের স্বীকৃতির বিষয়টি উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, ব্লুমবার্গের স্বীকৃতিকে ছোট করে দেখার কোনো সুযোগ নেই।

 

এটি কেবল দেশের অর্থনৈতিক সফলতা দেখেই রিপোর্টটি করেনি। প্রতিষ্ঠানটি করোনা মোকাবেলায় প্রয়োজনীয় জনবল, অবকাঠামো, টিকাদান সক্ষমতা, চলাফেরা নিয়ন্ত্রণের মতো গুরুত্বপূর্ণ অন্তত ১০টি মেট্রিক্স বিবেচনা করে এ ফলাফল ঘোষণা করেছে। কাজেই এ ফলাফল আমাদের জন্য এক বিরাট অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে। একই সঙ্গে স্বাস্থ্য খাতের সবার সম্মিলিত সাফল্যে দেশের অর্থনীতি স্বাভাবিকভাবে চলছে। করোনায় বাংলাদেশ ও চীনের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বিশ্বে এখন সর্বোচ্চ।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর পড়ুন
এক ক্লিকে বিভাগের খবর